আরও দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজীবী নেওয়া হোক-যুদ্ধাপরাধের বিচার
সন্দেহভাজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পুনর্দাখিলের নির্দেশ দেওয়ার দুই দিনের ব্যবধানে গতকাল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রায় একইভাবে পুনর্দাখিলের নির্দেশ দিলেন ট্রাইব্যুনাল। এ ঘটনায় আবারও প্রশ্ন তৈরি হলো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রসিকিউশন টিম যথেষ্ট
দক্ষ ও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ কি না। গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছিল, ‘গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রতীয়মান হচ্ছে যে বিক্ষিপ্তভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।’ এটা প্রসিকিউশনের উড়ুক্কুচিত্তের বহিঃপ্রকাশ কি না, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ আদেশে আরও বলা হয়েছে, অভিযোগসমূহ যথাযথভাবে শ্রেণীবিন্যস্তও করা হয়নি। তাই এটা ‘পদ্ধতিগতভাবে’ প্রস্তুত করে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে পুনরায় দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইন ও বিচারমন্ত্রী শফিক আহমেদের মন্তব্য করার সুযোগ ছিল না।
আমরা ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার গোড়াতেই সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে অনেক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য শুনে আসছি। আইন প্রতিমন্ত্রীর দেখাদেখি এখন আইনমন্ত্রীও ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনভিপ্রেত মন্তব্য করছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক। এর আগে আইনমন্ত্রীর এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ‘আল্লাহর ওয়াস্তে’ চলমান বিচার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী, সাংবাদিকসহ কোনো মহলকেই অসতর্ক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আদালত কেন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পুনর্দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মৌখিক বক্তব্য ট্রাইব্যুনালের লিখিত আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই বিচার-প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিচারের সপক্ষ শক্তিকে সোচ্চার থাকতে হয়েছে। ১৩ সদস্যের প্রসিকিউশন টিমের অনেক সদস্যের যোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ। উপরন্তু পত্রিকান্তরে তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বোঝাপড়ার ঘাটতির বিষয়ে খবর ছাপা হয়েছে। তাঁদের যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন বিবেচনা না করার যে অভিযোগ করা হচ্ছিল, তার ছাপ এখন লক্ষ করা যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছিলেন, হয়তো গোলাম আযমের ব্যাপারে অভিযোগের ব্যাপকতা এবং তাঁর কর্মকাণ্ড সারা দেশে বিস্মৃত ছিল বলেই আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্য অসার প্রমাণ করে দিয়ে ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ট্রাইব্যুনাল ত্রুটিযুক্ততার কারণেই আরও দুজন আসামির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পুনর্দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
গোটা জাতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে সরকারি দলের নীতিনির্ধারকেরা হরহামেশা উল্লেখ করে থাকেন। কিন্তু তাঁদের কাজকর্মে এর তেমন ছাপ দেখা যায় না। কিছুদিন এক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিপুলসংখ্যক বিচারক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আমীর-উল ইসলামের মতো জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের প্রসিকিউশন টিমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। বক্তারা কেউ তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করেননি।
আমরা আশা করব, সরকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব মুক্ত থেকে প্রসিকিউশন টিমে যোগ্য ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবে।
আমরা ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার গোড়াতেই সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে অনেক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য শুনে আসছি। আইন প্রতিমন্ত্রীর দেখাদেখি এখন আইনমন্ত্রীও ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনভিপ্রেত মন্তব্য করছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক। এর আগে আইনমন্ত্রীর এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ‘আল্লাহর ওয়াস্তে’ চলমান বিচার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী, সাংবাদিকসহ কোনো মহলকেই অসতর্ক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আদালত কেন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পুনর্দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মৌখিক বক্তব্য ট্রাইব্যুনালের লিখিত আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই বিচার-প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিচারের সপক্ষ শক্তিকে সোচ্চার থাকতে হয়েছে। ১৩ সদস্যের প্রসিকিউশন টিমের অনেক সদস্যের যোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ। উপরন্তু পত্রিকান্তরে তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বোঝাপড়ার ঘাটতির বিষয়ে খবর ছাপা হয়েছে। তাঁদের যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন বিবেচনা না করার যে অভিযোগ করা হচ্ছিল, তার ছাপ এখন লক্ষ করা যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছিলেন, হয়তো গোলাম আযমের ব্যাপারে অভিযোগের ব্যাপকতা এবং তাঁর কর্মকাণ্ড সারা দেশে বিস্মৃত ছিল বলেই আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্য অসার প্রমাণ করে দিয়ে ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ট্রাইব্যুনাল ত্রুটিযুক্ততার কারণেই আরও দুজন আসামির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পুনর্দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
গোটা জাতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে সরকারি দলের নীতিনির্ধারকেরা হরহামেশা উল্লেখ করে থাকেন। কিন্তু তাঁদের কাজকর্মে এর তেমন ছাপ দেখা যায় না। কিছুদিন এক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিপুলসংখ্যক বিচারক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আমীর-উল ইসলামের মতো জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের প্রসিকিউশন টিমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। বক্তারা কেউ তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করেননি।
আমরা আশা করব, সরকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব মুক্ত থেকে প্রসিকিউশন টিমে যোগ্য ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবে।
No comments