ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা by সুদীপ্ত সাইদ
বিশ্বায়ন, ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য, আর অধিক নিরাপত্তা, অধিক নির্ভরতা, নারী স্বাধীনতা, আর জীবনকে আরও দ্রুত, আরও আরামদায়ক, আপনার জীবনকে আরও স্বস্তি এনে দেওয়ার এজেন্সি যাদের হাতে, তারাই আপনাকে প্রতিনিয়ত ফেলে দিচ্ছে এক বিমূর্ত দাসত্বের পথে, আর তাদের ফেলা ফাঁদে আপনি প্রতিনিয়ত মনিটরিং হচ্ছেন।
আপনি যেহেতু ফেসবুক ও ই-মেইল ব্যবহার করেন এবং আপনাকে যেহেতু প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথা বলতে হয়, আপনি যেহেতু প্রযুক্তিকে ভালোবাসেন, সেহেতু আপনার এ প্রযুক্তি পণ্যের মাধ্যমেই আপনি আপনার যাবতীয় খবর, আপনার দৈনন্দিন কার্যাবলির খুঁটিনাটি তথ্য নিজের অজান্তেই তুলে দিচ্ছেন তাদের হাতে। আপনি হয়তো ধারণা করছেন আপনার এ তথ্যগুলো তেমন কেউ জানছে না; কিন্তু আসলে তা ভিন্ন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন শপিংমল বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার স্বার্থে আপনাকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যেমন মনিটর করা হচ্ছে, তেমনি হয়তো আপনার ফোন ট্যাপিং হচ্ছে, যা আপনি জানেন না।
ধরুন আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। একান্ত কিছু কথা। নানা স্পর্শকাতর কথা চলতে চলতে হয়তো আপনি ফোনের এ-পাশ থেকে ও-পাশে ছুড়ে দিয়েছেন কোনো মধুর বুলি। আপনার মুখ থেকে হয়তো বেরিয়ে গেছে একটি স্পর্শকাতর শব্দ। আপনি আর আপনার প্রিয় মানুষটি জানেন যে, এ কথা আপনারা দু'জন ছাড়া আর কেউ জানেন না। কিন্তু আপনার এতদিনের বিশ্বাস আর শঙ্কাহীনতাকে যদি উড়িয়ে দিয়ে বলি_ শুধু আপনারা দু'জনই নন, আরও একটি কান শুনেছে! আপনি তখন কোন কানের কথা মনে মনে ভাববেন? আপনি যখন মোবাইলে আপনার এ গোপন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, তখন মোবাইল কোম্পানি অথবা গোয়েন্দা সংস্থা আপনার এ কথাগুলো রেকর্ড করে রেখেছে যা আপনার একান্ত গোপনীয় বিষয়। তা-ই আজ সবার সামনে। প্রতিটি প্রযুক্তিরই জন্ম কোনো না কোনো কল্যাণের উদ্দেশ্যে। অথচ আপনার কল্যাণকামী যন্ত্রটিকেই একদল মানুষ আপনাকে জিম্মি করার হীন উদ্দেশ্যে কাজ করে চলেছে। আজ ফেসবুক, টুইটার বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো একদিকে যেমন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে, তেমনি এর মাধ্যমে অন্যদিক থেকে আমাদের জিম্মি করে ফেলেছে। কোনো অনুষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার ক্ষেত্রে আপনাকে সিসি ক্যামেরার সামনে যেতে হচ্ছে, যা আপনার ব্যক্তিসত্তার জন্য একটি বিব্রতকর ঘটনা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথাই বলি_ কয়েকদিন আগে পারসোনার বনানী শাখায় যে ঘটনাটা ঘটে গেল, সেটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? স্পা করতে আসা এক মহিলা পোশাক পরিবর্তন করার জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে গেলে তাকে সিসি ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হয়। ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, একটি সভ্য সমাজের কাজ এমনটা হতে পারে না। আজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য নারী, কেউ কেউ আত্মহত্যাও করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা কি কোনো প্রতিকারের দিকে যাচ্ছি? আসলে আমাদের আইন থাকা সত্ত্বেও তার কোনো প্রয়োগ যেমন হচ্ছে না, তেমনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নিরাপত্তার নামে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে নানা হস্তক্ষেপ করে চলেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে সব তথ্যই এখন সবার হাতের মুঠোয়। ফলে যে কোনো মুহূর্তে যে কেউ অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণীর অসাধু সদস্যও আপনার তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে জিম্মি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের নির্ভরতার জায়গাগুলো ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের আশ্বাসবাণী ছাড়া কার্যক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখছি না। ফলে আমাকে প্রতিনিয়ত আমার ব্যক্তিগত গোপন তথ্যের অধিকার নিয়ে শঙ্কিত থাকতে হচ্ছে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমি ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দাবি করতেই পারি এবং এটা আমার অধিকার।
ধরুন আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। একান্ত কিছু কথা। নানা স্পর্শকাতর কথা চলতে চলতে হয়তো আপনি ফোনের এ-পাশ থেকে ও-পাশে ছুড়ে দিয়েছেন কোনো মধুর বুলি। আপনার মুখ থেকে হয়তো বেরিয়ে গেছে একটি স্পর্শকাতর শব্দ। আপনি আর আপনার প্রিয় মানুষটি জানেন যে, এ কথা আপনারা দু'জন ছাড়া আর কেউ জানেন না। কিন্তু আপনার এতদিনের বিশ্বাস আর শঙ্কাহীনতাকে যদি উড়িয়ে দিয়ে বলি_ শুধু আপনারা দু'জনই নন, আরও একটি কান শুনেছে! আপনি তখন কোন কানের কথা মনে মনে ভাববেন? আপনি যখন মোবাইলে আপনার এ গোপন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, তখন মোবাইল কোম্পানি অথবা গোয়েন্দা সংস্থা আপনার এ কথাগুলো রেকর্ড করে রেখেছে যা আপনার একান্ত গোপনীয় বিষয়। তা-ই আজ সবার সামনে। প্রতিটি প্রযুক্তিরই জন্ম কোনো না কোনো কল্যাণের উদ্দেশ্যে। অথচ আপনার কল্যাণকামী যন্ত্রটিকেই একদল মানুষ আপনাকে জিম্মি করার হীন উদ্দেশ্যে কাজ করে চলেছে। আজ ফেসবুক, টুইটার বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো একদিকে যেমন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে, তেমনি এর মাধ্যমে অন্যদিক থেকে আমাদের জিম্মি করে ফেলেছে। কোনো অনুষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার ক্ষেত্রে আপনাকে সিসি ক্যামেরার সামনে যেতে হচ্ছে, যা আপনার ব্যক্তিসত্তার জন্য একটি বিব্রতকর ঘটনা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথাই বলি_ কয়েকদিন আগে পারসোনার বনানী শাখায় যে ঘটনাটা ঘটে গেল, সেটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? স্পা করতে আসা এক মহিলা পোশাক পরিবর্তন করার জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে গেলে তাকে সিসি ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হয়। ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, একটি সভ্য সমাজের কাজ এমনটা হতে পারে না। আজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য নারী, কেউ কেউ আত্মহত্যাও করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা কি কোনো প্রতিকারের দিকে যাচ্ছি? আসলে আমাদের আইন থাকা সত্ত্বেও তার কোনো প্রয়োগ যেমন হচ্ছে না, তেমনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নিরাপত্তার নামে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে নানা হস্তক্ষেপ করে চলেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে সব তথ্যই এখন সবার হাতের মুঠোয়। ফলে যে কোনো মুহূর্তে যে কেউ অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণীর অসাধু সদস্যও আপনার তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে জিম্মি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের নির্ভরতার জায়গাগুলো ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের আশ্বাসবাণী ছাড়া কার্যক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখছি না। ফলে আমাকে প্রতিনিয়ত আমার ব্যক্তিগত গোপন তথ্যের অধিকার নিয়ে শঙ্কিত থাকতে হচ্ছে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমি ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দাবি করতেই পারি এবং এটা আমার অধিকার।
No comments