হাসপাতালের ৬ পরিচালক ১০ দিনের রিমান্ডে-কলকাতায় অগি্নকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৯০
কলকাতার ঢাকুরিয়ায় আমরি (এএমআরআই) হাসপাতালের গ্রেফতারকৃত ছয় পরিচালককে গতকাল পুলিশ আদালতে নেয়। পুলিশ অভিযুক্তদের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তাদের ১০ দিনের অর্থাৎ আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার বিকেলে হাসপাতালের দুটি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সিলগালা করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোররাতে অগি্নকাণ্ডে আমরি হাসপাতালে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশের
মরদেহ গতকাল তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত ৯০ জনের মধ্যে ৮৭ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার রাতের মধ্যে। বাকি তিনজনের ময়নাতদন্ত শনিবার শেষ হওয়ার কথা। মোট কত মৃতদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে কলকাতা পুলিশ সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। বাংলাদেশের নাগরিক নিহত গৌরাঙ্গ মণ্ডলের (৭০) মরদেহ গতকাল মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল সকালেও আমরি হাসপাতালের এনেক্স ভবনের বেসমেন্টের একাংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা তা নিভিয়ে ফেলে।
এদিকে গতকাল আমরি হাসপাতালের ছয়জন পরিচালককে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা অভিযুক্তদের হয়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। রাষ্ট্রপক্ষের কেঁৗসুলি কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।' আলিপুর আইনজীবী সমিতি অভিযুক্ত ছয় পরিচালকের হয়ে কাজ না করার জন্য সতীর্থদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল একদল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আমরি হাসপাতালের বেসমেন্টে তদন্ত চালান।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দয়মন্ডি সেন বলেন, গত জুলাইয়ে দমকল বিভাগ থেকে দুর্ঘটনাকবলিত আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেখানকার অগি্ননির্বাপক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে গুদাম সরিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয়নি।
ভারতের এক বার্তা সংস্থা আইবিএন জানিয়েছে, কলকাতায় আমরি হাসপাতালে অগি্নকাণ্ডে কেরালার দু'জন নার্স মারা গেছেন। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স বা স্টাফের মতো তারা পালিয়ে যাননি। পিকে বিনিথা এবং রেমেয়া রাজাপ্পাল নামে কেরালার এই দুই নার্স অগি্নকাণ্ডের সময় জেনারেল ওয়ার্ড থেকে আট-নয়জন রোগীকে শ্বাসরুদ্ধকর ধোঁয়া থেকে উদ্ধার করেন। অন্যদের প্রাণ বাঁচালেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পারেননি তারা। তাদের মৃত্যুর খবরে কেরালার কোট্টায়ামে এই দু'জনের পরিবার এখন শোকে মুহ্যমান। আমরি হাসপাতালে নিহত ৯০ জনের মধ্যে গতকাল ২১ জনের পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তাদের নামের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে গতকাল আমরি হাসপাতালের ছয়জন পরিচালককে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা অভিযুক্তদের হয়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। রাষ্ট্রপক্ষের কেঁৗসুলি কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।' আলিপুর আইনজীবী সমিতি অভিযুক্ত ছয় পরিচালকের হয়ে কাজ না করার জন্য সতীর্থদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল একদল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আমরি হাসপাতালের বেসমেন্টে তদন্ত চালান।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দয়মন্ডি সেন বলেন, গত জুলাইয়ে দমকল বিভাগ থেকে দুর্ঘটনাকবলিত আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেখানকার অগি্ননির্বাপক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে গুদাম সরিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয়নি।
ভারতের এক বার্তা সংস্থা আইবিএন জানিয়েছে, কলকাতায় আমরি হাসপাতালে অগি্নকাণ্ডে কেরালার দু'জন নার্স মারা গেছেন। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স বা স্টাফের মতো তারা পালিয়ে যাননি। পিকে বিনিথা এবং রেমেয়া রাজাপ্পাল নামে কেরালার এই দুই নার্স অগি্নকাণ্ডের সময় জেনারেল ওয়ার্ড থেকে আট-নয়জন রোগীকে শ্বাসরুদ্ধকর ধোঁয়া থেকে উদ্ধার করেন। অন্যদের প্রাণ বাঁচালেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পারেননি তারা। তাদের মৃত্যুর খবরে কেরালার কোট্টায়ামে এই দু'জনের পরিবার এখন শোকে মুহ্যমান। আমরি হাসপাতালে নিহত ৯০ জনের মধ্যে গতকাল ২১ জনের পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তাদের নামের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়।
No comments