বিশেষজ্ঞদের তথ্য-অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ বেশি
অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার বেশি। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এইচআইভিতে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ৬৪ শতাংশ একসময় বিদেশে কর্মরত ছিলেন। বৃহত্তর সিলেট এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে এইচআইভি, সিফিলিস ও হেপাটাইটিস-বির সংক্রমণ নিয়ে জরিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য দেন। গতকাল রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইইডিসিআরের পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, এইচআইভি-সংক্রমিত অভিবাসী শ্রমিকের মাধ্যমে প্রধানত স্ত্রী (বা স্বামী) সংক্রমিত হয়। স্ত্রী বা শিশু সংক্রমিত হলে ধরে নেওয়া হয় যে অভিবাসী শ্রমিকের কারণে এ সংক্রমণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের তথ্য উপস্থাপনের সময় তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সারা বিশ্বে দুই হাজার শিশু এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গর্ভবতী মায়েদের সংক্রমণ নিয়ে নতুন এ জরিপ হবে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এক কোটি টাকার এ জরিপ শেষ হবে আগামী জুন মাসে। জাতীয় এইডস ও এসটিডি কর্মসূচি এ জরিপে অর্থায়ন করছে। জরিপে সহায়তা করছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
ইউনিসেফের এইচআইভি ও এইডস বিশেষজ্ঞ ব্রিজিত জব-জনসন বলেন, এ জরিপের সময় গর্ভবতী মায়েরা বিশেষ সেবা পাবে। এসব মায়ের সন্তানেরা এইচআইভি-সংক্রমণমুক্ত থাকবে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, মহিলাদের প্রজননস্বাস্থ্যের ওপর এইচআইভির প্রভাব খুব তাৎপর্যপূর্ণ। নিজের সন্তানের সংক্রমণ ধরা পড়ার আগপর্যন্ত এইচআইভি সম্পর্কে অধিকাংশ মহিলা অজ্ঞ থাকেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, সিলেট অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে অভিবাসনের সম্পর্ক বেশি। তা ছাড়া এই অঞ্চলে এইচআইভির সংক্রমণও তুলনা-মূলকভাবে বেশি।
No comments