জয়পুরহাটে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী-ষড়যন্ত্র করে মেয়াদের আগে সরকার হটানো যাবে না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি বলেছিলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সরকার ক্ষমতায় থাকবে। কী কারণে আপনি এমন কথা বলেছিলেন, তা এখন জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন ভালো থাকে, তখন বিএনপি নেত্রীর মন ভালো থাকে না। আপনি ও আপনার দল যতই যড়যন্ত্র করুক, মেয়াদের আগে কেউই এ সরকারকে হটাতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন ভালো থাকে, তখন বিএনপি নেত্রীর মন ভালো থাকে না। আপনি ও আপনার দল যতই যড়যন্ত্র করুক, মেয়াদের আগে কেউই এ সরকারকে হটাতে পারবে না।’
গতকাল রোববার জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সার্কিট হাউস মাঠে এক জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জয়পুরহাটের স্বাধীনতাবিরোধী আবদুল আলীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এই এলাকার ১৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন। বিএনপি তাঁকেই মন্ত্রী করেছিল। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। ২০০১ সালের পর বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে জয়পুরহাটসহ সারা দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট ছাড়া তারা দেশের জনগণকে ভালো কিছুই দিতে পারেনি। বেগম জিয়া ও তাঁর দুই ছেলে দুর্নীতি করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। ফলে বহির্বিশ্বে দেশের মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ, সংরক্ষিত নারী সাংসদ মাহফুজা মণ্ডল ও শাহিন মনোয়ারা হক।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নৌকায় ভোট চান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জয়পুরহাটে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী খঞ্জনপুর এলাকায় দেশের প্রথম কয়লা, খনিজ ও ধাতববিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। এরপর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়: দুপুরে জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি অঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক অশোক কুমার রায় এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, সরকার সন্ত্রাসী, মাদক পাচারকারী ও আইন ভঙ্গকারীদের কোনোভাবেই বরদাশত করবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ, সংরক্ষিত নারী সাংসদ মাহফুজা মণ্ডল ও শাহিন মনোয়ারা হক।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নৌকায় ভোট চান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জয়পুরহাটে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী খঞ্জনপুর এলাকায় দেশের প্রথম কয়লা, খনিজ ও ধাতববিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। এরপর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়: দুপুরে জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি অঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক অশোক কুমার রায় এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, সরকার সন্ত্রাসী, মাদক পাচারকারী ও আইন ভঙ্গকারীদের কোনোভাবেই বরদাশত করবে না।
No comments