হয়রানিমুক্ত মূসক আইন চান ব্যবসায়ীরা
নতুন মূসক আইন প্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ আইনের খসড়ার ওপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বারের সঙ্গে আলোচনায় চেম্বার নেতারা হয়রানিমুক্ত একটি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন প্রবর্তনের ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য দেন। গতকাল 'খসড়া মূসক আইন-২০১১' এর স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি
(ডিসিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। কর্মশালায় ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, 'দেশের বিদ্যমান মূসক আইনের আধুনিকায়ন প্রয়োজন আছে। তবে সেটাকে অবশ্যই ব্যবসাবান্ধব হতে হবে।'
নতুন আইনে করদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে মূসক কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বিলোপের বিষয়কে সাধুবাদ জানিয়ে আসিফ ইব্রাহীম বলেন, 'এতে করবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে এবং করদাতারা হয়রানিমুক্তভাবে কর দিতে পারবেন।'
উপকরণ কর রেয়াত সুবিধার প্রাপ্তির জন্য নতুন আইনে ৫০ হাজার টাকার কথা বলা হয়েছে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হবে। তা ছাড়া রাজস্ব বোর্ডের আয়কর অফিসগুলো ডিসিটির অনুকূলে চেক বা পে-অর্ডার জমা দিতে সরকারি ট্রেজারি জমা দিতে অনুমতি দিয়ে সরকার ভরসা পায় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি টার্নওভার কর ও অগ্রিম কর আদায়ের বিষয়ে নতুন মূসক আইনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান। তা ছাড়া কর ফাঁকি রোধে নতুন আইনে স্পষ্ট বিধান রাখার পরামর্শ দেন। দেশের ভোক্তাপর্যায়ের মূসকের হার তুলনামূলকভাবে বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ীরা মূসক দিতে চায়। কিন্তু এর প্রদান প্রক্রিয়া হয়রানিমুক্ত হতে হবে। এতে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ ভালোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।' কর্মশালায় মূসক আইনের খসড়ার ওপর দুটি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও আইএফসির প্রতিনিধি অধ্যাপক বিন তেরা। প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা চেম্বারের নেতারা নতুন আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ঢাকা চেম্বারের পরিচালক এম আবু হুরাইরা, আবসার করিম চৌধুরী, মহিউদ্দিন মোনেম, সদস্য এম এস সিদ্দিকী, সাবেক পরিচালক মঞ্জুর আহমেদসহ অন্য নেতারা এ প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। পর্যায়ক্রমে কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও আইএফসির প্রতিনিধি অধ্যাপক বিন তেরা নেতাদের এসব প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রধান অতিধির বক্তব্যে নাসিরউদ্দিন বলেন, 'মূসক আইনের খসড়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে আইন বাস্তবায়ন হতে এখনো অনেক সময় লাগবে।' সবার সহযোগিতায় একটি করবান্ধব মূসক আইন প্রণয়নের জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
নতুন আইনে করদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে মূসক কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বিলোপের বিষয়কে সাধুবাদ জানিয়ে আসিফ ইব্রাহীম বলেন, 'এতে করবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে এবং করদাতারা হয়রানিমুক্তভাবে কর দিতে পারবেন।'
উপকরণ কর রেয়াত সুবিধার প্রাপ্তির জন্য নতুন আইনে ৫০ হাজার টাকার কথা বলা হয়েছে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হবে। তা ছাড়া রাজস্ব বোর্ডের আয়কর অফিসগুলো ডিসিটির অনুকূলে চেক বা পে-অর্ডার জমা দিতে সরকারি ট্রেজারি জমা দিতে অনুমতি দিয়ে সরকার ভরসা পায় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি টার্নওভার কর ও অগ্রিম কর আদায়ের বিষয়ে নতুন মূসক আইনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান। তা ছাড়া কর ফাঁকি রোধে নতুন আইনে স্পষ্ট বিধান রাখার পরামর্শ দেন। দেশের ভোক্তাপর্যায়ের মূসকের হার তুলনামূলকভাবে বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ীরা মূসক দিতে চায়। কিন্তু এর প্রদান প্রক্রিয়া হয়রানিমুক্ত হতে হবে। এতে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ ভালোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।' কর্মশালায় মূসক আইনের খসড়ার ওপর দুটি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও আইএফসির প্রতিনিধি অধ্যাপক বিন তেরা। প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা চেম্বারের নেতারা নতুন আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ঢাকা চেম্বারের পরিচালক এম আবু হুরাইরা, আবসার করিম চৌধুরী, মহিউদ্দিন মোনেম, সদস্য এম এস সিদ্দিকী, সাবেক পরিচালক মঞ্জুর আহমেদসহ অন্য নেতারা এ প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। পর্যায়ক্রমে কমিশনার ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও আইএফসির প্রতিনিধি অধ্যাপক বিন তেরা নেতাদের এসব প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রধান অতিধির বক্তব্যে নাসিরউদ্দিন বলেন, 'মূসক আইনের খসড়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে আইন বাস্তবায়ন হতে এখনো অনেক সময় লাগবে।' সবার সহযোগিতায় একটি করবান্ধব মূসক আইন প্রণয়নের জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
No comments