সার্কের মহাসচিব দিয়ানার পদত্যাগ by রাহীদ এজাজ
সার্কের মহাসচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মালদ্বীপের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতিমাত দিয়ানা সায়িদ। ‘মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দিয়ানা হস্তক্ষেপ করছেন’—আহমেদ নাশিদ সরকারের এমন অভিযোগের পর তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে কাঠমান্ডুর একটি কূটনৈতিক সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আট জাতির দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনো নজির নেই। তা ছাড়া সার্কের সনদেও মহাসচিব তাঁর মেয়াদকাল শেষ হওয়ার আগেই সরে দাঁড়ালে কী হবে, সেটিরও কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে শিগগিরই সার্ক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পররাষ্ট্রসচিবদের জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে হবে।
কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গত শনিবার প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, দিয়ানা সায়িদ গত শুক্রবার মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ নাসিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আহমেদ নাসিম বর্তমানে সার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোরাম সার্ক কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের চেয়ারম্যান হিসেবে পদত্যাগের চিঠিটি গ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কূটনীতিক বলেন, পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন সার্ক সচিবালয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্বকারী পরিচালক রাজাপাকসে দামিয়ান্তি।
ঢাকা ও কাঠমান্ডুর কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের ১০ মাসের মাথায় সার্কের মহাসচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দিয়ানা সায়িদ। সার্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনিই ছিলেন এ পদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত অপেশাদার কূটনীতিক। সার্কের প্রথম নারী মহাসচিবও ছিলেন মালদ্বীপের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ২০১০ সালের এপ্রিলে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। আর তাঁর নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
মালদ্বীপের একজন কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় বিরোধী দলের নেতার পাশাপাশি ফৌজদারি আদালতের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত আইনজীবীদের এক সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করেন দিয়ানা সায়িদ। তিনি বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আহমেদ নাশিদের সরকার আইনের তোয়াক্কা করছে না। তাঁর এ মন্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়, দিয়ানা সায়িদ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলে সার্ক সনদের লঙ্ঘন করছেন। ওই মন্তব্যের এক দিন পর সার্কের মহাসচিবের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ান দিয়ানা সায়িদ।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর ছিলেন দিয়ানা সায়িদ। এতে রুষ্ট হন নাশিদ। অন্যদিকে, দিয়ানা সায়িদের স্বামী আবদুল্লাহ জাবির হচ্ছেন সরকারি দলের তহবিলের প্রধান জোগানদাতা। এ অবস্থায় দিয়ানাকে দেশের বাইরে রাখার পদক্ষেপ হিসেবে তাঁকে সার্কের মহাসচিব পদে মনোনয়ন দেন মোহাম্মদ নাশিদ।
কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গত শনিবার প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, দিয়ানা সায়িদ গত শুক্রবার মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ নাসিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আহমেদ নাসিম বর্তমানে সার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোরাম সার্ক কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের চেয়ারম্যান হিসেবে পদত্যাগের চিঠিটি গ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কূটনীতিক বলেন, পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন সার্ক সচিবালয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্বকারী পরিচালক রাজাপাকসে দামিয়ান্তি।
ঢাকা ও কাঠমান্ডুর কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের ১০ মাসের মাথায় সার্কের মহাসচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দিয়ানা সায়িদ। সার্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনিই ছিলেন এ পদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত অপেশাদার কূটনীতিক। সার্কের প্রথম নারী মহাসচিবও ছিলেন মালদ্বীপের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ২০১০ সালের এপ্রিলে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। আর তাঁর নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
মালদ্বীপের একজন কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় বিরোধী দলের নেতার পাশাপাশি ফৌজদারি আদালতের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত আইনজীবীদের এক সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করেন দিয়ানা সায়িদ। তিনি বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আহমেদ নাশিদের সরকার আইনের তোয়াক্কা করছে না। তাঁর এ মন্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়, দিয়ানা সায়িদ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলে সার্ক সনদের লঙ্ঘন করছেন। ওই মন্তব্যের এক দিন পর সার্কের মহাসচিবের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ান দিয়ানা সায়িদ।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর ছিলেন দিয়ানা সায়িদ। এতে রুষ্ট হন নাশিদ। অন্যদিকে, দিয়ানা সায়িদের স্বামী আবদুল্লাহ জাবির হচ্ছেন সরকারি দলের তহবিলের প্রধান জোগানদাতা। এ অবস্থায় দিয়ানাকে দেশের বাইরে রাখার পদক্ষেপ হিসেবে তাঁকে সার্কের মহাসচিব পদে মনোনয়ন দেন মোহাম্মদ নাশিদ।
No comments