পশ্চিমা বিশ্বের পুঁজিবাদী সংকট by মোঃ মেফতাউল ইসলাম
'একদিন পুঁজিবাদের সংকট আসবে, রাস্তায় নামবে হাজার হাজার শোষিত-নিষ্পেষিত ও বঞ্চিত মানুষ'_ কার্ল মার্কসের এ উক্তির যথার্থতা কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ধনী ও গরিবের যে চরম বৈষম্য তা ঠেকানোর জন্য অনেক উন্নত দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে পড়েছে। তাদের মুখে স্লোগান_ আমরাই ৯৯ শতাংশ। আন্দোলনকারীদের মতে, বর্তমানে পুঁজিবাদের কল্যাণে সম্পদের প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র ১ শতাংশ করপোরেট লোক।
অথচ ৯৯ শতাংশ লোক তাদের দ্বারা হচ্ছে নিষ্পেষিত। আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওয়ালস্ট্রিটে। আন্দোলনকারীরা ওয়ালস্ট্রিটের জুকোটি পার্কে সমবেত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। সেখানে তারা এখন পর্যন্ত অবস্থান করছে।
প্রথমে যখন বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তখন ছিল মাত্র গুটি কয়েক লোক। কিন্তু এখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। ক্রমেই এ আন্দোলন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি এখন কানাডা, ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, জাপান ইত্যাদি দেশের জনগণও আন্দোলনে উত্তাল। আন্দোলন জোরদার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো। ফলে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মুহূর্তের মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে একযোগে বিক্ষোভ করার সুযোগ পাচ্ছে।
আন্দোলনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে পুঁজিবাদের লোভ-লালসা, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, ধনী ও গরিবের সম্পদের ব্যাপক বৈষম্য, অর্থনৈতিক সংকট, রাজনীতিতে করপোরেট শ্রেণীর প্রভাব, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিসহ আরও বিস্তর কিছু। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মহামন্দার যে ধাক্কা তা এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রই ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যার ফলে দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক পরাশক্তির দেশ আমেরিকাতেই বেকারত্বের হার হুহু করে বাড়ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও বর্তমানে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। পুঁজিবাজারে অনবরত দরপতন বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তুলেছে। সারাবিশ্বে ডলারের দাম যেখানে নিম্নমুখী, সেখানে আমাদের দেশে ডলারের ঊর্ধ্বগতি অর্থনৈতিক করুণ অবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ এখন নানামুখী চাপে আছে। সুতরাং এখানকার জনগণও যে কোনো সময় আন্দোলনে ফুঁসে উঠতে পারে।
ওয়ালস্ট্রিট অকুপাই নামে সংগঠনটি যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন করছে তার সমাধান খুব সহজ নয়। তাই তাদের আন্দোলন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেগবান হলেও তার ফল অনিশ্চিত। কেননা তাদের দাবি মানতে হলে পুরো ইকোনমিক সিস্টেমকেই পাল্টাতে হবে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রায় অসম্ভব। তবে এই বিপ্লব যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে তা বলা যায় না। তাদের কিছু দাবি অবশ্যই ওই সব দেশের সরকার পূরণ করার চেষ্টা করবে।
হ শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথমে যখন বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তখন ছিল মাত্র গুটি কয়েক লোক। কিন্তু এখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। ক্রমেই এ আন্দোলন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি এখন কানাডা, ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, জাপান ইত্যাদি দেশের জনগণও আন্দোলনে উত্তাল। আন্দোলন জোরদার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো। ফলে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মুহূর্তের মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে একযোগে বিক্ষোভ করার সুযোগ পাচ্ছে।
আন্দোলনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে পুঁজিবাদের লোভ-লালসা, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, ধনী ও গরিবের সম্পদের ব্যাপক বৈষম্য, অর্থনৈতিক সংকট, রাজনীতিতে করপোরেট শ্রেণীর প্রভাব, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিসহ আরও বিস্তর কিছু। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মহামন্দার যে ধাক্কা তা এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রই ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যার ফলে দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক পরাশক্তির দেশ আমেরিকাতেই বেকারত্বের হার হুহু করে বাড়ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও বর্তমানে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। পুঁজিবাজারে অনবরত দরপতন বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তুলেছে। সারাবিশ্বে ডলারের দাম যেখানে নিম্নমুখী, সেখানে আমাদের দেশে ডলারের ঊর্ধ্বগতি অর্থনৈতিক করুণ অবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ এখন নানামুখী চাপে আছে। সুতরাং এখানকার জনগণও যে কোনো সময় আন্দোলনে ফুঁসে উঠতে পারে।
ওয়ালস্ট্রিট অকুপাই নামে সংগঠনটি যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন করছে তার সমাধান খুব সহজ নয়। তাই তাদের আন্দোলন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেগবান হলেও তার ফল অনিশ্চিত। কেননা তাদের দাবি মানতে হলে পুরো ইকোনমিক সিস্টেমকেই পাল্টাতে হবে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রায় অসম্ভব। তবে এই বিপ্লব যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে তা বলা যায় না। তাদের কিছু দাবি অবশ্যই ওই সব দেশের সরকার পূরণ করার চেষ্টা করবে।
হ শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments