ঘন কুয়াশায় আবার ফেরি চলাচল ব্যাহত-দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, মাওয়া-কাওরাকান্দি ঘাটে যানজট
ঘন কুয়াশার কারণে আবার ফেরি চলাচল বিঘি্নত হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় ১১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। মাওয়া-কাওরাকান্দি পথে ফেরি চলেনি অন্তত ১০ ঘণ্টা। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ অবস্থা চলে। এ সময় যমুনায় তিনটি এবং পদ্মায় অন্তত ১৪টি ফেরি আটকা পড়ে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। দৌলতদিয়া ঘাটে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
আমাদের গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) ও শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধির পাঠানো খবর : দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া : শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় যানবাহন ও যাত্রীবোঝাই তিনটি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়ে ঢাকাগামী শতাধিক বাসসহ হাজার খানেক যানবাহন। এতে করে ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিল এলাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডাবি্লউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট অফিস, ফেরিমাস্টার ও ঘাটসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্রতা বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে কর্তৃপক্ষ রাত ১১টা থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এর আগে রাত পৌনে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রো রো (বড়) ফেরি আমানত শাহ পাঁচটি বাস, ছয়টি ট্রাক ও ১২টি প্রাইভেটকার এবং কেরামত আলী নামের অপর একটি ফেরি ১০টি ট্রাক ও ১২টি প্রাইভেটকার নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফেরি দুটি দৌলতদিয়া চ্যানেল অতিক্রম করে মাঝনদীতে পেঁৗছানোর পর আটকা পড়ে। একই সময় পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা দৌলতদিয়াগামী ফেরি শাহ্ জালাল মাঝ নদীতে আটকা পড়ে।
অন্যদিকে, গাড়ি উঠলেও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও শাহ্ আলী ফেরিঘাট ছেড়ে যেতে পারেনি। পরে কুয়াশার ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমে এলে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। টানা সাড়ে ১১ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ সহস্রাধিক গাড়ি। এর মধ্যে শুক্রবারের রাতে আটকে পড়া দেড় শতাধিক বাসও ছিল। এ ছাড়া মাছ, মুরগি, গরু, সবজিসহ বিভিন্ন কাঁচামালবোঝাই পাঁচ শতাধিক ট্রাক, রোগীসহ বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। যানজটের কারণে এ সময় লঞ্চ পারাপার বিভিন্ন পরিবহন বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে লঞ্চঘাটে পেঁৗছায় তারা।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত এ কে ট্রাভেলস নামের একটি পরিবহনের ঘাট ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ পথ হাঁটতে গিয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহায়। এ সময় অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিআইডাবি্লউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) জিল্লুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক দিন আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৪ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। গতকাল মিলে চলতি শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে এই নৌপথে মোট সাড়ে ২৫ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকল। এতে যাত্রী দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিআইডাবি্লউটিসির রাজস্ব আয়ও অনেক কম হয়েছে।
মাওয়া-কাওরাকান্দি : এ নৌপথে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ পথের ১৪টি ফেরিই যানবোঝাই অবস্থায় নদীতে আটকা পড়ে। দীর্ঘ সময় ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিআইডাবি্লউটিসি, বিআইডাবি্লউটিএ ও ঘাট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকায় একপর্যায়ে পথপ্রদর্শক বাতি অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। সরু চ্যানেলে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১২টায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় কাওরাকান্দি ঘাটে রানীক্ষেত, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় করবী, কাকলী ও মাওয়া ঘাটে রানীক্ষেত, কিশোরী এবং মাঝ পদ্মায় আটটি ফেরি অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাসসহ প্রায় ২০০ যানবাহন নিয়ে নোঙর করতে বাধ্য হয়। শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে আসার পর সকাল ১০টায় ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়।
দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের অভিযোগ, ফেরি ও ঘাট এলাকার হোটেলগুলোতে যথেচ্ছ দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এক প্লেট ভাতের দাম রাখা হয় ১০ টাকা। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নিয়ে হোটেলগুলো তাদের কাছ থেকে এক প্লেট ভাতের দাম নিয়েছে ১৫-২০ টাকা, রুটি প্রতিটি পাঁচ টাকার স্থলে ১০ টাকা, ডিম ১০ টাকার স্থলে ১৫-২০ টাকা, ইলিশ মাছ এক টুকরো ৪০ টাকার স্থলে ৬০-৭০ টাকা, মাংস ৪০ টাকার স্থলে ৭০-৮০ টাকা।
কাওরাকান্দি ঘাটে আটকে পড়া ফেরির যাত্রী ইয়াকুব মুন্সী বলেন, 'মানুষ বিপদে পড়লে মানুষ সহায়তা করে। আর ফেরি ও ঘাটের হোটেলগুলো যেন উল্টো ডাকাতি করে।'
বিআইডাবি্লউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আশিকুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডাবি্লউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট অফিস, ফেরিমাস্টার ও ঘাটসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্রতা বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে কর্তৃপক্ষ রাত ১১টা থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এর আগে রাত পৌনে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রো রো (বড়) ফেরি আমানত শাহ পাঁচটি বাস, ছয়টি ট্রাক ও ১২টি প্রাইভেটকার এবং কেরামত আলী নামের অপর একটি ফেরি ১০টি ট্রাক ও ১২টি প্রাইভেটকার নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফেরি দুটি দৌলতদিয়া চ্যানেল অতিক্রম করে মাঝনদীতে পেঁৗছানোর পর আটকা পড়ে। একই সময় পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা দৌলতদিয়াগামী ফেরি শাহ্ জালাল মাঝ নদীতে আটকা পড়ে।
অন্যদিকে, গাড়ি উঠলেও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও শাহ্ আলী ফেরিঘাট ছেড়ে যেতে পারেনি। পরে কুয়াশার ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমে এলে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। টানা সাড়ে ১১ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ সহস্রাধিক গাড়ি। এর মধ্যে শুক্রবারের রাতে আটকে পড়া দেড় শতাধিক বাসও ছিল। এ ছাড়া মাছ, মুরগি, গরু, সবজিসহ বিভিন্ন কাঁচামালবোঝাই পাঁচ শতাধিক ট্রাক, রোগীসহ বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। যানজটের কারণে এ সময় লঞ্চ পারাপার বিভিন্ন পরিবহন বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে লঞ্চঘাটে পেঁৗছায় তারা।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত এ কে ট্রাভেলস নামের একটি পরিবহনের ঘাট ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ পথ হাঁটতে গিয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহায়। এ সময় অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিআইডাবি্লউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) জিল্লুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক দিন আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৪ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। গতকাল মিলে চলতি শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে এই নৌপথে মোট সাড়ে ২৫ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকল। এতে যাত্রী দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিআইডাবি্লউটিসির রাজস্ব আয়ও অনেক কম হয়েছে।
মাওয়া-কাওরাকান্দি : এ নৌপথে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ পথের ১৪টি ফেরিই যানবোঝাই অবস্থায় নদীতে আটকা পড়ে। দীর্ঘ সময় ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিআইডাবি্লউটিসি, বিআইডাবি্লউটিএ ও ঘাট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকায় একপর্যায়ে পথপ্রদর্শক বাতি অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। সরু চ্যানেলে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১২টায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় কাওরাকান্দি ঘাটে রানীক্ষেত, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় করবী, কাকলী ও মাওয়া ঘাটে রানীক্ষেত, কিশোরী এবং মাঝ পদ্মায় আটটি ফেরি অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাসসহ প্রায় ২০০ যানবাহন নিয়ে নোঙর করতে বাধ্য হয়। শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে আসার পর সকাল ১০টায় ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়।
দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের অভিযোগ, ফেরি ও ঘাট এলাকার হোটেলগুলোতে যথেচ্ছ দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এক প্লেট ভাতের দাম রাখা হয় ১০ টাকা। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নিয়ে হোটেলগুলো তাদের কাছ থেকে এক প্লেট ভাতের দাম নিয়েছে ১৫-২০ টাকা, রুটি প্রতিটি পাঁচ টাকার স্থলে ১০ টাকা, ডিম ১০ টাকার স্থলে ১৫-২০ টাকা, ইলিশ মাছ এক টুকরো ৪০ টাকার স্থলে ৬০-৭০ টাকা, মাংস ৪০ টাকার স্থলে ৭০-৮০ টাকা।
কাওরাকান্দি ঘাটে আটকে পড়া ফেরির যাত্রী ইয়াকুব মুন্সী বলেন, 'মানুষ বিপদে পড়লে মানুষ সহায়তা করে। আর ফেরি ও ঘাটের হোটেলগুলো যেন উল্টো ডাকাতি করে।'
বিআইডাবি্লউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আশিকুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
No comments