আ. লীগের মায়া, মান্না খোকন সেলিমসহ ৮-৯ জন মাঠে by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয়ভাবে একক প্রার্থী ঠিক করেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের কোনো ফোরামে এখনো বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়নি। অথচ মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী দলের ৮-৯ জন নেতা এরই মধ্যে নেমে পড়েছেন মাঠে। বিভিন্নভাবে প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা।
এমনকি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যান্য শরিক দলের কয়েকজন নেতাও বিরামহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাই নিজেকে দল ও মহাজোটের প্রার্থী এবং উচ্চ পর্যায়ের আশীর্বাদপুষ্ট বলে দাবি করছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, দলীয় ও জোটপ্রধান শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেননি। তফসিল ঘোষণার পর এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরে মেয়ের পদে নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মাহমুদুর রহমান মান্না। মান্না দলীয় সমর্থন না পেলে নাগরিক সমাজের হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ ও কামাল আহমেদ মজুমদার এবং চিত্রনায়ক ফারুক নির্বাচন করতে আগ্রহী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের কয়েকজন নেতা এ অংশে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে। শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে এক ধরনের সায় দিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
দক্ষিণেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা মেয়ের পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নেমেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি দলের সমর্থন চান- তবে না পেলেও নির্বাচন করবেন। জঞ্জালমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত বাসস্থান হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলা তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই তিনি নির্বাচনের মাঠে আছেন এবং প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া গত ২৩ মার্চ নিজেকে সিটি করপোরেশন উত্তরের মেয়র পদের প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন। মিরপুর ১ নম্বর শাহআলী মাজার শরিফ ও মসজিদে জুমার নামাজ শেষে তিনি এ ঘোষণা দিয়ে দাবি করেন, দলের সর্বোচ্চ মহলের দোয়া, নির্দেশ ও অনুমতি নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছেন।
মায়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দোয়া নিয়ে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের মাঠে আছি, প্রচারে আছি এবং শেষ পর্যন্ত এ লড়াইয়ে থাকব।'
এরপর রাজধানীকে বদলে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে স্বাধীনতা দিবসে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক দল জাসদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিরিন আকতার। তিনিও মহাজোটের শীর্ষমহলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠে নেমেছেন বলে দাবি করেন।
ঢাকার প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে এবং পুরান ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে সাঈদ খোকন দক্ষিণে ভালো অবস্থানে আছেন। তবে প্রচারে পিছিয়ে নেই হাজি সেলিমও। বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার দিয়ে দুই প্রার্থীই সবার নজর কেড়েছেন।
সাঈদ খোকন কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনের জন্য তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় সমর্থনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'দলীয় প্রধান যাঁকে মনোনয়ন দেবেন- তিনিই হবেন দলের প্রার্থী।'
এ ছাড়া পুরান ঢাকার সন্তান হিসেবে ব্যারিস্টার ড. তুহিন মালিক ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।
প্রার্থীদের দলের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশে নির্বাচনের মাঠে নামার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো কার্যক্রম আরম্ভ করেনি। তফসিল ঘোষণার পর আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে বসে সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন থেকে এরই মধ্যে মে মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ৩৫-৪০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর পরই প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করবে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী নির্ধারণের পাশাপাশি মহাজোটগতভাবে, নাকি এককভাবে নির্বাচনে লড়া হবে- সে ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনো। সম্প্রতি জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ জোটপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে বিভক্ত ডিসিসির একটি আসন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে তাতে সম্মতি দেননি প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, দলীয় ও জোটপ্রধান শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেননি। তফসিল ঘোষণার পর এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরে মেয়ের পদে নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মাহমুদুর রহমান মান্না। মান্না দলীয় সমর্থন না পেলে নাগরিক সমাজের হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন। এ ছাড়া সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ ও কামাল আহমেদ মজুমদার এবং চিত্রনায়ক ফারুক নির্বাচন করতে আগ্রহী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের কয়েকজন নেতা এ অংশে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে। শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে এক ধরনের সায় দিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
দক্ষিণেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা মেয়ের পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নেমেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি দলের সমর্থন চান- তবে না পেলেও নির্বাচন করবেন। জঞ্জালমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত বাসস্থান হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলা তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই তিনি নির্বাচনের মাঠে আছেন এবং প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া গত ২৩ মার্চ নিজেকে সিটি করপোরেশন উত্তরের মেয়র পদের প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন। মিরপুর ১ নম্বর শাহআলী মাজার শরিফ ও মসজিদে জুমার নামাজ শেষে তিনি এ ঘোষণা দিয়ে দাবি করেন, দলের সর্বোচ্চ মহলের দোয়া, নির্দেশ ও অনুমতি নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছেন।
মায়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দোয়া নিয়ে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের মাঠে আছি, প্রচারে আছি এবং শেষ পর্যন্ত এ লড়াইয়ে থাকব।'
এরপর রাজধানীকে বদলে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে স্বাধীনতা দিবসে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক দল জাসদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিরিন আকতার। তিনিও মহাজোটের শীর্ষমহলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠে নেমেছেন বলে দাবি করেন।
ঢাকার প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে এবং পুরান ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে সাঈদ খোকন দক্ষিণে ভালো অবস্থানে আছেন। তবে প্রচারে পিছিয়ে নেই হাজি সেলিমও। বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার দিয়ে দুই প্রার্থীই সবার নজর কেড়েছেন।
সাঈদ খোকন কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনের জন্য তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় সমর্থনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'দলীয় প্রধান যাঁকে মনোনয়ন দেবেন- তিনিই হবেন দলের প্রার্থী।'
এ ছাড়া পুরান ঢাকার সন্তান হিসেবে ব্যারিস্টার ড. তুহিন মালিক ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।
প্রার্থীদের দলের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশে নির্বাচনের মাঠে নামার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো কার্যক্রম আরম্ভ করেনি। তফসিল ঘোষণার পর আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে বসে সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন থেকে এরই মধ্যে মে মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ৩৫-৪০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর পরই প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করবে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী নির্ধারণের পাশাপাশি মহাজোটগতভাবে, নাকি এককভাবে নির্বাচনে লড়া হবে- সে ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনো। সম্প্রতি জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ জোটপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে বিভক্ত ডিসিসির একটি আসন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে তাতে সম্মতি দেননি প্রধানমন্ত্রী।
No comments