বাম্পার ফলনেও হাসি নেই নাইক্ষ্যংছড়ির কৃষকদের by নুরুল আলম সাঈদ
আমন ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির কৃৃষকদের মুখে। গত বছর যে ধান তারা বিক্রি করেছেন ১৮ টাকা কেজি দরে, সেই ধান এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৩ টাকায়! এ অবস্থায় লাভ দূরে থাক উৎপাদন খরচটুকু উঠে আসে কি-না তা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। সূত্র জানায়, শ্রমিকের মজুরি, কৃষিপণ্যসহ সবকিছুর দাম দিন দিন শুধু বাড়ছেই। এতে ধান উৎপাদন করতে গিয়ে বাড়ছে কৃষকদের ব্যয়।
কিন্তু ব্যয় বাড়লেও বাড়ছে না ধানের দাম। দাম বাড়া দূরে থাক এ বছর উল্টো কমেছে ধানের দাম। ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা বর্তমানে দিশেহারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, এবার আমন ক্ষেতে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারেনি। কৃষকদের সময়মতো সার সরবরাহের পাশাপাশি অনুকূলে ছিল আবহাওয়াও। এসব কারণে উপজেলায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি জানান, এবার উপজেলায় বিআর১০, বিআর ১১, বিরি জাত ৩০, ৩২, ৩৩, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৬, পাইজাম, উফশী ১৫২ ও স্থানীয় ইরি (বার্মাইয়া জাত) ধানের চাষ হয়। শুরুতে ২ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে চাষ হয়েছে এর চেয়েও বেশি, ৩ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদন ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা।
এদিকে কৃষকরা জানান, গত সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলার হাট-বাজারে ধান-চালের দাম কমতে শুরু করে। অক্টোবরে সরকারিভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হলে ধান-চালের দাম আরও কমে যায়। বাজারদর এবং ওএমএসের চালের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য সমান হওয়ায় স্থানীয় দুস্থ পরিবারগুলো ওএমএসের চাল নিতে অনীহা প্রকাশ করে। তার ওপর আমন ধান কাটার শুরুতেই হঠাৎ ধানের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অথচ ধানের দাম কমলেও উৎপাদন খরচ কিন্তু দিন দিন শুধু বাড়ছেই। এতে খরচ তুলে লাভ করা কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তদাররা নতুন ধান গুদামজাত করার জন্য মজুদকৃত ধান কম মূল্যে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। এ কারণে কমে গেছে ধানের দাম। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিকেজি ধান ১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ বলেন, 'কৃষকরা তাদের অর্জিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেলে এর প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। তা ছাড়া ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের জীবিকা নির্বাহও কঠিন হয়ে পড়বে।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, এবার আমন ক্ষেতে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারেনি। কৃষকদের সময়মতো সার সরবরাহের পাশাপাশি অনুকূলে ছিল আবহাওয়াও। এসব কারণে উপজেলায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি জানান, এবার উপজেলায় বিআর১০, বিআর ১১, বিরি জাত ৩০, ৩২, ৩৩, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৬, পাইজাম, উফশী ১৫২ ও স্থানীয় ইরি (বার্মাইয়া জাত) ধানের চাষ হয়। শুরুতে ২ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে চাষ হয়েছে এর চেয়েও বেশি, ৩ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদন ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা।
এদিকে কৃষকরা জানান, গত সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলার হাট-বাজারে ধান-চালের দাম কমতে শুরু করে। অক্টোবরে সরকারিভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হলে ধান-চালের দাম আরও কমে যায়। বাজারদর এবং ওএমএসের চালের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য সমান হওয়ায় স্থানীয় দুস্থ পরিবারগুলো ওএমএসের চাল নিতে অনীহা প্রকাশ করে। তার ওপর আমন ধান কাটার শুরুতেই হঠাৎ ধানের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। অথচ ধানের দাম কমলেও উৎপাদন খরচ কিন্তু দিন দিন শুধু বাড়ছেই। এতে খরচ তুলে লাভ করা কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তদাররা নতুন ধান গুদামজাত করার জন্য মজুদকৃত ধান কম মূল্যে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। এ কারণে কমে গেছে ধানের দাম। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিকেজি ধান ১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ বলেন, 'কৃষকরা তাদের অর্জিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেলে এর প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। তা ছাড়া ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের জীবিকা নির্বাহও কঠিন হয়ে পড়বে।'
No comments