ত্রিমুখী সমস্যায় ঢাকা মহানগর বিএনপি-* নেতৃত্বের কোন্দল -* আন্দোলনে মাঠে না থাকা-* ঢাকা বিভক্তিতে জটিলতা by মোশাররফ বাবলু
ত্রিমুখী সমস্যার আবর্তে ঢাকা মহানগর বিএনপি। সমস্যাগুলো হলো_অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান করার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা এবং ঢাকা বিভক্তিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামলানোর পথ খুঁজে না পাওয়া। মহানগর কমিটি গঠনের ছয় মাসের মধ্যে সম্মেলন করে থানা ও ওয়ার্ডে কমিটি সম্পন্ন করার কথা থাকলেও সেই সময় পার হয়ে গেছে। সাদেক হোসেন খোকা ও আবদুস সালামের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন থানা ও
ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু কোনো কোনো ওয়ার্ডের নেতারা খোকা ও সালামের নেতৃত্ব মেনে নিতে গড়িমসি করছেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ঢাকার প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও অধিকাংশ থানা ও ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়নি। সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ব্যাপারে দলের মহানগর কমিটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কিন্তু মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ থাকায় কমিটি গঠন হচ্ছে না সময়মতো। নগর বিএনপির নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় ঢাকা বিভক্তির প্রতিবাদে ডাকা হরতালের দিন দায়িত্বশীল নেতারা মাঠে ছিলেন না। বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, সাদেক হোসেন খোকা, আবদুস সালাম ছাড়াও দলের দায়িত্বশীল অন্য নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে কমিটি গঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নগর কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা হাসপাতালে অসুস্থ থাকলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেই করা হচ্ছে সব কিছু। সরকারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। নগরীর ৪০টি থানার মধ্যে ২০টিতে কমিটি হয়েছে।
ঢাকা বিভক্তির পর বিএনপির সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়েও বিপাকে পড়েছে বিএনপি। প্রথমদিকে দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা ঢাকা বিভক্তির প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কিন্তু ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের পর কমিশনাররা আন্দোলনে থেকে কেটে পড়ছেন। গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাঠে পাওয়া যায়নি। দলের একটি সূত্রে জানা যায়, প্রশাসক নিয়োগের পর ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা। অনেকেই ভেতরে ভেতরে আগাম নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থক দুই কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দল গ্রিন সিগন্যাল না দেওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলা যাবে না। তাঁরা বিএনপির হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন।
নানা নাটকীয়তা শেষে ১৫ মে সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক এবং আবদুস সালামকে সদস্যসচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেস্বর প্রয়াত লে. জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলীকে বাদ দিয়ে সাদেক হোসেন খোকার নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছিলেন খালেদা জিয়া। পরে ২০০২ সালের ২ মার্চ খোকাকে সভাপতি এবং আবদুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এতে ঢাকা মহানগরীতে আধিপত্য খর্ব হয় মির্জা আব্বাসের। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের মহাসচিবের দায়িত্ব নিয়েই খোকার নেতৃত্বাধীন মহানগর কমিটির কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় করে দেন। পরে ২০০৮ সালের ৪ জুন খোকা ও সালামের নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর কমিটি ভেঙে দেন মহাসচিব। এরপর ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন মির্জা আব্বাস। এ নিয়ে আব্বাস ও খোকার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। তবে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে মির্জা আব্বাসকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করার পর দ্বন্দ্ব কিছুটা নিরসন হয়। কিন্তু আব্বাসের অনুসারীরা এখনো খোকা ও সালামের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না। ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে সাদেক হোসেন খোকার প্রতিপক্ষ মির্জা আব্বাসের অনুসারী যুগ্ম আহ্বায়কও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। খোকার অনুসারীও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ কারণেই মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন খোকা ও সালাম।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেও সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে। বিরোধী দলকে তো সরকারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তা ছাড়া রাজপথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশ নামতেই দিচ্ছে না। মিছিল বের করলেই লাঠিপেটা শুরু হয়। নামে-বেনামে মামলা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুস সালাম বলেন, বড় দলে নেতৃত্ব নিয়ে যে প্রতিযোগিতা চলছে, একে কোন্দল বলা যাবে না। কারণ বড় দলে নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের যেসব সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ঢাকা বিভক্তিতে দলের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না জানতে চাইলে সালাম বলেন, 'বিভক্তি তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। বরং এই বিভক্তির প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন চলছে। তাই প্রভাব পড়ার প্রশ্নই আসে না।'
জানা গেছে, ঢাকার প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও অধিকাংশ থানা ও ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়নি। সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ব্যাপারে দলের মহানগর কমিটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কিন্তু মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ থাকায় কমিটি গঠন হচ্ছে না সময়মতো। নগর বিএনপির নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় ঢাকা বিভক্তির প্রতিবাদে ডাকা হরতালের দিন দায়িত্বশীল নেতারা মাঠে ছিলেন না। বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, সাদেক হোসেন খোকা, আবদুস সালাম ছাড়াও দলের দায়িত্বশীল অন্য নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে কমিটি গঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নগর কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা হাসপাতালে অসুস্থ থাকলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেই করা হচ্ছে সব কিছু। সরকারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। নগরীর ৪০টি থানার মধ্যে ২০টিতে কমিটি হয়েছে।
ঢাকা বিভক্তির পর বিএনপির সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়েও বিপাকে পড়েছে বিএনপি। প্রথমদিকে দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা ঢাকা বিভক্তির প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কিন্তু ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের পর কমিশনাররা আন্দোলনে থেকে কেটে পড়ছেন। গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাঠে পাওয়া যায়নি। দলের একটি সূত্রে জানা যায়, প্রশাসক নিয়োগের পর ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা। অনেকেই ভেতরে ভেতরে আগাম নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থক দুই কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দল গ্রিন সিগন্যাল না দেওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলা যাবে না। তাঁরা বিএনপির হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন।
নানা নাটকীয়তা শেষে ১৫ মে সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক এবং আবদুস সালামকে সদস্যসচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেস্বর প্রয়াত লে. জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলীকে বাদ দিয়ে সাদেক হোসেন খোকার নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছিলেন খালেদা জিয়া। পরে ২০০২ সালের ২ মার্চ খোকাকে সভাপতি এবং আবদুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এতে ঢাকা মহানগরীতে আধিপত্য খর্ব হয় মির্জা আব্বাসের। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের মহাসচিবের দায়িত্ব নিয়েই খোকার নেতৃত্বাধীন মহানগর কমিটির কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় করে দেন। পরে ২০০৮ সালের ৪ জুন খোকা ও সালামের নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর কমিটি ভেঙে দেন মহাসচিব। এরপর ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন মির্জা আব্বাস। এ নিয়ে আব্বাস ও খোকার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। তবে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে মির্জা আব্বাসকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করার পর দ্বন্দ্ব কিছুটা নিরসন হয়। কিন্তু আব্বাসের অনুসারীরা এখনো খোকা ও সালামের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না। ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে সাদেক হোসেন খোকার প্রতিপক্ষ মির্জা আব্বাসের অনুসারী যুগ্ম আহ্বায়কও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। খোকার অনুসারীও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ কারণেই মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন খোকা ও সালাম।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেও সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে। বিরোধী দলকে তো সরকারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তা ছাড়া রাজপথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশ নামতেই দিচ্ছে না। মিছিল বের করলেই লাঠিপেটা শুরু হয়। নামে-বেনামে মামলা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুস সালাম বলেন, বড় দলে নেতৃত্ব নিয়ে যে প্রতিযোগিতা চলছে, একে কোন্দল বলা যাবে না। কারণ বড় দলে নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের যেসব সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ঢাকা বিভক্তিতে দলের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না জানতে চাইলে সালাম বলেন, 'বিভক্তি তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। বরং এই বিভক্তির প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন চলছে। তাই প্রভাব পড়ার প্রশ্নই আসে না।'
No comments