সুদিনে দুর্দিনের শিক্ষার কথাই বলছেন 'প্রফেসর'
ভাগ্যিস, বীরেন্দর শেবাগ নন মোহাম্মদ হাফিজ! হলে কী কেলেঙ্কারিটাই না কাল হতো! এই চট্টগ্রামে এসেই বাংলাদেশের বোলিংকে 'অর্ডিনারি' বলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন শেবাগ। ডাকাবুকো ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি যে তাঁর কথাবার্তাতেও! হাফিজের ব্যাটিং অতটা আক্রমণাত্মক নয়। আর কথাতে পাকিস্তান দলের আর সবার মতো তিনিও 'বাংলাদেশবান্ধব'। ২০০৩ সালে নিজের অভিষেক সিরিজে দেখেছিলেন বাংলাদেশকে।
দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল সেই সিরিজ। আট বছর পর এবার হাফিজ দেখছেন একতরফা লড়াই। টোয়েন্টি টোয়েন্টি, ওয়ানডের পর টেস্টেও অসহায় আত্মসমর্পণের পথে বাংলাদেশ। তার পরও খালেদ মাহমুদের সেই দলের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের এই দলের তুলনা, দল হিসেবে প্রতিপক্ষ কতটা এগিয়েছে কিংবা পিছিয়েছে, এমন আলোচনায় টেনে আনা গেল না হাফিজকে। ভদ্রতার প্রতিমূর্তি হয়ে কেবল বললেন, 'গত আট-নয় বছরে তারা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। সময়ের সঙ্গে শিখেছেও অনেক কিছু। অনেক ভালো পারফরম্যান্স দেখা গেছে তাদের কাছ থেকে। তারা যত খেলবে তত শিখবে। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে আমরা সব সময়ই সমীহ করি।'
পাকিস্তানের কোচ মহসিন খান বলে গেছেন এমনটা, অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক কিংবা অভিজ্ঞ ইউনিস খানও তাই। আর মোহাম্মদ হাফিজ তো বলবেনই, তিনি যে 'প্রফেসর'! হ্যাঁ, পাকিস্তান ক্রিকেটাঙ্গনে এ নামেই পরিচিত হাফিজ, কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে পাশে বসা সহকারী ম্যানেজার বললেন তাঁর ক্রিকেটিং জিনিয়াসের কথা। আর নিজে বললেন, 'নামটা তো মন্দ না। আমি হয়তো নির্বোধের মতো আজেবাজে কিছু বলি না বলেই সবাই এ নামে ডাকে।' তো এই হাফিজ কী করে ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে বাংলাদেশকে হেলা করেন!
করলে অবশ্য তাঁকে দোষ দেওয়া যেত না। শেবাগের উদ্ধত উচ্চারণ ছিল টেস্টের আগে। আর হাফিজের কাছে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের আরেকটি করুণ পরাজয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার সময়। মুশফিকুরের দলকে সমীহ করার কথা বললেও সমীহজাগানিয়া ক্রিকেট কিন্তু এই সিরিজে খেলতে পারছে না স্বাগতিকরা। হাফিজের তাতে কী! প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে ব্যাটে-বলে যে উদ্ভাসিত এ অলরাউন্ডার।
প্রিয় প্রতিপক্ষ! শব্দযুগলে আপত্তি আছে তাঁর। তবে ২০০৩ সালে অভিষেক সিরিজে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে যাঁদের বিপক্ষে, কাল টেস্টে সর্বোচ্চ ১৪৩ রানেও সেই অভিন্ন দল। বাংলাদেশ সফরের আগের অংশটিও কেটেছে দুর্দান্ত। 'আমি আসলে সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ভালো পারফরম করতে চাই। দিতে চাই নিজের শতভাগ। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে ভালো খেলতে পারছি, সেটি অবশ্যই আনন্দের'_বলেছেন হাফিজ। নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে উচ্ছ্বাস আছে, তবে ব্যাটের কানায় লাগার পরও এলবিডাবি্লউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হওয়া নিয়ে উষ্মা নেই কোনো, 'এটি তো আসলে খেলারই অংশ। কখনো-সখনো বাজে সিদ্ধান্ত আপনার বিপক্ষে যাবে। আমি পারি শুধু কঠোর পরিশ্রম করে যেতে।'
পরিশ্রম অবশ্য কম করেননি হাফিজ। সেই ২০০৩ সালে অভিষেক হলেও জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে উঠতে সময় লেগেছে বেশ। তবে এই ২০১১ সাল তাঁর জন্য যাচ্ছে স্বপ্নের মতো। ৯ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৮৬ রান এবং ২৩.৭৮ গড়ে ১৪ উইকেট, ৩২ ওয়ানডেতে তিন সেঞ্চুরিতে ১০৭৫ রান ও ২৫.৩৪ গড়ে ৩২ উইকেটের পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। ক্যারিয়ারের এ পুনরুজ্জীবনে সেই কঠোর পরিশ্রমের ভূমিকাই দেখছেন হাফিজ, 'দলের বাইরে থাকাটা সহজ না। তবে ওই সময়টায় আমি নিজের ভুল থেকে শিখেছি। করেছি পরিশ্রম। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এবং নিজের ভুলের ভিডিও দেখে সেগুলো শোধরানোয় দিয়েছিলাম মনোযোগ। এখন তার পুরস্কার হিসেবে যে পাকিস্তান দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারছি, তাতেই আমি আনন্দিত।'
নিজের উদ্ভাসিত ব্যাটিংয়ে আরেকটি জয়ের সুবাস পেতে পেতে অমনটা তো বলতেই পারেন প্রফেসর!
পাকিস্তানের কোচ মহসিন খান বলে গেছেন এমনটা, অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক কিংবা অভিজ্ঞ ইউনিস খানও তাই। আর মোহাম্মদ হাফিজ তো বলবেনই, তিনি যে 'প্রফেসর'! হ্যাঁ, পাকিস্তান ক্রিকেটাঙ্গনে এ নামেই পরিচিত হাফিজ, কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে পাশে বসা সহকারী ম্যানেজার বললেন তাঁর ক্রিকেটিং জিনিয়াসের কথা। আর নিজে বললেন, 'নামটা তো মন্দ না। আমি হয়তো নির্বোধের মতো আজেবাজে কিছু বলি না বলেই সবাই এ নামে ডাকে।' তো এই হাফিজ কী করে ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে বাংলাদেশকে হেলা করেন!
করলে অবশ্য তাঁকে দোষ দেওয়া যেত না। শেবাগের উদ্ধত উচ্চারণ ছিল টেস্টের আগে। আর হাফিজের কাছে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের আরেকটি করুণ পরাজয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার সময়। মুশফিকুরের দলকে সমীহ করার কথা বললেও সমীহজাগানিয়া ক্রিকেট কিন্তু এই সিরিজে খেলতে পারছে না স্বাগতিকরা। হাফিজের তাতে কী! প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে ব্যাটে-বলে যে উদ্ভাসিত এ অলরাউন্ডার।
প্রিয় প্রতিপক্ষ! শব্দযুগলে আপত্তি আছে তাঁর। তবে ২০০৩ সালে অভিষেক সিরিজে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে যাঁদের বিপক্ষে, কাল টেস্টে সর্বোচ্চ ১৪৩ রানেও সেই অভিন্ন দল। বাংলাদেশ সফরের আগের অংশটিও কেটেছে দুর্দান্ত। 'আমি আসলে সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ভালো পারফরম করতে চাই। দিতে চাই নিজের শতভাগ। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে ভালো খেলতে পারছি, সেটি অবশ্যই আনন্দের'_বলেছেন হাফিজ। নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে উচ্ছ্বাস আছে, তবে ব্যাটের কানায় লাগার পরও এলবিডাবি্লউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হওয়া নিয়ে উষ্মা নেই কোনো, 'এটি তো আসলে খেলারই অংশ। কখনো-সখনো বাজে সিদ্ধান্ত আপনার বিপক্ষে যাবে। আমি পারি শুধু কঠোর পরিশ্রম করে যেতে।'
পরিশ্রম অবশ্য কম করেননি হাফিজ। সেই ২০০৩ সালে অভিষেক হলেও জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে উঠতে সময় লেগেছে বেশ। তবে এই ২০১১ সাল তাঁর জন্য যাচ্ছে স্বপ্নের মতো। ৯ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৮৬ রান এবং ২৩.৭৮ গড়ে ১৪ উইকেট, ৩২ ওয়ানডেতে তিন সেঞ্চুরিতে ১০৭৫ রান ও ২৫.৩৪ গড়ে ৩২ উইকেটের পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। ক্যারিয়ারের এ পুনরুজ্জীবনে সেই কঠোর পরিশ্রমের ভূমিকাই দেখছেন হাফিজ, 'দলের বাইরে থাকাটা সহজ না। তবে ওই সময়টায় আমি নিজের ভুল থেকে শিখেছি। করেছি পরিশ্রম। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এবং নিজের ভুলের ভিডিও দেখে সেগুলো শোধরানোয় দিয়েছিলাম মনোযোগ। এখন তার পুরস্কার হিসেবে যে পাকিস্তান দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারছি, তাতেই আমি আনন্দিত।'
নিজের উদ্ভাসিত ব্যাটিংয়ে আরেকটি জয়ের সুবাস পেতে পেতে অমনটা তো বলতেই পারেন প্রফেসর!
No comments