বিএনপি : নওগাঁ-৪ মান্দা-ভেতরে রয়েছে 'মতের ভিন্নতা' by ফরিদুল করিম
বিগত দিনে পরপর দুবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন শামসুল আলম প্রামাণিক। মান্দা বিএনপির তৎকালীন সহ-সভাপতি মনসুর মৃধা খুন হওয়ার পর এখানে দলের ভেতরে মারাত্মক গ্রুপিং দেওয়া হয়। একদিকে ছিলেন তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপু। অন্যদিকে সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে। তবে দলে ভারী ছিলেন মকলেছুর রহমান মকে। সংসদ সদস্য শামসুল আলম প্রামাণিকের সমর্থন ছিল
সভাপতির প্রতি। অন্যদিকে ডা. ইকরামুল বারী টিপু মনসুর মৃধা হত্যা মামলার আসামি হলে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি হত্যা মামলায় সাধারণ ক্ষমতার আওতায় বর্তমান সরকারের আমলে মুক্তি পান।
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মনোজিৎ কুমার জানান, বিগত দিনে ডা. ইকরামুল বারী টিপু দলে থেকেও বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতা করে গেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যের সুপারিশে বর্তমান সরকার তাঁকে হত্যা মামলা থেকে মুক্তি দেয়।
সূত্র জানায়, গত উপজেলা নির্বাচনে ডা. ইকরামুল বারী টিপু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জোট প্রার্থীর বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আবারও তিনি উপজেলা বিএনপিতে বিতর্কের সৃষ্টি করেন।
দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. ইকরামুল বারী টিপু বলেন, 'শুধু কথা দিয়ে সব হয় না। আমি বর্তমানে উপজেলার কাশোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৫০ নম্বর সদস্য। ৬১১ নম্বর কাউন্সিলর। আমি তো কাউন্সিলে এখনো ভোটার। তবে বহিষ্কৃত হলাম কিভাবে। উপজেলা নির্বাচনে জোটের প্রার্থী ছিলেন জামায়াতের আবদুর রাকিব। আমি দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছি।'
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমানে মান্দায় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। ২০০৯ সালে কাউন্সিল হয়েছে। থানা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে। মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১২৬টি ওয়ার্ড কমিটি আছে। দলে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু কোন্দল নেই। যাঁরা পদে নেই, তাঁরাও নিয়মিত অংশ নেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক কর্মী বলেন, 'নেতাদের বর্তমান যে রূপ আমরা দেখছি, তা দল ক্ষমতায় থাকার সময় ছিল না। তখন ছিল অন্য রূপ। এখনকার মতো হলে দল আরো সুসংগঠিত হতো।'
আওয়ামী লীগ নেতারা যখন ব্যস্ত সুবিধা ভাগাভাগি নিয়ে, সেই ফাঁকে বিএনপি ব্যস্ত দলকে সংগঠিত করতে। আবারও নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এমন কথা জানালেন কয়েকজন নেতা-কর্মী।
সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল আলম প্রামাণিক বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য। মান্দা বিএনপির সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে জানালেন, 'শামসুল আলম প্রামাণিক উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তাঁর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নেতৃত্বে আমরা এখন সুসংগঠিত। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন মান্দার যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল এখনো জনগণ ভোগ করছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মান্দায় যে দুর্নীতি শুরু করেছেন, তার ফল তাঁরা আগামীতে পাবেন।'
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মনোজিৎ কুমার জানান, বিগত দিনে ডা. ইকরামুল বারী টিপু দলে থেকেও বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতা করে গেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যের সুপারিশে বর্তমান সরকার তাঁকে হত্যা মামলা থেকে মুক্তি দেয়।
সূত্র জানায়, গত উপজেলা নির্বাচনে ডা. ইকরামুল বারী টিপু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জোট প্রার্থীর বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আবারও তিনি উপজেলা বিএনপিতে বিতর্কের সৃষ্টি করেন।
দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. ইকরামুল বারী টিপু বলেন, 'শুধু কথা দিয়ে সব হয় না। আমি বর্তমানে উপজেলার কাশোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৫০ নম্বর সদস্য। ৬১১ নম্বর কাউন্সিলর। আমি তো কাউন্সিলে এখনো ভোটার। তবে বহিষ্কৃত হলাম কিভাবে। উপজেলা নির্বাচনে জোটের প্রার্থী ছিলেন জামায়াতের আবদুর রাকিব। আমি দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছি।'
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমানে মান্দায় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। ২০০৯ সালে কাউন্সিল হয়েছে। থানা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে। মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১২৬টি ওয়ার্ড কমিটি আছে। দলে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু কোন্দল নেই। যাঁরা পদে নেই, তাঁরাও নিয়মিত অংশ নেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক কর্মী বলেন, 'নেতাদের বর্তমান যে রূপ আমরা দেখছি, তা দল ক্ষমতায় থাকার সময় ছিল না। তখন ছিল অন্য রূপ। এখনকার মতো হলে দল আরো সুসংগঠিত হতো।'
আওয়ামী লীগ নেতারা যখন ব্যস্ত সুবিধা ভাগাভাগি নিয়ে, সেই ফাঁকে বিএনপি ব্যস্ত দলকে সংগঠিত করতে। আবারও নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এমন কথা জানালেন কয়েকজন নেতা-কর্মী।
সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল আলম প্রামাণিক বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য। মান্দা বিএনপির সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে জানালেন, 'শামসুল আলম প্রামাণিক উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তাঁর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নেতৃত্বে আমরা এখন সুসংগঠিত। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন মান্দার যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল এখনো জনগণ ভোগ করছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মান্দায় যে দুর্নীতি শুরু করেছেন, তার ফল তাঁরা আগামীতে পাবেন।'
No comments