ডলারের মূল্যবৃদ্ধি আর মন্দা পরিস্থিতি by ইফতেখার আহমেদ টিপু
দেশের অর্থনীতিতে দৈন্যদশা বিরাজ করছে। ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট তীব্রতর হচ্ছে। কয়েক দফায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় লাগামহীন। রাজস্ব আয় ব্যতীত অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো নিম্নমুখী। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা পরিস্থিতি দীর্ঘতর হচ্ছে।
অব্যাহত মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্স-প্রবাহে নিম্নগতি এবং রপ্তানি আয় আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় ডলারের দাম বাড়ার সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে। রিজার্ভ সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পোৎপাদনে ধস নেমেছে। সেই সঙ্গে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের আকাল পড়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি খোলাবাজারেও এখন ডলার সংকট চরমে। চাহিদা অনুযায়ী ডলার সহজে মিলছে না। এ ছাড়া প্রতিদিনই বাড়ছে এর দাম। মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় চলমান সমস্যা প্রায় এক বছর ধরে চললেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নভেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে ডলার সংরক্ষণের সীমা দ্বিগুণ করে দেওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো অসম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ শুরু করে। ব্যাংকের এলসি খোলাসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত ডলার না থাকা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা না পাওয়ায় শেষ ভরসা হিসেবে এ ব্যবস্থা বেছে নিয়েছে কোনো কোনো ব্যাংক। আর এ কারণে বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম। অন্যদিকে ব্যাংকিং চ্যানেল এলসির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের জোগান দিতে না পারায় অনেক আমদানিকারক আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ঋণপত্রে ঘোষিত মূল্যের অতিরিক্ত ডলার খোলাবাজার থেকে কিনে হুন্ডির মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সরকার আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব হারাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমাদের আমদানি ব্যয় ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষান্তরে, একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ, যা গত বছর ছিল পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। এর ফলে দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যের ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে।
ডলার সংকটের জন্য দায়ী হচ্ছে ব্যাপক চোরাচালান। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি বিরাট অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে। আবার এই অভিযোগও রয়েছে, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি টাকার হাট বসে এবং সেখানে ডলারে তা রূপান্তর ও কাঙ্ক্ষিত দেশে পাচারের নিরাপদ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তা রোধের জন্য সরকারিভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা যায়নি। সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির ফলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে এবং ডলার সংকট তীব্রতর হচ্ছে। ডলার সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শিল্প ও বাণিজ্য খাতে এলসি খুলতেও অপারগতা প্রকাশ করছে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্রমেই সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। আবার দাতা দেশ এবং সংস্থাগুলোও বিভিন্ন কারণে এখন বৈদেশিক সাহায্য বাবদ অর্থ ছাড় অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা যৎসামান্য যা ছাড় করছে, তার প্রায় সবটাই ঋণ পরিশোধের কিস্তি বাবদ ফেরত দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত এক তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে দাতা সংস্থাগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ২৪৬.২ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। এর মধ্যে ২২৩.৩ মিলিয়ন ডলার সরকারকে ঋণের কিস্তি বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের এ ক্ষেত্রে নিট প্রাপ্তি মাত্র ২২.৯ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থা অর্থনীতির দেউলিয়াপনার ইঙ্গিত বহন করে। কাজেই আসন্ন বিপর্যয় থেকে জাতীয় অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হলে সরকারি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় ও অপচয় রোধ, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, রেমিট্যান্স-প্রবাহ জোরদার এবং পাচার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে বলে আমরা মনে করি না। এ ব্যাপারে তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ, তীব্র ডলার সংকট এবং টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক দায়-দেনার ঘাটতি_এ সব কিছুই সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য প্রায় শূন্যের ঘরে চলে আসা, এফডিআই হ্রাস, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ও কমতির দিকে থাকায় ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।
সংকট উপলব্ধি করা যতটা না গুরুত্বের, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বের বিষয় হলো_সংকট মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। মুদ্রাস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে নিয়ে আসাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে সেদিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। টেকসই প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির সমান্তরাল সম্পর্ক রয়েছে। শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে যদি টেকসই প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি ঘটে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিনিয়োগই বাড়াতে হবে সব কিছুর বিনিময়ে। এডিপির গৃহীত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ার যে খবরাখবর বেরোচ্ছে, তাতে কিন্তু আশাহত হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকে। বিশ্ববাজারে খাদ্যমূল্য এবং তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বহির্বিশ্বকে এগিয়ে আসার শত আহ্বান থাকলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রাজ্ঞতা আমাদেরই অর্জন করতে হবে।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নবরাজ এবং চেয়ারম্যান, ইফাদ গ্রুপ
chairman@ifadgroup.com
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নভেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে ডলার সংরক্ষণের সীমা দ্বিগুণ করে দেওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো অসম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ শুরু করে। ব্যাংকের এলসি খোলাসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত ডলার না থাকা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা না পাওয়ায় শেষ ভরসা হিসেবে এ ব্যবস্থা বেছে নিয়েছে কোনো কোনো ব্যাংক। আর এ কারণে বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম। অন্যদিকে ব্যাংকিং চ্যানেল এলসির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের জোগান দিতে না পারায় অনেক আমদানিকারক আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ঋণপত্রে ঘোষিত মূল্যের অতিরিক্ত ডলার খোলাবাজার থেকে কিনে হুন্ডির মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সরকার আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব হারাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমাদের আমদানি ব্যয় ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পক্ষান্তরে, একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ, যা গত বছর ছিল পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। এর ফলে দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যের ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে।
ডলার সংকটের জন্য দায়ী হচ্ছে ব্যাপক চোরাচালান। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি বিরাট অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে। আবার এই অভিযোগও রয়েছে, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি টাকার হাট বসে এবং সেখানে ডলারে তা রূপান্তর ও কাঙ্ক্ষিত দেশে পাচারের নিরাপদ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তা রোধের জন্য সরকারিভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা যায়নি। সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির ফলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে এবং ডলার সংকট তীব্রতর হচ্ছে। ডলার সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শিল্প ও বাণিজ্য খাতে এলসি খুলতেও অপারগতা প্রকাশ করছে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্রমেই সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। আবার দাতা দেশ এবং সংস্থাগুলোও বিভিন্ন কারণে এখন বৈদেশিক সাহায্য বাবদ অর্থ ছাড় অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা যৎসামান্য যা ছাড় করছে, তার প্রায় সবটাই ঋণ পরিশোধের কিস্তি বাবদ ফেরত দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত এক তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে দাতা সংস্থাগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ২৪৬.২ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। এর মধ্যে ২২৩.৩ মিলিয়ন ডলার সরকারকে ঋণের কিস্তি বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের এ ক্ষেত্রে নিট প্রাপ্তি মাত্র ২২.৯ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থা অর্থনীতির দেউলিয়াপনার ইঙ্গিত বহন করে। কাজেই আসন্ন বিপর্যয় থেকে জাতীয় অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হলে সরকারি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় ও অপচয় রোধ, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, রেমিট্যান্স-প্রবাহ জোরদার এবং পাচার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে বলে আমরা মনে করি না। এ ব্যাপারে তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ, তীব্র ডলার সংকট এবং টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক দায়-দেনার ঘাটতি_এ সব কিছুই সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য প্রায় শূন্যের ঘরে চলে আসা, এফডিআই হ্রাস, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ও কমতির দিকে থাকায় ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।
সংকট উপলব্ধি করা যতটা না গুরুত্বের, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বের বিষয় হলো_সংকট মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। মুদ্রাস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে নিয়ে আসাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে সেদিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। টেকসই প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির সমান্তরাল সম্পর্ক রয়েছে। শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে যদি টেকসই প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি ঘটে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিনিয়োগই বাড়াতে হবে সব কিছুর বিনিময়ে। এডিপির গৃহীত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ার যে খবরাখবর বেরোচ্ছে, তাতে কিন্তু আশাহত হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকে। বিশ্ববাজারে খাদ্যমূল্য এবং তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বহির্বিশ্বকে এগিয়ে আসার শত আহ্বান থাকলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রাজ্ঞতা আমাদেরই অর্জন করতে হবে।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নবরাজ এবং চেয়ারম্যান, ইফাদ গ্রুপ
chairman@ifadgroup.com
No comments