ঝরে যাওয়ার এই হার শিক্ষাকাঠামোর দুর্বলতা-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বাগত
আগামীকাল শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক সমমানের মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় মাধ্যমিক শিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরের পর্বে প্রবেশের যোগ্যতা পরিমাপ করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনের ভিত রচিত হয়।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিমাপের এটাই উপযুক্ত ক্ষেত্র, এটাই উচ্চশিক্ষার সৌধ। কিন্তু সেই সৌধের উচ্চতা কি বাড়ছে?
বলা যায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শিক্ষার প্রথম পর্বের সমাপ্তি পরীক্ষা, অন্যদিকে এই পরীক্ষা উচ্চতর শিক্ষার প্রবেশদ্বারও বটে। একই সঙ্গে সরকারের দিক থেকেও শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় নির্বিঘ্নে অতিক্রমণের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব থাকে। আশা করি, পরীক্ষার্থীরা নিষ্ঠার সঙ্গে পরীক্ষা দেবে এবং অভিভাবকসহ পরীক্ষাকার্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠানে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
এ বছর প্রায় সোয়া নয় লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিতে বসছে। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ বেশি হলেও গত বছরের অকৃতকার্যদের সংখ্যা ধরলে প্রকৃত সংখ্যা বেড়েছে বলা যায় না। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণীতে নিবন্ধিত পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না। এর অর্থ, গতবারের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী মিলিয়েও এ বছরের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে কম। এমনিতেই ১৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাত্র নয় লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দেওয়া মোটেই প্রশংসনীয় চিত্র নয়। তার ওপর ঝরে যাওয়ার এমন বর্ধিত হার প্রমাণ করে, শিক্ষাকাঠামোটি অধিকতর উচ্চশিক্ষাকে ধারণ করতে পারছে না। এ দিকটায় নজর না দিলে শিক্ষাক্ষেত্রের অগ্রগতি ধরে রাখা যাবে না, দেশে দক্ষ জনশক্তিও গড়ে উঠবে না।
এই মুহূর্তে ভাবনার প্রধান বিষয় হলো নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পাদনের ব্যবস্থা করা। যেমন, বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে ছেদ না পড়ে। পাশাপাশি পরীক্ষার পুরো সময়টা যেন হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতামুক্ত থাকে, তার জন্য বিরোধী দল ও সরকার উভয়েরই আন্তরিকতা প্রয়োজন। এইচএসসি পরীক্ষা কেবল পরীক্ষার্থীদেরই যোগ্যতা যাচাই হয় না, পরীক্ষক ও পরীক্ষার ব্যবস্থাকারীদের তথা শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার এবং অভিভাবকদের জন্যও এটা দায়িত্বশীলতার পরীক্ষা।
বলা যায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শিক্ষার প্রথম পর্বের সমাপ্তি পরীক্ষা, অন্যদিকে এই পরীক্ষা উচ্চতর শিক্ষার প্রবেশদ্বারও বটে। একই সঙ্গে সরকারের দিক থেকেও শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় নির্বিঘ্নে অতিক্রমণের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব থাকে। আশা করি, পরীক্ষার্থীরা নিষ্ঠার সঙ্গে পরীক্ষা দেবে এবং অভিভাবকসহ পরীক্ষাকার্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠানে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
এ বছর প্রায় সোয়া নয় লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিতে বসছে। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ বেশি হলেও গত বছরের অকৃতকার্যদের সংখ্যা ধরলে প্রকৃত সংখ্যা বেড়েছে বলা যায় না। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণীতে নিবন্ধিত পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না। এর অর্থ, গতবারের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী মিলিয়েও এ বছরের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে কম। এমনিতেই ১৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাত্র নয় লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দেওয়া মোটেই প্রশংসনীয় চিত্র নয়। তার ওপর ঝরে যাওয়ার এমন বর্ধিত হার প্রমাণ করে, শিক্ষাকাঠামোটি অধিকতর উচ্চশিক্ষাকে ধারণ করতে পারছে না। এ দিকটায় নজর না দিলে শিক্ষাক্ষেত্রের অগ্রগতি ধরে রাখা যাবে না, দেশে দক্ষ জনশক্তিও গড়ে উঠবে না।
এই মুহূর্তে ভাবনার প্রধান বিষয় হলো নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পাদনের ব্যবস্থা করা। যেমন, বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে ছেদ না পড়ে। পাশাপাশি পরীক্ষার পুরো সময়টা যেন হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতামুক্ত থাকে, তার জন্য বিরোধী দল ও সরকার উভয়েরই আন্তরিকতা প্রয়োজন। এইচএসসি পরীক্ষা কেবল পরীক্ষার্থীদেরই যোগ্যতা যাচাই হয় না, পরীক্ষক ও পরীক্ষার ব্যবস্থাকারীদের তথা শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার এবং অভিভাবকদের জন্যও এটা দায়িত্বশীলতার পরীক্ষা।
No comments