বিবাদে দীর্ঘায়িত কোপ-১৭-শেষ মুহূর্তে নতুন প্রস্তাব
১২ দিনের মাথায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অভাবিতভাবে ১৩তম দিবসে পা রেখেছে এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কোপ-১৭। একেবারে শেষ পর্যায়ে জলবায়ু-সংক্রান্ত নতুন একটি চুক্তির খসড়া নিয়ে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাদানুবাদের কারণে সম্মেলনটি পরিকল্পনার বাইরে দীর্ঘায়িত হয়। শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল সম্মেলন। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে স্থানীয় সময় শনিবার সকালেও নতুন খসড়াটির ওপর প্রতিনিধিরা আলোচনা
চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মতৈক্যে পেঁৗছানো যাবে কি না, সে ব্যাপারে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
১৯৪টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয় ডারবানে। কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত কিয়োটো প্রটোকলের ভবিষ্যৎ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মধ্যে পড়া দেশগুলোর জন্য করণীয় নিয়ে আলোচনার ওপর শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২০১২ সালের শেষের দিকে কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী প্রধান দেশগুলোর অসম্মতির কারণে এই চুক্তির অবর্তমানে নতুন কোনো চুক্তির পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির শিকার দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য তহবিল গঠনের ব্যাপারেও ভিন্নমত তৈরি হয়েছিল।
গত শুক্রবার রাতে সম্মেলনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত নতুন একটি চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করে আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণকারী প্রধান দেশগুলোর জন্য আইনি বাধ্যবাধকতামূলক একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয় এতে। ২০২০ সালের মধ্যে চুক্তি কার্যকরের কথা বলা হয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), আফ্রিকার প্রায় সব দেশ, উন্নয়নশীল ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো অনানুষ্ঠানিক একটি জোটসহ মোট ৯০টি দেশ এই খসড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
ইইউর জলবায়ুবিষয়ক কমিশনার কনি হেডেগার্ড বলেন, 'উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের হাতে সময় খুবই কম। কিন্তু এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো এখানে উল্লেখ করা হয়নি। একটি বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে আলোচনা করাও বেশ কঠিন। কারণ সব বিষয়ই আন্তসম্পর্কিত।'
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়া দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পরিবেশমন্ত্রী মোহাম্মদ আসলাম বলেন, 'সময়-স্বল্পতাই আমাদের এখনকার সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখান থেকে মন্ত্রীদের প্রস্থানের আগেই কোনো সিদ্ধান্তে পেঁৗছানো না গেলে প্রধান সমস্যাগুলো সমাধানের বাইরেই থেকে যাবে, যা পরবর্তীকালে আরো জটিল আকার ধারণ করবে।' জাতিসংঘে নিযুক্ত গ্রানাডার রাষ্ট্রদূত দেসিমা উইলিয়ামস বলেন, 'নতুন খসড়ার আইনি বাধ্যবাধকতাগুলো খুবই দ্ব্যর্থক এবং এর নির্ধারিত সময়সীমাও আমাদের জন্য উপযুক্ত নয়। ২০২০ সাল নাগাদ মূল বিষয়গুলো কার্যকর হলে আমাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে যাবে।'
জার্মান পরিবেশমন্ত্রী নরবার্ট রোয়েটজেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'খুব কম দেশই সমঝোতা করতে রাজি আছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মতো কার্বন নিঃসরণকারী প্রধান দেশগুলোও এর মধ্যে আছে।' সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলেও শনিবার সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
১৯৪টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয় ডারবানে। কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত কিয়োটো প্রটোকলের ভবিষ্যৎ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মধ্যে পড়া দেশগুলোর জন্য করণীয় নিয়ে আলোচনার ওপর শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২০১২ সালের শেষের দিকে কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী প্রধান দেশগুলোর অসম্মতির কারণে এই চুক্তির অবর্তমানে নতুন কোনো চুক্তির পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির শিকার দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য তহবিল গঠনের ব্যাপারেও ভিন্নমত তৈরি হয়েছিল।
গত শুক্রবার রাতে সম্মেলনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত নতুন একটি চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করে আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণকারী প্রধান দেশগুলোর জন্য আইনি বাধ্যবাধকতামূলক একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয় এতে। ২০২০ সালের মধ্যে চুক্তি কার্যকরের কথা বলা হয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), আফ্রিকার প্রায় সব দেশ, উন্নয়নশীল ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো অনানুষ্ঠানিক একটি জোটসহ মোট ৯০টি দেশ এই খসড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
ইইউর জলবায়ুবিষয়ক কমিশনার কনি হেডেগার্ড বলেন, 'উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের হাতে সময় খুবই কম। কিন্তু এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো এখানে উল্লেখ করা হয়নি। একটি বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে আলোচনা করাও বেশ কঠিন। কারণ সব বিষয়ই আন্তসম্পর্কিত।'
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়া দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পরিবেশমন্ত্রী মোহাম্মদ আসলাম বলেন, 'সময়-স্বল্পতাই আমাদের এখনকার সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখান থেকে মন্ত্রীদের প্রস্থানের আগেই কোনো সিদ্ধান্তে পেঁৗছানো না গেলে প্রধান সমস্যাগুলো সমাধানের বাইরেই থেকে যাবে, যা পরবর্তীকালে আরো জটিল আকার ধারণ করবে।' জাতিসংঘে নিযুক্ত গ্রানাডার রাষ্ট্রদূত দেসিমা উইলিয়ামস বলেন, 'নতুন খসড়ার আইনি বাধ্যবাধকতাগুলো খুবই দ্ব্যর্থক এবং এর নির্ধারিত সময়সীমাও আমাদের জন্য উপযুক্ত নয়। ২০২০ সাল নাগাদ মূল বিষয়গুলো কার্যকর হলে আমাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে যাবে।'
জার্মান পরিবেশমন্ত্রী নরবার্ট রোয়েটজেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'খুব কম দেশই সমঝোতা করতে রাজি আছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মতো কার্বন নিঃসরণকারী প্রধান দেশগুলোও এর মধ্যে আছে।' সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলেও শনিবার সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments