বিচার দ্রুত হয়েছে, ন্যায় নিশ্চিত করা যায়নি-মিরসরাই ট্র্যাজেডি
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিরসরাইয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, ‘আদালত মনে করে আসামি দৃষ্টান্ত হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত।
রায়ে মফিজকে দণ্ডবিধি ১৮৬-এর ৩০৮ ও ৩৩৮ক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এর প্রথমটি হলো বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যার শাস্তিসীমা তিন বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, দ্বিতীয় ধারা হলো বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে গুরুতর জখম করা; যার শাস্তিসীমা দুই বছর জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা।’
যে সড়ক দুর্ঘটনা সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল, তার দ্রুত ও ন্যায়বিচারই প্রত্যাশিত ছিল। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার যে দীর্ঘসূত্রতা তাতে পাঁচ মাসের মধ্যে একটি মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়া নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবিদার। আশির দশকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খেয়ালি পুত্রের অসতর্ক গাড়ি চালনার শিকার হয়েছিলেন তরুণ ও সম্ভাবনাময় ছড়াকার বাপী শাহরিয়ার। সেই সড়ক দুর্ঘটনার বিচার আজও হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনায় আমরা দ্রুত বিচার পেলেও ন্যায়বিচার পাইনি। আইনগত ত্রুটি বা দুর্বলতার জন্যই এমনটি হয়েছে।
আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে থাকে। কখনো কখনো প্রভাবশালীরা অর্থের জোরে বিচার নিজের পক্ষে নেন কিংবা ধামাচাপা দেন। কিন্তু মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনায় গুরু পাপে লঘু দণ্ড হয়েছে। একসঙ্গে ৪২ স্কুলশিক্ষার্থীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু ঘটল। অথচ চালকের মাত্র পাঁচ বছর কারাদণ্ড! যদি চালক ইচ্ছে করে এ দুর্ঘটনা না-ও ঘটিয়ে থাকেন, লাইসেন্সধারী হিসেবে তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। আদালত নিজেই বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
যে আইন দুর্ঘটনাকারীর মনে ভীতি জাগাতে ব্যর্থ, সেই আইন দিয়ে নিরাপদ সড়ক আশা করা যায় না। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিককালে সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। চালকদের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা ও চালকদের ব্যক্তিগত চারিত্রিক স্খলনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।’ অতএব প্রথমেই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে। এর পাশাপাশি চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শাস্তি না পাওয়ার কারণেই চালকেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
মিরসরাইয়ে আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের ফিরে পাব না, কোনো বিচারই স্বজনহারাদের বেদনা ও হাহাকার বন্ধ করতে পারবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো বাবা-মাকে এভাবে সন্তান হারাতে না হয়, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, চাই নিরাপদ জীবনও।
যে সড়ক দুর্ঘটনা সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল, তার দ্রুত ও ন্যায়বিচারই প্রত্যাশিত ছিল। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার যে দীর্ঘসূত্রতা তাতে পাঁচ মাসের মধ্যে একটি মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়া নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবিদার। আশির দশকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খেয়ালি পুত্রের অসতর্ক গাড়ি চালনার শিকার হয়েছিলেন তরুণ ও সম্ভাবনাময় ছড়াকার বাপী শাহরিয়ার। সেই সড়ক দুর্ঘটনার বিচার আজও হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনায় আমরা দ্রুত বিচার পেলেও ন্যায়বিচার পাইনি। আইনগত ত্রুটি বা দুর্বলতার জন্যই এমনটি হয়েছে।
আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে থাকে। কখনো কখনো প্রভাবশালীরা অর্থের জোরে বিচার নিজের পক্ষে নেন কিংবা ধামাচাপা দেন। কিন্তু মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনায় গুরু পাপে লঘু দণ্ড হয়েছে। একসঙ্গে ৪২ স্কুলশিক্ষার্থীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু ঘটল। অথচ চালকের মাত্র পাঁচ বছর কারাদণ্ড! যদি চালক ইচ্ছে করে এ দুর্ঘটনা না-ও ঘটিয়ে থাকেন, লাইসেন্সধারী হিসেবে তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। আদালত নিজেই বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
যে আইন দুর্ঘটনাকারীর মনে ভীতি জাগাতে ব্যর্থ, সেই আইন দিয়ে নিরাপদ সড়ক আশা করা যায় না। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিককালে সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। চালকদের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা ও চালকদের ব্যক্তিগত চারিত্রিক স্খলনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।’ অতএব প্রথমেই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে। এর পাশাপাশি চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শাস্তি না পাওয়ার কারণেই চালকেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
মিরসরাইয়ে আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের ফিরে পাব না, কোনো বিচারই স্বজনহারাদের বেদনা ও হাহাকার বন্ধ করতে পারবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো বাবা-মাকে এভাবে সন্তান হারাতে না হয়, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, চাই নিরাপদ জীবনও।
No comments