খসড়া ভ্যাট আইন আরও পর্যালোচনা করতে হবে-মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা
খসড়া মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন-২০১১ বাস্তবায়নের আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মূসক হার বেশি। এ ছাড়া খসড়া মূসক আইনে সংজ্ঞা, অগ্রিম মূসক আদায়সহ আরও বেশকিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো ব্যবসাবান্ধব নয়। কিন্তু মূসক আইনের মূল লক্ষ্য হতে হবে কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং ক্যাসকেডিং ইফেক্ট এড়ানো।
এ জন্য আরও সময় নিয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে খসড়া আইন চূড়ান্ত করতে হবে। তবে খসড়া আইনের যেসব অংশ ব্যবসায়ী ও সরকার উভয়ের জন্য কল্যাণকর সেগুলো আগামী বাজেটেই বর্তমান আইনের সঙ্গে বিধি আকারে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
গতকাল শনিবার খসড়া মূসক আইন-২০১১ এর ওপর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ। এনবিআরের এলটিইউর কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আইএমএফের পরামর্শক প্রফেসর ড. বেনতেরা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ডিসিসিআই পরিচালক এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম, আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রা, ডিসিসিআই সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, মঞ্জুর আহমেদ এবং ডিসিসিআই সদস্য এমএস সিদ্দিকী মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূসক আইনে সবার গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়ন না হলে সুফল পাওয়া যাবে না। এ জন্য ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতেই এ আইন প্রণয়ন করা হবে। দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি কর নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রশাসনিক অবকাঠামো পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর আইন করদাতাবান্ধব করা হবে। ফ্যাসিলিটেটরদের তালিকা প্রণয়নে ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া হবে। তালিকার বাইরে কোনো ফ্যাসিলিটেটর থাকবে না। প্রস্তাবিত আইন প্রণয়ন করতে আরও দুই-তিন বছর সময় লাগবে বলে তিনি মনে করেন। তবে বিষয়গুলো ভালো মনে হলে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি সেকশনে ব্যাংক, এনবিআর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করবেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম মূসক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার ২৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করার দাবি জানান। একই সঙ্গে ব্যাংক ইনস্টুমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কেনা উপকরনের মূল্য কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করার কথা বলেন তিনি। তিনি রাজস্ববান্ধব এবং ব্যবসায় ভ্যাটবান্ধব ব্যবস্থা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
গতকাল শনিবার খসড়া মূসক আইন-২০১১ এর ওপর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ। এনবিআরের এলটিইউর কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আইএমএফের পরামর্শক প্রফেসর ড. বেনতেরা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ডিসিসিআই পরিচালক এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম, আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রা, ডিসিসিআই সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, মঞ্জুর আহমেদ এবং ডিসিসিআই সদস্য এমএস সিদ্দিকী মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূসক আইনে সবার গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়ন না হলে সুফল পাওয়া যাবে না। এ জন্য ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতেই এ আইন প্রণয়ন করা হবে। দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি কর নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রশাসনিক অবকাঠামো পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর আইন করদাতাবান্ধব করা হবে। ফ্যাসিলিটেটরদের তালিকা প্রণয়নে ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া হবে। তালিকার বাইরে কোনো ফ্যাসিলিটেটর থাকবে না। প্রস্তাবিত আইন প্রণয়ন করতে আরও দুই-তিন বছর সময় লাগবে বলে তিনি মনে করেন। তবে বিষয়গুলো ভালো মনে হলে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি সেকশনে ব্যাংক, এনবিআর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করবেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম মূসক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার ২৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করার দাবি জানান। একই সঙ্গে ব্যাংক ইনস্টুমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কেনা উপকরনের মূল্য কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করার কথা বলেন তিনি। তিনি রাজস্ববান্ধব এবং ব্যবসায় ভ্যাটবান্ধব ব্যবস্থা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
No comments