বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তির শোভাযাত্রায় শামীম ওসমান-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেলে আর কিছু চাওয়ার থাকবে না
সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি, এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেলে রাজনীতিতে আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু থাকবে না। তাই বিজয়ের ৪০ বছরে পেঁৗছে অবিলম্বে এ দেশের সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও গ্রেপ্তার দাবি করছি।' স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জে বিজয় শোভাযাত্রার প্রাক্কালে শামীম ওসমান এসব কথা
বলেন। বক্তব্যে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় ত্যাগ ও অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র পদক দেওয়ার দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জের স্মরণকালের বৃহৎ এ বিজয় শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। লাল-সবুজের রঙে শোভাযাত্রাটি যেন হয়ে ওঠে চলমান এক পতাকা। খানপুর হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শহরের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এর আগে নেতারা সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন। পরে বিজয়ের ৪০ বছরের স্মারক হিসেবে ৪০টি পায়রা উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নেতা মফিজুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় শামীম ওসমান বলেন, এ দেশের প্রগতিশীল রাজনীতি চরম হুমকির মুখে ধাবিত হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী শকুনরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তিকে পরাভূত করতে বিষাক্ত থাবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সামনে বিরোধী শক্তির সব ষড়যন্ত্র মাঠে মারা পড়বে। এ জন্য এই মুহূর্তে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের প্রগতিশীল ধারার শ্রেণী-পেশার মানুষকে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ক্রান্তিকাল জয় করতে হবে।
দলের কর্মীদের উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, "আমার সৌভাগ্য হয়েছে গণতন্ত্রের মানসকন্যার সানি্নধ্যে জীবনের একটা বড় সময় কাটাবার। আমি তাঁর কাছে শিখেছি কিভাবে ধৈর্য ধারণ করতে হয়। মানুষকে ভালোবাসাই সত্যিকারের রাজনীতি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক রাজনীতিই করে চলেছি_এ কথার বড় প্রমাণ, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক চারদলীয় জোট প্রথম বোমা হামলা চালিয়েছিল আমাকে হত্যা করতে। ছয় বছর প্রবাসে থেকে দেশে আসার পর আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছিল। এক-এগারোর পর মিথ্যা মামলা দিয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমাকে 'ক্যাঙ্গারু কোর্টে' সাজা দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত নাসিক নির্বাচনে আমার মতো এক শামীম ওসমানের বিজয় রুখে দিতে সেই বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের ভাষায় কোরবানির গরুর মতো তাদের প্রার্থীকে কোরবানি দিয়েছিল। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে, আমি সঠিক রাজনীতি করছি।"
শামীম ওসমান বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে বলেন, 'খালেদা জিয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলে জনগণ থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছেন। যাঁরা নাসিক নির্বাচনে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে রাতের আঁধারে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেন, তাঁদের মুখে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা মানায় না। খালেদা জিয়ার বোঝা উচিত, আমরা মুজিব সেনা। আমরা ন্যায্য কথার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আপনারাও ন্যায্য কথা বললে আমরা তা আমলে নেব। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।' শামীম ওসমান দু-একটি মিডিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আমার ভুল থাকতে পারে, আপনারা তা সংশোধন করে দিন। কিন্তু শুধু বিরোধিতার কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে শক্তিশালী করবেন না।'
বিজয় শোভাযাত্রায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
নারায়ণগঞ্জের স্মরণকালের বৃহৎ এ বিজয় শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। লাল-সবুজের রঙে শোভাযাত্রাটি যেন হয়ে ওঠে চলমান এক পতাকা। খানপুর হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শহরের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এর আগে নেতারা সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন। পরে বিজয়ের ৪০ বছরের স্মারক হিসেবে ৪০টি পায়রা উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নেতা মফিজুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় শামীম ওসমান বলেন, এ দেশের প্রগতিশীল রাজনীতি চরম হুমকির মুখে ধাবিত হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী শকুনরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তিকে পরাভূত করতে বিষাক্ত থাবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সামনে বিরোধী শক্তির সব ষড়যন্ত্র মাঠে মারা পড়বে। এ জন্য এই মুহূর্তে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের প্রগতিশীল ধারার শ্রেণী-পেশার মানুষকে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ক্রান্তিকাল জয় করতে হবে।
দলের কর্মীদের উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, "আমার সৌভাগ্য হয়েছে গণতন্ত্রের মানসকন্যার সানি্নধ্যে জীবনের একটা বড় সময় কাটাবার। আমি তাঁর কাছে শিখেছি কিভাবে ধৈর্য ধারণ করতে হয়। মানুষকে ভালোবাসাই সত্যিকারের রাজনীতি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক রাজনীতিই করে চলেছি_এ কথার বড় প্রমাণ, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক চারদলীয় জোট প্রথম বোমা হামলা চালিয়েছিল আমাকে হত্যা করতে। ছয় বছর প্রবাসে থেকে দেশে আসার পর আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছিল। এক-এগারোর পর মিথ্যা মামলা দিয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমাকে 'ক্যাঙ্গারু কোর্টে' সাজা দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত নাসিক নির্বাচনে আমার মতো এক শামীম ওসমানের বিজয় রুখে দিতে সেই বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের ভাষায় কোরবানির গরুর মতো তাদের প্রার্থীকে কোরবানি দিয়েছিল। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে, আমি সঠিক রাজনীতি করছি।"
শামীম ওসমান বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে বলেন, 'খালেদা জিয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলে জনগণ থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছেন। যাঁরা নাসিক নির্বাচনে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে রাতের আঁধারে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেন, তাঁদের মুখে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা মানায় না। খালেদা জিয়ার বোঝা উচিত, আমরা মুজিব সেনা। আমরা ন্যায্য কথার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আপনারাও ন্যায্য কথা বললে আমরা তা আমলে নেব। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।' শামীম ওসমান দু-একটি মিডিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আমার ভুল থাকতে পারে, আপনারা তা সংশোধন করে দিন। কিন্তু শুধু বিরোধিতার কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে শক্তিশালী করবেন না।'
বিজয় শোভাযাত্রায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
No comments