তদন্ত চলুক এবং সত্য উদ্ঘাটিত হোক-গুপ্তহত্যা চলতেই থাকবে?
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের প্রতিবাদ কোনো প্রতিকার দিতে পারেনি। বর্তমান সরকার বিএনপির আমলে অপারেশন ক্লিনহার্টের মধ্য দিয়ে শুরু করা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছিল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আশা করা হয়েছিল, পদ্ধতিগত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সর্বমহলকে স্তম্ভিত করে দিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা প্রকাশ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন।
পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে বিমুখ থেকে এবং তাদের দলীয় উদ্দেশ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা এক ভয়ংকর ফর্মুলা বের করেন যে সমাজে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বিচারবহির্ভূত হত্যার বিকল্প নেই।
এই প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কথায়, যারা এত দিন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছিল, তারা এখন ভোল পাল্টেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলোর পরে গণমাধ্যমে বেশ একটা ‘স্বচ্ছতার’ সঙ্গে বিবৃতি দেওয়া হতো। কিন্তু দেশি ও বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অব্যাহত প্রতিবাদের ফলে সারা বিশ্বে এনকাউন্টার ও ‘ক্রসফায়ার’-সংক্রান্ত র্যাবের ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। কিন্তু এখন যে গুপ্তহত্যা চলছে, তা পরিস্থিতিকে আগের চেয়ে ভয়ংকর করে তুলেছে। ভুক্তভোগীরা এখন হয়তো অনুশোচনা করতে পারেন এই বলে যে গুপ্তহত্যার চেয়ে সাজানো কোনো গল্পের মাধ্যমে হলেও অন্তত খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার একটা সান্ত্বনা ছিল। আমরা অবশ্য এ প্রসঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে ড. মিজানুর রহমান বর্ণিত সন্দেহ-সংশয়ের বিষয়টি এখনো প্রমাণিত নয়। আর সেটা প্রমাণ করার দায়দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান শুধু বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে শেষ করতে পারেন না।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরপুল থেকে ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের তুলে নেওয়া এবং তাঁদের মধ্য থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনা উদ্বেগজনক। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা র্যাবের দিকে সন্দেহের আঙুল তুললেও সংস্থাটি তা নাকচ করে দিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থার একজন মুখপাত্র প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা এ পর্যন্ত অন্তত ২০ ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা শনাক্ত করেছেন। গুপ্তহত্যার বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অবিলম্বে যথাযথ ব্যাখ্যা আশা করি। নিহত শামীম হাসানের ভাই বলেছেন, হাতিরপুল এলাকা থেকে র্যাব-৩-এর পরিচয়ে কিছু লোক শামীমকে ধরে নিয়ে যায় বলে সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন দোকানদার তাঁকে তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মো. সোহায়েল দাবি করেন যে র্যাব এই নামে কাউকে আটক করেনি। এটা অপপ্রচার।
আমরা তাঁর বক্তব্যের সত্যতা নাকচ না করেও বলতে পারি, শুধু এটুকু বক্তব্য দেওয়া তাঁদের কাজ নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করাই তাঁদের দায়িত্ব। মানবাধিকার কমিশন আগামী ৪ জানুয়ারি গুপ্তহত্যার ক্ষেত্রে কমিশনের দায়দায়িত্ব নির্ধারণে সভা ডেকেছে। আমরা মনে করি, কমিশনের যতটুকু লোকবল রয়েছে তা দিয়েই তাদের স্বাধীনভাবে এ ঘটনার তদন্তকাজ সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কথায়, যারা এত দিন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছিল, তারা এখন ভোল পাল্টেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলোর পরে গণমাধ্যমে বেশ একটা ‘স্বচ্ছতার’ সঙ্গে বিবৃতি দেওয়া হতো। কিন্তু দেশি ও বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অব্যাহত প্রতিবাদের ফলে সারা বিশ্বে এনকাউন্টার ও ‘ক্রসফায়ার’-সংক্রান্ত র্যাবের ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। কিন্তু এখন যে গুপ্তহত্যা চলছে, তা পরিস্থিতিকে আগের চেয়ে ভয়ংকর করে তুলেছে। ভুক্তভোগীরা এখন হয়তো অনুশোচনা করতে পারেন এই বলে যে গুপ্তহত্যার চেয়ে সাজানো কোনো গল্পের মাধ্যমে হলেও অন্তত খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার একটা সান্ত্বনা ছিল। আমরা অবশ্য এ প্রসঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে ড. মিজানুর রহমান বর্ণিত সন্দেহ-সংশয়ের বিষয়টি এখনো প্রমাণিত নয়। আর সেটা প্রমাণ করার দায়দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান শুধু বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে শেষ করতে পারেন না।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরপুল থেকে ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের তুলে নেওয়া এবং তাঁদের মধ্য থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনা উদ্বেগজনক। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা র্যাবের দিকে সন্দেহের আঙুল তুললেও সংস্থাটি তা নাকচ করে দিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থার একজন মুখপাত্র প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা এ পর্যন্ত অন্তত ২০ ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা শনাক্ত করেছেন। গুপ্তহত্যার বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অবিলম্বে যথাযথ ব্যাখ্যা আশা করি। নিহত শামীম হাসানের ভাই বলেছেন, হাতিরপুল এলাকা থেকে র্যাব-৩-এর পরিচয়ে কিছু লোক শামীমকে ধরে নিয়ে যায় বলে সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন দোকানদার তাঁকে তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মো. সোহায়েল দাবি করেন যে র্যাব এই নামে কাউকে আটক করেনি। এটা অপপ্রচার।
আমরা তাঁর বক্তব্যের সত্যতা নাকচ না করেও বলতে পারি, শুধু এটুকু বক্তব্য দেওয়া তাঁদের কাজ নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করাই তাঁদের দায়িত্ব। মানবাধিকার কমিশন আগামী ৪ জানুয়ারি গুপ্তহত্যার ক্ষেত্রে কমিশনের দায়দায়িত্ব নির্ধারণে সভা ডেকেছে। আমরা মনে করি, কমিশনের যতটুকু লোকবল রয়েছে তা দিয়েই তাদের স্বাধীনভাবে এ ঘটনার তদন্তকাজ সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
No comments