বাটেক্সপো ২০১১' শুরু-পোশাক রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলারে নিতে চায় বিজিএমইএ
আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চান দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোর মালিকরা। তাঁরা বলেছেন, এককভাবে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। কিন্তু বিশ্বের ৩২০ বিলিয়ন ডলারের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি এখনো পাঁচ শতাংশের কম। ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশ পোশাক খাতে দক্ষতা অর্জন করেছে। সরকারের নীতিগত সহযোগিতা পেলে এই দক্ষতা ব্যবহার
করে বাংলাদেশ অনেক দূর এগোতে পারবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড টেঙ্টাইল এঙ্পোজিশনের (বাটেঙ্পো-২০১১) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি তৈরি পোশাক কারখানা, পোশাক কারখানার উপকরণ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকংসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। ২২তম বারের মতো তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বিজিএমইএ। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, বিজিএমইএর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান, ফারুক হাসান ও এস এম মান্নান কচি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীরা তাঁদের দপ্তর থেকে পোশাক খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিজিএমইএর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, গত তিন দশকে পোশাক খাত প্রমাণ করেছে, এ খাতের সম্ভাবনা অনেক। বিদ্যুত-গ্যাস সমস্যার সমাধান, দক্ষ শ্রমিকের জোগান ও সরকারের সহায়তা পেলে আগামী তিন বছরে এ খাতের রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া কঠিন হবে না। বিভিন্ন নীতি সহায়তা ও রপ্তানিবান্ধব পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ ২০১০ সালে বিশ্বমন্দার মধ্যে থেকে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে এ খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কাঁচামালের দাম, আয়কর, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্নভাবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কিছুটা হলেও কমেছে। তিনি সরকারকে গ্যাস-বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর কার্যক্রম আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঠিকমতো পরিচর্যা করলে আগামী চার বছরে এ খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব। এটা সম্ভব হলে চার বছর পরে দেশে কোনো বেকার
থাকবে না।
নতুন বাজার সৃষ্টিতে রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাক খাত এখন কঠিন সময় পার করছে। প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার অবস্থা ভালো নয়। তাঁর মতে, নতুন বাজার সম্প্রসারণ জরুরি। সরকার নতুন বাজারে রপ্তানিতে প্রণোদনা চালু রাখলে সেটা রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। এবারের প্রদর্শনীতে মোট স্টল সংখ্যা ১৪৬টি। এর মধ্যে ৫৬টি বিজিএমইএর সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। বাকি স্টলগুলো দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে। তিনি জানান, প্রদর্শনীতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে ১৬টি। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০টি থাইল্যান্ডের, দুটি চীনের, একটি পাকিস্তানের ও তিনটি ভারতের।
বিজিএমইএর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, গত তিন দশকে পোশাক খাত প্রমাণ করেছে, এ খাতের সম্ভাবনা অনেক। বিদ্যুত-গ্যাস সমস্যার সমাধান, দক্ষ শ্রমিকের জোগান ও সরকারের সহায়তা পেলে আগামী তিন বছরে এ খাতের রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া কঠিন হবে না। বিভিন্ন নীতি সহায়তা ও রপ্তানিবান্ধব পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ ২০১০ সালে বিশ্বমন্দার মধ্যে থেকে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে এ খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কাঁচামালের দাম, আয়কর, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্নভাবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কিছুটা হলেও কমেছে। তিনি সরকারকে গ্যাস-বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর কার্যক্রম আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঠিকমতো পরিচর্যা করলে আগামী চার বছরে এ খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব। এটা সম্ভব হলে চার বছর পরে দেশে কোনো বেকার
থাকবে না।
নতুন বাজার সৃষ্টিতে রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাক খাত এখন কঠিন সময় পার করছে। প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার অবস্থা ভালো নয়। তাঁর মতে, নতুন বাজার সম্প্রসারণ জরুরি। সরকার নতুন বাজারে রপ্তানিতে প্রণোদনা চালু রাখলে সেটা রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। এবারের প্রদর্শনীতে মোট স্টল সংখ্যা ১৪৬টি। এর মধ্যে ৫৬টি বিজিএমইএর সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। বাকি স্টলগুলো দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে। তিনি জানান, প্রদর্শনীতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে ১৬টি। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০টি থাইল্যান্ডের, দুটি চীনের, একটি পাকিস্তানের ও তিনটি ভারতের।
No comments