কলকাতায় হাসপাতালে আগুন-মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ঢাকুরিয়ায় অ্যাডভান্সড মেডিকেয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এএমআরআই) হাসপাতালে আগুন লেগে দগ্ধ আরো দুজন গতকাল শনিবার মারা গেছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১। তাঁদের মধ্যে ৮৯ জনই ওই হাসপাতালের রোগী এবং বাকি তিনজন সেখানকার কর্মী ছিলেন। উদ্ধার করার পর অন্যত্র চিকিৎসাধীন আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার ভোররাতে এএমআরআই হাসপাতাল ভবনের বেজমেন্টে আগুন লাগে। একপর্যায়ে তা বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ে
ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে শোক পালন করা হয়। রাজ্য সরকার আগেই সব ধরনের সরকারি কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালও নিজে দগ্ধ রোগীদের বিশেষ দেখভালের ব্যবস্থা করেছেন।
দুর্ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের কাজ রয়েছে। হাসপাতালটির অন্য ভবন এবং এর প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে হাসপাতাল পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয়েছে। আপদকালীন পরিস্থিতির কথা ভেবে হাসপাতালের সামনে গতকালও দমকল বাহিনীর গাড়ি ও ল্যাডার (মই) রাখা ছিল। পুরো হাসপাতাল চত্বর পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সংবাদকর্মীদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ। হাসপাতালের বাইরে গতকালও বহু রোগীর স্বজন উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছিল।
এদিকে গতকাল দমকল এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দুটি দলের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা থাকলেও বিকেল পর্যন্ত তারা আসেনি। আলাদা করে তদন্ত চালানোর কথা কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশেরও।
বিকেলে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জানান, অগি্ননির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি রাজ্যের স্কুল, কলেজ, শপিং মল প্রভৃতি জায়গা পরিদর্শন করে সাত দিন অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে হাসপাতালটির বেজমেন্টে লাগা আগুন থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসকিউ ফোর্স (এনডিআরএফ)। দুর্ঘটনার দিন বেজমেন্টে যেখানে আগুন লেগেছিল, সেখানে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত রেডিয়েশন যন্ত্রগুলোও ছিল। কিন্তু এনডিআরএফ এবং আণবিক কেন্দ্রের সদস্যরা আলাদাভাবে বেজমেন্টের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করে তেজস্ক্রিয়তার কোনো নমুনা পাননি।
অনিচ্ছাকৃত খুন ও গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা এএমআরআইয়ের সাত কর্ণধারের মধ্যে একজন অসুস্থ থাকায় ছয়জনকে গতকাল আলীপুর আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়। দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে সেখানে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আইনজীবীদের একাংশ এএমআরআইয়ের অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে শুনানিতে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়ে দেন।
ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে শোক পালন করা হয়। রাজ্য সরকার আগেই সব ধরনের সরকারি কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালও নিজে দগ্ধ রোগীদের বিশেষ দেখভালের ব্যবস্থা করেছেন।
দুর্ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের কাজ রয়েছে। হাসপাতালটির অন্য ভবন এবং এর প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে হাসপাতাল পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয়েছে। আপদকালীন পরিস্থিতির কথা ভেবে হাসপাতালের সামনে গতকালও দমকল বাহিনীর গাড়ি ও ল্যাডার (মই) রাখা ছিল। পুরো হাসপাতাল চত্বর পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সংবাদকর্মীদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ। হাসপাতালের বাইরে গতকালও বহু রোগীর স্বজন উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছিল।
এদিকে গতকাল দমকল এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দুটি দলের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা থাকলেও বিকেল পর্যন্ত তারা আসেনি। আলাদা করে তদন্ত চালানোর কথা কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশেরও।
বিকেলে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জানান, অগি্ননির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি রাজ্যের স্কুল, কলেজ, শপিং মল প্রভৃতি জায়গা পরিদর্শন করে সাত দিন অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে হাসপাতালটির বেজমেন্টে লাগা আগুন থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসকিউ ফোর্স (এনডিআরএফ)। দুর্ঘটনার দিন বেজমেন্টে যেখানে আগুন লেগেছিল, সেখানে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত রেডিয়েশন যন্ত্রগুলোও ছিল। কিন্তু এনডিআরএফ এবং আণবিক কেন্দ্রের সদস্যরা আলাদাভাবে বেজমেন্টের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করে তেজস্ক্রিয়তার কোনো নমুনা পাননি।
অনিচ্ছাকৃত খুন ও গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা এএমআরআইয়ের সাত কর্ণধারের মধ্যে একজন অসুস্থ থাকায় ছয়জনকে গতকাল আলীপুর আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়। দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে সেখানে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আইনজীবীদের একাংশ এএমআরআইয়ের অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে শুনানিতে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়ে দেন।
No comments