পাহাড়ে লাদেন গ্রুপের জমি-জানতে হবে নেপথ্যের রহস্য
পার্বত্য জেলাগুলোয় একটি ধর্মীয় সংস্থার নামে কয়েক হাজার একর জমি কেনা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ দানা বেঁধে উঠেছে। মোহাম্মদীয়া জামেয়া শরীফ নামের সংস্থাটির কোনো বাস্তব অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি। রহস্যজনক এই সংস্থার নামে এসব জমি কিনতে গিয়ে নানা অস্বচ্ছতার আশ্রয়ও নেওয়া হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই জমি কেনাবেচার প্রক্রিয়া চললেও বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে এসেছে অনেক দেরিতে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে অনেকটা নীরবেই একটি সন্দেহভাজন গোষ্ঠী পাহাড়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে, এটা বোধ হয় স্পষ্ট হয়ে গেছে।
দেশের পার্বত্য জেলাগুলোয় যে সন্দেহভাজন গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে জমি কিনছে, তাদের একটি স্থানীয় পরিচিতি রয়েছে। এই গোষ্ঠীর লোকজন স্থানীয়ভাবে 'লাদেন গ্রুপ' নামে পরিচিত বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। এই গ্রুপের লোকজন বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে নিজেদের প্রভাববলয় তৈরির কাজ করছে বলে ধারণা করা যেতে পারে। জমি কেনার ব্যাপারে গ্রুপটি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত করার কৌশল নিয়েছে। জমি কেনার পাশাপাশি জমি দখলও করছে এই গ্রুপ। স্থানীয় লোকজনের কাছে এখন এই গ্রুপটি রীতিমতো আতঙ্ক। এরই মধ্যে বেশ কিছু উপজাতি পরিবার উচ্ছেদ হয়ে গেছে। উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছে আরো বেশ কিছু পরিবার। পাহাড়ি জনপদে লাদেন গ্রুপ জায়গাজমি থেকে উপজাতিদের উচ্ছেদ করে তাদের জমি দখল করে নিচ্ছে। গ্রুপটির নামের সঙ্গে দুনিয়াজুড়ে আলোচিত মৌলবাদী নেতার নাম জড়িয়ে থাকায় অনেকে ভয় পাচ্ছে। এ ছাড়া জমি কেনার ব্যাপারে যাদের দেখা যাচ্ছে বা এই গ্রুপের লোক হিসেবে বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাদের পাহাড়ি এলাকায় আসতে দেখা গেছে, পোশাক-পরিচ্ছদেও তাদের আলাদা করে চেনা যায়। মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে তাদের সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণও আছে। লোকচক্ষুর আড়ালে, পাহাড়ি এলাকায় মৌলবাদী গোষ্ঠী নতুন করে তাদের আস্তানা গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে- এমন সন্দেহও অমূলক নয়। কারণ এর আগে পাহাড়ে সশস্ত্র মৌলবাদীদের আস্তানা আবিষ্কৃত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র। লাদেন গ্রুপ নামে যাদের পরিচিতি, তারা কী উদ্দেশ্যে পাহাড়ে হাজার হাজার বিঘা জমি কিনে চলছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গ্রুপটি কি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমি কিনছে, না কেনা জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের সুযোগ খোঁজা হচ্ছে- এটাও এখন বড় প্রশ্ন। তারা এলাকায় ঢুকে গেছে, জমি কিনেছে। এরপর শুরু হবে প্রভাব বিস্তার। পাহাড়ে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে এর আগে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে। নতুন করে অবাঞ্ছিত কোনো ঘটনা ঘটার আগেই প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাহাড়ের জমি বেচাকেনার একটা নিয়ম আছে। যেকোনো জমি বিক্রি বা কেনার আগে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি লাগে। এমনকি স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তেরও সুযোগ নেই, সেখানে কিছু রহস্যজনক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কেমন করে হাজার হাজার বিঘা জমি কেনা হলো- এ প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন দেরিতে হলেও অনুসন্ধান শুরু করছে বলে জানা গেছে। আমরা চাই রহস্য উন্মোচিত হোক।
দেশের পার্বত্য জেলাগুলোয় যে সন্দেহভাজন গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে জমি কিনছে, তাদের একটি স্থানীয় পরিচিতি রয়েছে। এই গোষ্ঠীর লোকজন স্থানীয়ভাবে 'লাদেন গ্রুপ' নামে পরিচিত বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। এই গ্রুপের লোকজন বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে নিজেদের প্রভাববলয় তৈরির কাজ করছে বলে ধারণা করা যেতে পারে। জমি কেনার ব্যাপারে গ্রুপটি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত করার কৌশল নিয়েছে। জমি কেনার পাশাপাশি জমি দখলও করছে এই গ্রুপ। স্থানীয় লোকজনের কাছে এখন এই গ্রুপটি রীতিমতো আতঙ্ক। এরই মধ্যে বেশ কিছু উপজাতি পরিবার উচ্ছেদ হয়ে গেছে। উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছে আরো বেশ কিছু পরিবার। পাহাড়ি জনপদে লাদেন গ্রুপ জায়গাজমি থেকে উপজাতিদের উচ্ছেদ করে তাদের জমি দখল করে নিচ্ছে। গ্রুপটির নামের সঙ্গে দুনিয়াজুড়ে আলোচিত মৌলবাদী নেতার নাম জড়িয়ে থাকায় অনেকে ভয় পাচ্ছে। এ ছাড়া জমি কেনার ব্যাপারে যাদের দেখা যাচ্ছে বা এই গ্রুপের লোক হিসেবে বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাদের পাহাড়ি এলাকায় আসতে দেখা গেছে, পোশাক-পরিচ্ছদেও তাদের আলাদা করে চেনা যায়। মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে তাদের সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণও আছে। লোকচক্ষুর আড়ালে, পাহাড়ি এলাকায় মৌলবাদী গোষ্ঠী নতুন করে তাদের আস্তানা গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে- এমন সন্দেহও অমূলক নয়। কারণ এর আগে পাহাড়ে সশস্ত্র মৌলবাদীদের আস্তানা আবিষ্কৃত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র। লাদেন গ্রুপ নামে যাদের পরিচিতি, তারা কী উদ্দেশ্যে পাহাড়ে হাজার হাজার বিঘা জমি কিনে চলছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গ্রুপটি কি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমি কিনছে, না কেনা জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের সুযোগ খোঁজা হচ্ছে- এটাও এখন বড় প্রশ্ন। তারা এলাকায় ঢুকে গেছে, জমি কিনেছে। এরপর শুরু হবে প্রভাব বিস্তার। পাহাড়ে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে এর আগে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে। নতুন করে অবাঞ্ছিত কোনো ঘটনা ঘটার আগেই প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাহাড়ের জমি বেচাকেনার একটা নিয়ম আছে। যেকোনো জমি বিক্রি বা কেনার আগে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি লাগে। এমনকি স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তেরও সুযোগ নেই, সেখানে কিছু রহস্যজনক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কেমন করে হাজার হাজার বিঘা জমি কেনা হলো- এ প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন দেরিতে হলেও অনুসন্ধান শুরু করছে বলে জানা গেছে। আমরা চাই রহস্য উন্মোচিত হোক।
No comments