কেমন আছ মা-মামাবাড়ির কথা বলে যুদ্ধে যায় রাজ্জাক-আম্বিয়া খাতুন
একাত্তরের ২২ নভেম্বর। টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। সন্ধ্যায় ঝালকাঠির রাজাপুরে মামাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে আবদুর রাজ্জাক ঘর থেকে বের হয়। রাজ্জাক তখন রাজাপুর পাইলট হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। রাতের অন্ধকারে রাজাপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে রওনা হয় শাহজাহান ওমর গ্রুপের প্রায় ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধা। দলের তরুণ সদস্য রাজ্জাক। তাদের দলনেতা ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ শাহজাহান (যুদ্ধকালীন ছদ্মনাম ক্যাপ্টেন ওমর)।
তিনি ছিলেন নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার।তাদের সবার লক্ষ্য, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প। সেটি রাজাপুর থানা। বয়সে ছোট হলেও টগবগে যুবক আবদুর রাজ্জাক এবং হোসেন আলীর কঠিন জেদ, যে করেই হোক, পাকিস্তানিদের ওই ক্যাম্প ধ্বংস করতে হবে। তাদের জেদের কারণে দলনেতা শাহজাহান ওমর থানা আক্রমণের সময়সূচির কিছুটা পরিবর্তন করেন। রাতেই ঘাঁটির তিনদিকে নিঃশব্দে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। ভোররাতে চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালায় পাকিস্তানি অবস্থানে (থানা ও পাইলট স্কুল)।
থানার আশপাশ প্রকম্পিত হতে থাকল গোলাগুলির শব্দে। বারুদের উৎকট গন্ধ ও ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। পাকিস্তানি দোসররা (পুলিশ ও রাজাকার) একযোগে শুরু করল পাল্টা আক্রমণ। কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর পাকিস্তানের অনুসারী বাঙালি পুলিশ সদস্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তখন রাজ্জাক, হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধারা হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তানি ক্যাম্পের কাছে। মাত্র ১০০ গজ সামনেই পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটি। এটি ধ্বংস করতে পারলেই পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা ব্যুহের পতন ঘটবে।
এরই মধ্যে হঠাৎ হোসেন আলী অগোচরে একাই এগিয়ে গেল থানার দিকে। থানার একেবারে কাছে পেঁৗছে যে-ই ওপরে মাথা তুলল, সঙ্গে সঙ্গে গুলি এসে লাগল তার চোয়াল ও ডান হাতে। সহযোদ্ধার চিৎকার শুনে রাজ্জাক গুলিবৃষ্টির মধ্যেই এগিয়ে গেল তাকে বাঁচাতে। কাছে গিয়ে মাথা তোলা মাত্র তারও একই পরিণতি হলো। গুলি এসে লাগল তার কপাল ও বুকের পাঁজরে। তাজা রক্তের স্রোত গড়িয়ে পড়ল থানার রাস্তার পাশের নালায়। তখন আনুমানিক সকাল ৮টা। সম্মুুখযুদ্ধে অন্তত ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হলো।
একটানা কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর পাকিস্তানের অনুসারী পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা কোণঠাসা হয়ে পড়ল। চারদিক থেকে থানা অবরুদ্ধ। ভোরের রক্তিম সূর্যালোকে তাদের পালিয়ে যাওয়ারও পথ নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের দলনেতা গুলিবিদ্ধ শাহজাহান ওমর (বীর-উত্তম) পুলিশ ও রাজাকারদের নির্দেশ দিলেন আত্মসমর্পণ করতে। কিছুক্ষণ পর তারা আত্মসমর্পণ করল। রাজাপুর থানা মাঠে সকাল ১০টার দিকে ১২০ জন পুলিশ ও রাজাকার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। থানায় ওড়ানো হলো বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা।
উপজেলা শহরের সঙ্গে দূরত্বের কারণে থানা আক্রমণ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিল না। ওই দিন ফজরের আজানের সময় হঠাৎ ঘুম ভাঙে। নামাজ আদায় শেষে রাজ্জাকের জন্য দোয়া-মোনাজাত করি। নিজের অজান্তেই বুকের মধ্যে শূন্যতা অনুভব করি। ছেলেকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করতে লাগল। সকালেও পাকিস্তানের অনুসারী পুলিশ সদস্য ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণ সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। এ-বাড়ি ও-বাড়ি গিয়ে যুদ্ধের খবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম। কেউ কোনো খবর দিতে পারল না।
সকাল তখন সাড়ে ৯টা ছুঁইছুঁই। আমার চাচাতো ভাই আবদুল কাদের বাড়িতে এসে বড় বোনের ডায়রিয়ায় আক্রান্তের খবর দেন। বোনকে দেখতে শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাংগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রাজাপুরের উদ্দেশে রওনা করি। রাজাপুরে যাত্রাপথে লোকজন আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, 'তুমি কোথায় যাও, তোমার পোলা যুদ্ধে গুলি খাইয়া মইরা গ্যাছে। তারে (রাজ্জাক) নৌকায় কইর্যা সবাই নিয়া আইতাছে।' এ কথা শুনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
দুপুরের দিকে আমার জ্ঞান ফেরে। তখন আমি নিজেকে একটি নৌকায় আবিষ্কার করি। পাশেই কাপড়ে মোড়ানো ছিল আমার সোনার চানের লাশ। বাবার গলাটি জবাই দেওয়া মুরগির মতো ছিল। একনজর দেখার পর আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরই ফাঁকে লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। লাশের গোসল দেওয়া হয়। বাড়ির উঠানে জানাজা সম্পন্ন হয়। শুনেছি, হাজার হাজার লোক জানাজায় অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে যুদ্ধে অংশ নিতে আসা অপরিচিত লোকজনও ছিল।
দ্বিতীয়বার জ্ঞান ফিরলে দেখি নিজ ঘরের চৌকিতে শুয়ে আছি। তখন বারবার চেষ্টা করে ছেলের মুখটা একনজর দেখার জন্য অনেককেই অনুরোধ করেছি। সবাই আমাকে নিরুৎসাহিত করেছে। তখন কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল, যা কেবল এক সন্তানহারা মা-ই বুঝতে পারে। পরে শুনেছি, এমনভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল যে রাজ্জাকের চেহারার ধরন পাল্টে গিয়েছিল। তা ছাড়া ধর্মীয় দৃষ্টিতে জানাজা শেষে লাশ মহিলাদের দেখা উচিত নয়। শহীদ হওয়ার পর একবারই রাজ্জাককে দেখেছি।
দাফন শেষে সারা রাত ছেলের কবরের পাশেই কাটিয়েছি। এখনো ছেলের মুখটা চোখের সামনে ভাসে। মাঝে মাঝে ভাবি, ছেলে তো সঙ্গেই আছে। প্রায় রাতেই বাজানের মুখ স্বপ্নে দেখি। সকালে উঠে আমার খুব খারাপ লাগে। যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই রাজ্জাক যুদ্ধে যাওয়ার কথা বলত। কিন্তু ছোট বলে আমি ওকে নিরুৎসাহ করতাম। তাই হয়তো মামাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে আমাকে চিন্তামুক্ত রেখে যুদ্ধে গিয়েছিল। এর আগে প্রায়ই আমার গলা জড়িয়ে ধরে রাজ্জাক বলত, 'মা, আমি যুদ্ধে যাব।'
আমি তখন রাজ্জাককে আঁচলের নিচে লু্কিয়ে রাখতাম আর বলতাম, বাবা আশপাশে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রয়েছে। ওরা শুনতে পেলে তোকে মেরে ফেলবে। তোর যুদ্ধে যাওয়ার দরকার নেই। তোর তো যুদ্ধ করার বয়স হয়নি। এর পরও বার বার যুদ্ধে যাওয়ার বায়না ধরত। আমি বলতাম, তুই ভালো করে পড়ালেখা কর; সামনে তোর ম্যাট্রিক পরীক্ষা। ও সব সময় বলত, 'মা, মুই পড়ালেখা কইরা ডাক্তার হমু। গ্রামের মানুষের সেবা করমু।'
আম্বিয়া খাতুন : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাংগর গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাকের মা। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিত রেশন পান। তাঁর দাবি, যাদের কারণে রাজ্জাক শহীদ হলেন, দেশের মাটিতে জীবিত থাকতেই তিনি তাদের শাস্তি দেখে যেতে চান।
অনুলিখন : রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বরিশাল।
থানার আশপাশ প্রকম্পিত হতে থাকল গোলাগুলির শব্দে। বারুদের উৎকট গন্ধ ও ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। পাকিস্তানি দোসররা (পুলিশ ও রাজাকার) একযোগে শুরু করল পাল্টা আক্রমণ। কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর পাকিস্তানের অনুসারী বাঙালি পুলিশ সদস্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তখন রাজ্জাক, হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধারা হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তানি ক্যাম্পের কাছে। মাত্র ১০০ গজ সামনেই পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটি। এটি ধ্বংস করতে পারলেই পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা ব্যুহের পতন ঘটবে।
এরই মধ্যে হঠাৎ হোসেন আলী অগোচরে একাই এগিয়ে গেল থানার দিকে। থানার একেবারে কাছে পেঁৗছে যে-ই ওপরে মাথা তুলল, সঙ্গে সঙ্গে গুলি এসে লাগল তার চোয়াল ও ডান হাতে। সহযোদ্ধার চিৎকার শুনে রাজ্জাক গুলিবৃষ্টির মধ্যেই এগিয়ে গেল তাকে বাঁচাতে। কাছে গিয়ে মাথা তোলা মাত্র তারও একই পরিণতি হলো। গুলি এসে লাগল তার কপাল ও বুকের পাঁজরে। তাজা রক্তের স্রোত গড়িয়ে পড়ল থানার রাস্তার পাশের নালায়। তখন আনুমানিক সকাল ৮টা। সম্মুুখযুদ্ধে অন্তত ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হলো।
একটানা কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর পাকিস্তানের অনুসারী পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা কোণঠাসা হয়ে পড়ল। চারদিক থেকে থানা অবরুদ্ধ। ভোরের রক্তিম সূর্যালোকে তাদের পালিয়ে যাওয়ারও পথ নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের দলনেতা গুলিবিদ্ধ শাহজাহান ওমর (বীর-উত্তম) পুলিশ ও রাজাকারদের নির্দেশ দিলেন আত্মসমর্পণ করতে। কিছুক্ষণ পর তারা আত্মসমর্পণ করল। রাজাপুর থানা মাঠে সকাল ১০টার দিকে ১২০ জন পুলিশ ও রাজাকার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। থানায় ওড়ানো হলো বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা।
উপজেলা শহরের সঙ্গে দূরত্বের কারণে থানা আক্রমণ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিল না। ওই দিন ফজরের আজানের সময় হঠাৎ ঘুম ভাঙে। নামাজ আদায় শেষে রাজ্জাকের জন্য দোয়া-মোনাজাত করি। নিজের অজান্তেই বুকের মধ্যে শূন্যতা অনুভব করি। ছেলেকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করতে লাগল। সকালেও পাকিস্তানের অনুসারী পুলিশ সদস্য ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণ সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। এ-বাড়ি ও-বাড়ি গিয়ে যুদ্ধের খবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম। কেউ কোনো খবর দিতে পারল না।
সকাল তখন সাড়ে ৯টা ছুঁইছুঁই। আমার চাচাতো ভাই আবদুল কাদের বাড়িতে এসে বড় বোনের ডায়রিয়ায় আক্রান্তের খবর দেন। বোনকে দেখতে শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাংগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রাজাপুরের উদ্দেশে রওনা করি। রাজাপুরে যাত্রাপথে লোকজন আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, 'তুমি কোথায় যাও, তোমার পোলা যুদ্ধে গুলি খাইয়া মইরা গ্যাছে। তারে (রাজ্জাক) নৌকায় কইর্যা সবাই নিয়া আইতাছে।' এ কথা শুনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
দুপুরের দিকে আমার জ্ঞান ফেরে। তখন আমি নিজেকে একটি নৌকায় আবিষ্কার করি। পাশেই কাপড়ে মোড়ানো ছিল আমার সোনার চানের লাশ। বাবার গলাটি জবাই দেওয়া মুরগির মতো ছিল। একনজর দেখার পর আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরই ফাঁকে লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। লাশের গোসল দেওয়া হয়। বাড়ির উঠানে জানাজা সম্পন্ন হয়। শুনেছি, হাজার হাজার লোক জানাজায় অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে যুদ্ধে অংশ নিতে আসা অপরিচিত লোকজনও ছিল।
দ্বিতীয়বার জ্ঞান ফিরলে দেখি নিজ ঘরের চৌকিতে শুয়ে আছি। তখন বারবার চেষ্টা করে ছেলের মুখটা একনজর দেখার জন্য অনেককেই অনুরোধ করেছি। সবাই আমাকে নিরুৎসাহিত করেছে। তখন কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল, যা কেবল এক সন্তানহারা মা-ই বুঝতে পারে। পরে শুনেছি, এমনভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল যে রাজ্জাকের চেহারার ধরন পাল্টে গিয়েছিল। তা ছাড়া ধর্মীয় দৃষ্টিতে জানাজা শেষে লাশ মহিলাদের দেখা উচিত নয়। শহীদ হওয়ার পর একবারই রাজ্জাককে দেখেছি।
দাফন শেষে সারা রাত ছেলের কবরের পাশেই কাটিয়েছি। এখনো ছেলের মুখটা চোখের সামনে ভাসে। মাঝে মাঝে ভাবি, ছেলে তো সঙ্গেই আছে। প্রায় রাতেই বাজানের মুখ স্বপ্নে দেখি। সকালে উঠে আমার খুব খারাপ লাগে। যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই রাজ্জাক যুদ্ধে যাওয়ার কথা বলত। কিন্তু ছোট বলে আমি ওকে নিরুৎসাহ করতাম। তাই হয়তো মামাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে আমাকে চিন্তামুক্ত রেখে যুদ্ধে গিয়েছিল। এর আগে প্রায়ই আমার গলা জড়িয়ে ধরে রাজ্জাক বলত, 'মা, আমি যুদ্ধে যাব।'
আমি তখন রাজ্জাককে আঁচলের নিচে লু্কিয়ে রাখতাম আর বলতাম, বাবা আশপাশে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রয়েছে। ওরা শুনতে পেলে তোকে মেরে ফেলবে। তোর যুদ্ধে যাওয়ার দরকার নেই। তোর তো যুদ্ধ করার বয়স হয়নি। এর পরও বার বার যুদ্ধে যাওয়ার বায়না ধরত। আমি বলতাম, তুই ভালো করে পড়ালেখা কর; সামনে তোর ম্যাট্রিক পরীক্ষা। ও সব সময় বলত, 'মা, মুই পড়ালেখা কইরা ডাক্তার হমু। গ্রামের মানুষের সেবা করমু।'
আম্বিয়া খাতুন : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাংগর গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাকের মা। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিত রেশন পান। তাঁর দাবি, যাদের কারণে রাজ্জাক শহীদ হলেন, দেশের মাটিতে জীবিত থাকতেই তিনি তাদের শাস্তি দেখে যেতে চান।
অনুলিখন : রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বরিশাল।
No comments