সালদার নতুন কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালদা গ্যাসক্ষেত্রের তৃতীয় কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে এই কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এখান থেকে দৈনিক আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর জানান, সালদার গ্যাস মূলত চট্টগ্রাম এলাকার শিল্প ও সার কারখানাগুলোতে সরবরাহ করা হবে। খবর বিডিনিউজের।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার এই গ্যাসক্ষেত্রে গত জুলাই মাসে নতুন কূপ খনন শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেঙ্। সালদা-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, 'শনিবার থেকেই নতুন কূপের গ্যাস গ্রিডে যাচ্ছে। দৈনিক আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি আমরা।'
এদিকে নতুন এ কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস চট্টগ্রামের বদলে কসবা উপজেলায় সরবরাহ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্যাস দেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যে হরতালসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করছে কসবার 'গ্যাস সংযোগ বাস্তবায়ন কমিটি'।
এর আগে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক জানিয়েছিলেন, দেশের সার্বিক চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই সালদার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এই মুহূর্তে আন্দোলনকারীদের দাবি বিবেচনা করার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে গ্যাস সংযোগ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বকুল বলেন, 'গ্যাস সংযোগের দাবিতে আন্দোলন চলছে, চলবে।'
দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ২০০ কোটি ঘনফুট উৎপাদিত হচ্ছে। সে হিসাবে ঘাটতি থাকছে ৫০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এঙ্প্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কম্পানি লিমিটেডের (বাপেঙ্) আওতায় সালদা-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। নতুন এ কূপ থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ায় দেশে চালু কূপের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০টি। সালদা গ্যাসক্ষেত্রের দুটি কূপ থেকে বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৬০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ২৪টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে ১৭টি উৎপাদনে রয়েছে।
সালদা-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক সাহাবুদ্দিন বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রেও নতুন একটি কূপ খননের (চতুর্থ কূপ) কাজ চলছে। এ কূপে শিগগিরই ড্রিলিং স্টিম টেস্ট করা হবে। ফেঞ্চুগঞ্জের নতুন ওই কূপ থেকে দৈনিক সাড়ে তিন কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.