ক্রেডিট কার্ড নিয়ে অভিনব জালিয়াতি
রাজধানীর গুলশান পোস্ট অফিসের ডাক পিয়ন আবদুর রব। বিদেশ থেকে চিঠিপত্র পার্সেল এলে প্যাকেটগুলো আঙুল বা সুঁচালো পিন দিয়ে খুঁচিয়ে দেখতেন । ভেতরে ভিসা কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড পাওয়া গেলে সেগুলো ডাকঘরের নিবন্ধন খাতায় এন্ট্রি না করে তুলে দিতেন তার পূর্ব পরিচিত ক্রেডিট কার্ড প্রতারক চক্রের হাতে। এ জন্য তিনি প্রতি কার্ডে পেতেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। গত পাঁচ বছর ধরে অপকর্ম করলেও তার শেষ রক্ষা হয়নি।
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে। এর আগের রাতে ডিবি পুলিশ বরিশালে অভিযান চালিয়ে ক্রেডিট কার্ড প্রতারক চক্রের প্রধান কামাল আহম্মেদ ওরফে 'দাদা ভাই' এবং রাজধানীর মালিবাগ থেকে আনোয়ার হোসেন ও রাসেল নামে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে রাসেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর। গতকাল শনিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মশিউর রহমান জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী একজন সুইডিশ নাগরিক গুলশান থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ডাক বিভাগের মাধ্যমে সুইডেন থেকে তার প্রায় ২৬ লাখ টাকা মূল্যমানের একটি ইউরো কার্ড বাংলাদেশে আসে। দীর্ঘদিন পরও ইউরো কার্ডটি তিনি না পেয়ে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাকে নিশ্চিত করা হয়, ইউরো কার্ডটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের ডাক বিভাগে যোগাযোগ করেও কার্ডটি পাননি। এ ঘটনা তদন্তে ওই চারজনকে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিবি কর্মকর্তা মশিউর আরও জানান, গ্রেফতার কামাল আহম্মেদ এ চক্রের মূলহোতা। সে গত ১৫ বছর ধরে ডাক বিভাগে পাঠানো বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড চুরি করে প্রতারণা করে আসছিল। এ কাজে তাকে ডাক বিভাগের অসাধু কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও কয়েকজন তরুণ সহযোগিতা করে আসছিল। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া ডাক পিয়ন আবদুর রব পাঁচ বছর ধরে কার্ড চুরিতে সহায়তা করে আসছিল। এ চক্রের সঙ্গে ডাক বিভাগের আরও কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
যেভাবে ব্যবহার হয় চোরাই ক্রেডিট কার্ড : গ্রেফতার রাসেল জানায়, তাদের ক্রেডিট কার্ড গুরু 'দাদা ভাই' পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে তাকেসহ আরও কয়েক যুবকের হাতে তুলে দিতেন। তারা নিজেদের ক্রেডিট কার্ডের মালিক পরিচয় দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন শপিং মল, জুয়েলারি থেকে দামি সামগ্রী কিনে পরে কম দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিতেন।
আনোয়ার জানায়, দাদা ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া কার্ডগুলো দিয়ে থাইল্যান্ড, চীন ও ভারতের বিভিন্ন শপিং মল থেকে তৈরি পোশাক এবং উন্নত ব্র্যান্ডের প্রসাধনী আনা হয়েছে।
গ্রেফতার 'দাদা ভাই' এসব প্রতারণার কথা স্বীকার করে জানান, এ পর্যন্ত তিনি ২০০টির মতো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পেরেছেন। একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে তিনি সর্বোচ্চ ১৬ লাখ টাকার পণ্য কিনেছেন।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিবি কর্মকর্তা মশিউর আরও জানান, গ্রেফতার কামাল আহম্মেদ এ চক্রের মূলহোতা। সে গত ১৫ বছর ধরে ডাক বিভাগে পাঠানো বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড চুরি করে প্রতারণা করে আসছিল। এ কাজে তাকে ডাক বিভাগের অসাধু কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও কয়েকজন তরুণ সহযোগিতা করে আসছিল। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া ডাক পিয়ন আবদুর রব পাঁচ বছর ধরে কার্ড চুরিতে সহায়তা করে আসছিল। এ চক্রের সঙ্গে ডাক বিভাগের আরও কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
যেভাবে ব্যবহার হয় চোরাই ক্রেডিট কার্ড : গ্রেফতার রাসেল জানায়, তাদের ক্রেডিট কার্ড গুরু 'দাদা ভাই' পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে তাকেসহ আরও কয়েক যুবকের হাতে তুলে দিতেন। তারা নিজেদের ক্রেডিট কার্ডের মালিক পরিচয় দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন শপিং মল, জুয়েলারি থেকে দামি সামগ্রী কিনে পরে কম দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিতেন।
আনোয়ার জানায়, দাদা ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া কার্ডগুলো দিয়ে থাইল্যান্ড, চীন ও ভারতের বিভিন্ন শপিং মল থেকে তৈরি পোশাক এবং উন্নত ব্র্যান্ডের প্রসাধনী আনা হয়েছে।
গ্রেফতার 'দাদা ভাই' এসব প্রতারণার কথা স্বীকার করে জানান, এ পর্যন্ত তিনি ২০০টির মতো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পেরেছেন। একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে তিনি সর্বোচ্চ ১৬ লাখ টাকার পণ্য কিনেছেন।
No comments