২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
দুস্থ মহিলাদের নামে বরাদ্দ করা প্রায় ২০ লাখ টাকা বিতরণ না করে অর্থসহ এখন উধাও উত্তরায়ণ জনকল্যাণ মহিলা সমিতির (ইউজেএমএস) সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেশ ফাউন্ডেশনের স্থানীয় (হালুয়াঘাট উপজেলা) প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরিজুল ইসলাম। ফলে প্রায় এক হাজার দুস্থ মহিলা তাঁদের নামে বরাদ্দকৃত মাথাপিছু এক হাজার ৯০০ টাকা পাননি গত তিন মাসেও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনামুল হক গতকাল কালের কণ্ঠকে
বলেন, 'দুস্থদের টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যাওয়া এনজিও কর্মকর্তা বড় ধরনের অন্যায় করেছে। আমরা তাঁর সন্ধান করার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি আইনের সহায়তা নিচ্ছি।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও লিখিতভাবে জানিয়েছি।'
এ প্রসঙ্গে তদারকি প্রতিষ্ঠান মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গরিবের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এনজিওকর্মীর পালানোর ঘটনা নিয়ে আমি নিজেও বৈঠক করেছি। টাকা সমন্বয় করে বিতরণের জন্য চাপ দিয়েছি। জেশ ফাউন্ডেশন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এর সুরাহা হবে।'
এনজিও ব্যুরো ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে জেশ ফাউন্ডেশনের দেওয়া এক চিঠি থেকে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় 'ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য আলট্রা পুওর (ভিজিডিইউপি)' প্রকল্পে ইউজেএমএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হয় জেশ ফাউন্ডেশন। ইউজেএমএস সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধু একটি উপজেলায় (হালুয়াঘাটে) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেশ ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেয়। এ জন্য ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি জেশ ফাউন্ডেশন এবং ইউজেএমএসের মধ্যে একটি উপচুক্তি (সাব-কনট্রাক্ট) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে দায়িত্ব শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময় ছিল ৩০ জুন ২০১১। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও ভিজিডিইউপি প্রকল্পের অর্থ অতিরিক্ত থাকায় দাতাসংস্থা ও সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবার প্রত্যেক সদস্যকে এক হাজার ৯০০ টাকা করে নগদ বিতরণের দায়িত্ব পড়ে ইউজেএমএসসহ জেশ ফাউন্ডেশনের ওপর। কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বটি নিতে চায়নি জেশ। ইউজেএমএসের চাপে তারা একপর্যায়ে দুই হাজার ২২৩ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে অর্থ বিতরণের দায়িত্ব নেয়।
জানা যায়, ইউজেএমএস গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের হালুয়াঘাট উপজেলার প্রজেক্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২ ইউনিয়নের দুই হাজার ২২৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে বিতরণের জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়। পরে দুজন মন্ত্রী এ টাকা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর ধারাবাহিকতায় জেশ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিজুল ইসলাম এরই মধ্যে অর্থ বিতরণের লক্ষ্যে তিন দিনে ৪২ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার দুস্থ মহিলাকে টাকা না দিয়ে ২০ লাখ টাকা নিয়ে ২ অক্টোবর রাতে তিনি গা ঢাকা দেন।
জানা যায়, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী টাকা উত্তোলন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, ইউজেএমএসের প্রকল্প কর্মকর্তা ও পিটিএফ কর্মকর্তার তদারক করার কথা ছিল। মহিলা অধিদপ্তরে দেওয়া ওই চিঠিতে অভিযোগ করে বলা হয়, ইউজেএমএসের ময়মনসিংহ জেলা ম্যানেজার শাহজাহান হালুয়াঘাটের প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিজুলকে আত্মগোপনে প্ররোচিত করেন। আর অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব দেওয়াটাও যুক্তিযুক্ত হয়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক গৌতম সান্যাল টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শুরু থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল উপজেলা ম্যানেজার আরিজুলের ওপর। তিনি সব সময়ই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে প্রকল্প সুপারভাইজার, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও পিটিএফ সুপারভাইজারের সহযোগিতায় হালুয়াঘাট উপজেলার দুই হাজার ২২৩ জন দুস্থ মহিলার মাঝে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে তিনি অসংখ্য সদস্যকে টাকা না দিয়ে নগদ সহায়তার প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান সুবিধাভোগীদের তালিকা, অফিসের ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায়। বাড়িতে যোগাযোগ, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, মামলা করাসহ নানা উপায়ে তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা গত ১৭ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এতে ২০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিজুল আত্মগোপন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইউজেএমএসের নির্বাহী পরিচালক খায়রুন নাহার খানম বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা দুস্থদের টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।' তিনিও দাবি করেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে টাকা বিতরণের দায়িত্ব দেওয়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঠিক হয়নি।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও লিখিতভাবে জানিয়েছি।'
এ প্রসঙ্গে তদারকি প্রতিষ্ঠান মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গরিবের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এনজিওকর্মীর পালানোর ঘটনা নিয়ে আমি নিজেও বৈঠক করেছি। টাকা সমন্বয় করে বিতরণের জন্য চাপ দিয়েছি। জেশ ফাউন্ডেশন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এর সুরাহা হবে।'
এনজিও ব্যুরো ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে জেশ ফাউন্ডেশনের দেওয়া এক চিঠি থেকে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় 'ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য আলট্রা পুওর (ভিজিডিইউপি)' প্রকল্পে ইউজেএমএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হয় জেশ ফাউন্ডেশন। ইউজেএমএস সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধু একটি উপজেলায় (হালুয়াঘাটে) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেশ ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেয়। এ জন্য ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি জেশ ফাউন্ডেশন এবং ইউজেএমএসের মধ্যে একটি উপচুক্তি (সাব-কনট্রাক্ট) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে দায়িত্ব শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময় ছিল ৩০ জুন ২০১১। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও ভিজিডিইউপি প্রকল্পের অর্থ অতিরিক্ত থাকায় দাতাসংস্থা ও সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবার প্রত্যেক সদস্যকে এক হাজার ৯০০ টাকা করে নগদ বিতরণের দায়িত্ব পড়ে ইউজেএমএসসহ জেশ ফাউন্ডেশনের ওপর। কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বটি নিতে চায়নি জেশ। ইউজেএমএসের চাপে তারা একপর্যায়ে দুই হাজার ২২৩ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে অর্থ বিতরণের দায়িত্ব নেয়।
জানা যায়, ইউজেএমএস গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের হালুয়াঘাট উপজেলার প্রজেক্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২ ইউনিয়নের দুই হাজার ২২৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে বিতরণের জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়। পরে দুজন মন্ত্রী এ টাকা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর ধারাবাহিকতায় জেশ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিজুল ইসলাম এরই মধ্যে অর্থ বিতরণের লক্ষ্যে তিন দিনে ৪২ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার দুস্থ মহিলাকে টাকা না দিয়ে ২০ লাখ টাকা নিয়ে ২ অক্টোবর রাতে তিনি গা ঢাকা দেন।
জানা যায়, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী টাকা উত্তোলন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, ইউজেএমএসের প্রকল্প কর্মকর্তা ও পিটিএফ কর্মকর্তার তদারক করার কথা ছিল। মহিলা অধিদপ্তরে দেওয়া ওই চিঠিতে অভিযোগ করে বলা হয়, ইউজেএমএসের ময়মনসিংহ জেলা ম্যানেজার শাহজাহান হালুয়াঘাটের প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিজুলকে আত্মগোপনে প্ররোচিত করেন। আর অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব দেওয়াটাও যুক্তিযুক্ত হয়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক গৌতম সান্যাল টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শুরু থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল উপজেলা ম্যানেজার আরিজুলের ওপর। তিনি সব সময়ই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে প্রকল্প সুপারভাইজার, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও পিটিএফ সুপারভাইজারের সহযোগিতায় হালুয়াঘাট উপজেলার দুই হাজার ২২৩ জন দুস্থ মহিলার মাঝে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে তিনি অসংখ্য সদস্যকে টাকা না দিয়ে নগদ সহায়তার প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান সুবিধাভোগীদের তালিকা, অফিসের ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায়। বাড়িতে যোগাযোগ, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, মামলা করাসহ নানা উপায়ে তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা গত ১৭ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এতে ২০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিজুল আত্মগোপন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইউজেএমএসের নির্বাহী পরিচালক খায়রুন নাহার খানম বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা দুস্থদের টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।' তিনিও দাবি করেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে টাকা বিতরণের দায়িত্ব দেওয়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঠিক হয়নি।
No comments