হজগামীদের সঙ্গেও প্রতারণা! by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে হজের আর বাকি নয়-দশ দিন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের হজযাত্রীদের হজযাত্রার প্রস্তুতি। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪০ জন হজযাত্রী হজে যেতে পারেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৭০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ১ লাখ ৩ হাজার ৫৭০ জন বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে।
ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ, যা প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য অত্যাবশ্যক। এই হজব্রত পালন করতে গিয়ে মানুষকে যে হেনস্তা হতে হচ্ছে, তা সত্যি দুঃখজনক। সরকার যেখানে হাজিদের সব ধরনের অসুবিধা দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে, সেখানে এক শ্রেণীর হজ এজেন্সির প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে হজযাত্রীদের। এ সংক্রান্ত খবর মনে করিয়ে দেয়_ আমাদের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে! আল্লাহর ঘরে হাজির হওয়ার নিয়ত নিয়ে যারা হজযাত্রা করছেন, হজ এজেন্সির লোকজনকে যেখানে তাদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ থাকার কথা, সেখানে অনেক কিছুই পরাস্ত হচ্ছে বৈষয়িক লোভ-লালসার কাছে।
কয়েকদিন ধরে সমকালে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়_ 'এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে হাজি ক্যাম্পে অসহায় দিনযাপন করছেন প্রায় দেড়শ' হজযাত্রী। কষ্টার্জিত টাকা জমা দিয়েও তারা রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। হজ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।'
'এজেন্সির গাফিলতি, মদিনায় ১৫১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর দুর্ভোগ।'
'খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ৩২ জনকে হজে পাঠানোর নামে এক প্রতারক চক্র ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।'
হজ করতে গিয়ে প্রতি বছর দেশে এবং সৌদি আরবে লাখো হাজিকে নানা পেরেশানির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে হজ ফ্লাইট নিয়ে নানা অনিয়ম, ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হজ গমনেচ্ছুরা। হজ ফ্লাইট ভাড়া করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ, বিমানের ঘাটতি, ভিসা প্রক্রিয়ায় এজেন্সিগুলোর খামখেয়ালি ইত্যাদি কারণে নিয়ত করেও বহু জনের হজ পালন করতে না পারার সংবাদ আমাদের শুনতে হচ্ছে বেশ ক'বছর থেকেই। হজের জন্য বিমান ভাড়া করা নিয়েও কেলেঙ্কারি হয়েছে। মক্কা এবং মদিনায় হাজিদের থাকতে হয় কয়েক দিন। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েও তাদের পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। বেশি ভাড়া নিয়ে খুবই নিম্নমানের বাসায় হাজিদের থাকতে দেয় অনেক এজেন্সি। কয়েক বছর আগে মক্কায় এমনি এক জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে বাংলাদেশের কয়েক হাজির মৃত্যুও ঘটেছে। হজের সময় কিছু ভুয়া হজ এজেন্সির আবির্ভাব ঘটে। তারা হজে পাঠানোর নামে হজ পালনেচ্ছুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে, অথবা হজে পাঠালেও শর্ত অনুযায়ী সেখানে কোনো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে না। সেখানে গিয়ে হজ পালনকারীদের পড়তে হয় নানা বিপাকে।
এবার হজযাত্রীপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪২ টাকা। এই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও হয়রানিমুক্ত হতে পারছেন না হজযাত্রীরা। কোনো কোনো হজ এজেন্সি অসহায় এসব হজযাত্রীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এভাবে হজযাত্রীরা প্রতি বছরই হযরানির শিকার হয়ে থাকেন। কিছু এজেন্সি হজকে নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার ধান্দায় থাকে। হ্যাঁ, এটা তাদের ব্যবসা না হয় মানা গেল; কিন্তু ব্যবসার নামে হজযাত্রীদের এভাবে হয়রানি করা কতটুকু নৈতিক? মানছি ব্যবসাটা হালাল। তাই বলে এভাবে ঠেকিয়ে-ঠকিয়ে মুনাফা করতে হবে?
নতুন হজনীতি অনুসারে মাঠপর্যায়ের হাজি সংগ্রাহক বা গ্রুপ লিডার থাকার বিধান নেই। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। হজ এজেন্সিগুলো কেনোভাবেই এটা মানছে না। হাজি সংগ্রহের জন্য তারা মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-খতিব, ওয়ায়েজ ও পীর-মাশায়েখদের ব্যবহার করে থাকে। লোকজনও তাদের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রাখে। ফলে দেখা যায়, তাদের ওপর ভরসা করে লোকজন টাকা-পয়সা দিয়ে দিচ্ছে। এভাবেই উপরোক্ত শ্রেণীর লোকজন ক্রমান্বয়ে হজ ব্যবসায় নামছে। লাইসেন্স কিনে অথবা ভাড়া নিয়ে তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালায়।
আবার ক্ষেত্রবিশেষ দেখা যায়, মাঠ পর্যায়ের হাজি সংগ্রাহক ও এজেন্সির মালিকের সঙ্গে হজযাত্রীদের কোনো সম্পর্ক থাকে না। কারণ, মাঠ পর্যায়ের হাজি সংগ্রাহক এজেন্সি মালিকের কাছে হাজিদের বুঝিয়ে দিয়ে তার নির্দিষ্ট কমিশন নিয়ে কেটে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো, হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতকে ব্যবসার মাধ্যম বানিয়ে আখেরাতে মুক্তি হাসিলের পথকে সহজ না করে জটিল করা কি প্রকৃত ব্যবসাদারের কাজ? হজযাত্রীরা এ ব্যাপারে হজ ব্যবস্থাপনা, হাজি সংগ্রাহক ও হজ এজেন্সিগুলোর কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে সততা ও নিয়মানুবর্তিতা আশা করতেই পারেন। কারণ, আশা ও বিশ্বাস করেই হজযাত্রীরা তাদের জীবনের সব পুঁজি তাদের কাছে অর্পণ করেছেন হজ করার নিমিত্তে। নানা আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার কারণে এসব যাত্রীর অধিকাংশই জীবনের শেষলগ্নে হজে যান। তাই তাদের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই জরুরি।
হজ পালন করা হয় প্রতি বছর। প্রতি বছরই হজযাত্রা নিয়ে কিছু না কিছু ঝামেলার সৃষ্টি হয়, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এটা ঠিক যে, তাসরিয়া, ভিসা ও বিমানের টিকিট সময়মতো মেলে না। তখন এজেন্সিগুলোও অসুবিধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে গোপনীয়তা অবলম্বন না করে তা যাত্রীদের সময়ে সময়ে অবগত করলে অহেতুক অপবাদ ও টেনশনের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। যাত্রীদের বললেই হয়, এ কাজগুলোর কোনো একটিও এজেন্সির হাতে নেই। এগুলো বিভিন্ন অফিসের কাজ। কিন্তু এজেন্সিগুলো তা না করে গোপনীয়তার আশ্রয় নিলে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। অতীতে টাকা জমা দিয়েও হজে যেতে পারেননি_ এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
তাই একটি ভয় সবসময় কাজ করে হজযাত্রীদের। সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় গুজবের।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যান, তারা তেমন বিশৃঙ্খলার শিকার না হলেও বেসরকারিভাবে যারা হজে গমন করেন, তাদের কেউ কেউ বিচিত্র ও অবর্ণনীয় সংকটের মুখোমুখি হন। গুটিকয়েক অপেশাদার এজেন্সির সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সবাইকে দুর্নামের ভাগী হতে হয়। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে কোরবানির জন্য প্রদত্ত অর্থ নিয়ে অনিয়ম হয়। তবে আমরা আশা রাখি, এ বছর এ ধরনের কানো অনভিপ্রেত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। হাজিরা নির্বিঘ্নে হজব্রত পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবেন।
muftianaet@gmail.com
কয়েকদিন ধরে সমকালে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়_ 'এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে হাজি ক্যাম্পে অসহায় দিনযাপন করছেন প্রায় দেড়শ' হজযাত্রী। কষ্টার্জিত টাকা জমা দিয়েও তারা রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। হজ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।'
'এজেন্সির গাফিলতি, মদিনায় ১৫১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর দুর্ভোগ।'
'খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ৩২ জনকে হজে পাঠানোর নামে এক প্রতারক চক্র ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।'
হজ করতে গিয়ে প্রতি বছর দেশে এবং সৌদি আরবে লাখো হাজিকে নানা পেরেশানির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে হজ ফ্লাইট নিয়ে নানা অনিয়ম, ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হজ গমনেচ্ছুরা। হজ ফ্লাইট ভাড়া করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ, বিমানের ঘাটতি, ভিসা প্রক্রিয়ায় এজেন্সিগুলোর খামখেয়ালি ইত্যাদি কারণে নিয়ত করেও বহু জনের হজ পালন করতে না পারার সংবাদ আমাদের শুনতে হচ্ছে বেশ ক'বছর থেকেই। হজের জন্য বিমান ভাড়া করা নিয়েও কেলেঙ্কারি হয়েছে। মক্কা এবং মদিনায় হাজিদের থাকতে হয় কয়েক দিন। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েও তাদের পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। বেশি ভাড়া নিয়ে খুবই নিম্নমানের বাসায় হাজিদের থাকতে দেয় অনেক এজেন্সি। কয়েক বছর আগে মক্কায় এমনি এক জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে বাংলাদেশের কয়েক হাজির মৃত্যুও ঘটেছে। হজের সময় কিছু ভুয়া হজ এজেন্সির আবির্ভাব ঘটে। তারা হজে পাঠানোর নামে হজ পালনেচ্ছুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে, অথবা হজে পাঠালেও শর্ত অনুযায়ী সেখানে কোনো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে না। সেখানে গিয়ে হজ পালনকারীদের পড়তে হয় নানা বিপাকে।
এবার হজযাত্রীপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪২ টাকা। এই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও হয়রানিমুক্ত হতে পারছেন না হজযাত্রীরা। কোনো কোনো হজ এজেন্সি অসহায় এসব হজযাত্রীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এভাবে হজযাত্রীরা প্রতি বছরই হযরানির শিকার হয়ে থাকেন। কিছু এজেন্সি হজকে নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার ধান্দায় থাকে। হ্যাঁ, এটা তাদের ব্যবসা না হয় মানা গেল; কিন্তু ব্যবসার নামে হজযাত্রীদের এভাবে হয়রানি করা কতটুকু নৈতিক? মানছি ব্যবসাটা হালাল। তাই বলে এভাবে ঠেকিয়ে-ঠকিয়ে মুনাফা করতে হবে?
নতুন হজনীতি অনুসারে মাঠপর্যায়ের হাজি সংগ্রাহক বা গ্রুপ লিডার থাকার বিধান নেই। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। হজ এজেন্সিগুলো কেনোভাবেই এটা মানছে না। হাজি সংগ্রহের জন্য তারা মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-খতিব, ওয়ায়েজ ও পীর-মাশায়েখদের ব্যবহার করে থাকে। লোকজনও তাদের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রাখে। ফলে দেখা যায়, তাদের ওপর ভরসা করে লোকজন টাকা-পয়সা দিয়ে দিচ্ছে। এভাবেই উপরোক্ত শ্রেণীর লোকজন ক্রমান্বয়ে হজ ব্যবসায় নামছে। লাইসেন্স কিনে অথবা ভাড়া নিয়ে তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালায়।
আবার ক্ষেত্রবিশেষ দেখা যায়, মাঠ পর্যায়ের হাজি সংগ্রাহক ও এজেন্সির মালিকের সঙ্গে হজযাত্রীদের কোনো সম্পর্ক থাকে না। কারণ, মাঠ পর্যায়ের হাজি সংগ্রাহক এজেন্সি মালিকের কাছে হাজিদের বুঝিয়ে দিয়ে তার নির্দিষ্ট কমিশন নিয়ে কেটে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো, হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতকে ব্যবসার মাধ্যম বানিয়ে আখেরাতে মুক্তি হাসিলের পথকে সহজ না করে জটিল করা কি প্রকৃত ব্যবসাদারের কাজ? হজযাত্রীরা এ ব্যাপারে হজ ব্যবস্থাপনা, হাজি সংগ্রাহক ও হজ এজেন্সিগুলোর কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে সততা ও নিয়মানুবর্তিতা আশা করতেই পারেন। কারণ, আশা ও বিশ্বাস করেই হজযাত্রীরা তাদের জীবনের সব পুঁজি তাদের কাছে অর্পণ করেছেন হজ করার নিমিত্তে। নানা আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার কারণে এসব যাত্রীর অধিকাংশই জীবনের শেষলগ্নে হজে যান। তাই তাদের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই জরুরি।
হজ পালন করা হয় প্রতি বছর। প্রতি বছরই হজযাত্রা নিয়ে কিছু না কিছু ঝামেলার সৃষ্টি হয়, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এটা ঠিক যে, তাসরিয়া, ভিসা ও বিমানের টিকিট সময়মতো মেলে না। তখন এজেন্সিগুলোও অসুবিধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে গোপনীয়তা অবলম্বন না করে তা যাত্রীদের সময়ে সময়ে অবগত করলে অহেতুক অপবাদ ও টেনশনের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। যাত্রীদের বললেই হয়, এ কাজগুলোর কোনো একটিও এজেন্সির হাতে নেই। এগুলো বিভিন্ন অফিসের কাজ। কিন্তু এজেন্সিগুলো তা না করে গোপনীয়তার আশ্রয় নিলে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। অতীতে টাকা জমা দিয়েও হজে যেতে পারেননি_ এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
তাই একটি ভয় সবসময় কাজ করে হজযাত্রীদের। সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় গুজবের।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যান, তারা তেমন বিশৃঙ্খলার শিকার না হলেও বেসরকারিভাবে যারা হজে গমন করেন, তাদের কেউ কেউ বিচিত্র ও অবর্ণনীয় সংকটের মুখোমুখি হন। গুটিকয়েক অপেশাদার এজেন্সির সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সবাইকে দুর্নামের ভাগী হতে হয়। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে কোরবানির জন্য প্রদত্ত অর্থ নিয়ে অনিয়ম হয়। তবে আমরা আশা রাখি, এ বছর এ ধরনের কানো অনভিপ্রেত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। হাজিরা নির্বিঘ্নে হজব্রত পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবেন।
muftianaet@gmail.com
No comments