বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ব্যাটিং শিক্ষা-বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ১৩৫ -পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪১৫/৪ -(২য় দিনের শেষে) by মাসুদ পারভেজ
মাথায় হাত দিয়ে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন শাহরিয়ার নাফীস! রুবেল হোসেনের বলে দ্বিতীয় স্লিপে মিসবাহ-উল হকের ক্যাচ নিতে না পারার ঠিক পর মুহূর্তের ছবি। এটা আসলে চট্টগ্রাম টেস্টে স্বাগতিকদের অবস্থার প্রতীকী চিত্রও। দ্বিতীয় দিনশেষে যে বাংলাদেশ দলেরও মাথায় হাত! তবুও আশা যে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে কেউ না কেউ ভালো কিছু করবেন। আর সেটা শুরুতেই। তাতে আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার ঘটবে রান করতে ভুলে যাওয়া অন্য ব্যাটসম্যানদের
মাঝেও। আপাতত এমন আশায় বুক বাঁধা ছাড়া আর কোনো উপায়ও তো দেখছেন না সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ, 'আশার কথা ছাড়া এ মুহূর্তে বলার আর কিছুই নেই।' চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শুরুর আগে বাংলাদেশ দল এমনই অসহায়!
প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং কাণ্ডেই সহায়-সম্বলহীন হওয়ার পথ খুলে গিয়েছিল। ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে পাকিস্তান সে পথে কাল স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটেও গেল। নিজের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৪৩ রানে নিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ হাফিজের পর হাল ধরার ব্যাটসম্যানেরও অভাব নেই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে। দিনশেষে তাই তাঁদের সংগ্রহ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের (১৩৫) তিনগুণেরও বেশি, ৪ উইকেটে ৪১৫! এর মধ্যেই ২৮০ রানে এগিয়ে তারা। এখান থেকে আজ বাংলাদেশকে রানের বোঝায় আরো কুঁজো করে ফেলার লক্ষ্যেই নামার কথা উনিশতম টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা ইউনিস খান (৯৬*) ও তাঁর সঙ্গী আসাদ শফিকের (৪০*)।
এর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের ব্যাটিং প্রস্তুতির কথাও ভাবলে পাকিস্তান আজ কোথায় গিয়ে থামবে কে জানে! থামলে পরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংটা কেমন হওয়া চাই, সে শিক্ষাও থাকল কালকের পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের উচ্চাঙ্গে পেঁৗছাতে ব্যর্থতার বিপরীতে তাঁরা উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকলেন। বিনা উইকেটে ১৩২ নিয়ে দিন শুরু করেও তাই ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করতে চাইলেন দুই ওপেনার। যে জন্য একপর্যায়ে টানা ৫ ওভার মেডেন দিয়ে যেতেও দ্বিধা হলো না মোহাম্মদ হাফিজ ও তৌফিক ওমরের। ধীরে-সুস্থে শুরু করা এ জুটি ভাঙলেও বাংলাদেশের তাতে সুস্থির হওয়ার উপায় ছিল না।
তৌফিককে (৬১) এলবিডাবি্লউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভেঙেছেন মাহমুদ উল্লাহ। এর আগেই অবশ্য পাকিস্তানের হয়ে হাফিজ-তৌফিক ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ (১৬৪ রানের) গড়া হয়ে গেছে। একটু পরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দে ভেসেছেন 'প্রফেসর'। ক্রিকেটীয় ব্যাপার-স্যাপারের একেবারে গভীরে ঢুকে যান বলে সতীর্থরা এ নামেই ডেকে থাকেন হাফিজকে। ১৭২ বলে সেঞ্চুরিতে পেঁৗছানো হাফিজ এরপর এগোতে থাকলেন আরো বড় কিছুর দিকে। কিন্তু তাঁকে থামতে হলো। বলা ভালো যে থামানো হলো! বাংলাদেশের কোনো বোলার অবশ্য নন, থামালেন খোদ আম্পায়ার বিলি ডকট্রোভ!
হোবার্টে চরিত্রবিরুদ্ধভাবে এলবিডাবি্লউর জন্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে 'ওয়াক' করে যেমন বিস্মিত করেছেন রিকি পন্টিং, ডকট্রোভের কাণ্ডও তো এর চেয়ে কোনো অংশে কম বিস্ময়ের নয়। ইলিয়াস সানির বল পেছনের পায়ে লাগার আগে যে হাফিজের ব্যাটে লেগে গিয়েছিল, সেটা দেখলেনই না ক্যারিবীয় আম্পায়ার! আবেদনে দিব্যি আঙুল তুলে দিলেন! অথচ আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত সব সময় নিজেদের বিপক্ষে যায় বলেই অভিযোগ করে থাকে বাংলাদেশ ক্যাম্প! এই ভুলেও অবশ্য তাদের বিশেষ উপকার হয়নি। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং-ব্যর্থতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হয়তো গোলমালও হচ্ছিল। মিসবাহর ক্যাচ নিতে না পারার ঘটনা আগেই জেনেছেন। এটা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক (২০) বেশি দূর যেতে পারেননি, তবে গেছেন ইউনিস। শাহাদাত হোসেনের শর্ট বলে পুল করলেও ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ক্যাচ উঠে গেল ডিপ স্কয়ার লেগে। ইলিয়াস সানি সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে নিতেও পারলেন না। ইউনিস তখন মাত্র ১৫ রানে।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাত্র চতুর্থ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ছয় হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে এখন আরেকটি সেঞ্চুরির পথে ইউনিস। বাংলাদেশ দলেরও মাথায় হাত!
প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং কাণ্ডেই সহায়-সম্বলহীন হওয়ার পথ খুলে গিয়েছিল। ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে পাকিস্তান সে পথে কাল স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটেও গেল। নিজের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৪৩ রানে নিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ হাফিজের পর হাল ধরার ব্যাটসম্যানেরও অভাব নেই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে। দিনশেষে তাই তাঁদের সংগ্রহ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের (১৩৫) তিনগুণেরও বেশি, ৪ উইকেটে ৪১৫! এর মধ্যেই ২৮০ রানে এগিয়ে তারা। এখান থেকে আজ বাংলাদেশকে রানের বোঝায় আরো কুঁজো করে ফেলার লক্ষ্যেই নামার কথা উনিশতম টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা ইউনিস খান (৯৬*) ও তাঁর সঙ্গী আসাদ শফিকের (৪০*)।
এর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের ব্যাটিং প্রস্তুতির কথাও ভাবলে পাকিস্তান আজ কোথায় গিয়ে থামবে কে জানে! থামলে পরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংটা কেমন হওয়া চাই, সে শিক্ষাও থাকল কালকের পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের উচ্চাঙ্গে পেঁৗছাতে ব্যর্থতার বিপরীতে তাঁরা উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকলেন। বিনা উইকেটে ১৩২ নিয়ে দিন শুরু করেও তাই ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করতে চাইলেন দুই ওপেনার। যে জন্য একপর্যায়ে টানা ৫ ওভার মেডেন দিয়ে যেতেও দ্বিধা হলো না মোহাম্মদ হাফিজ ও তৌফিক ওমরের। ধীরে-সুস্থে শুরু করা এ জুটি ভাঙলেও বাংলাদেশের তাতে সুস্থির হওয়ার উপায় ছিল না।
তৌফিককে (৬১) এলবিডাবি্লউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভেঙেছেন মাহমুদ উল্লাহ। এর আগেই অবশ্য পাকিস্তানের হয়ে হাফিজ-তৌফিক ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ (১৬৪ রানের) গড়া হয়ে গেছে। একটু পরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দে ভেসেছেন 'প্রফেসর'। ক্রিকেটীয় ব্যাপার-স্যাপারের একেবারে গভীরে ঢুকে যান বলে সতীর্থরা এ নামেই ডেকে থাকেন হাফিজকে। ১৭২ বলে সেঞ্চুরিতে পেঁৗছানো হাফিজ এরপর এগোতে থাকলেন আরো বড় কিছুর দিকে। কিন্তু তাঁকে থামতে হলো। বলা ভালো যে থামানো হলো! বাংলাদেশের কোনো বোলার অবশ্য নন, থামালেন খোদ আম্পায়ার বিলি ডকট্রোভ!
হোবার্টে চরিত্রবিরুদ্ধভাবে এলবিডাবি্লউর জন্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে 'ওয়াক' করে যেমন বিস্মিত করেছেন রিকি পন্টিং, ডকট্রোভের কাণ্ডও তো এর চেয়ে কোনো অংশে কম বিস্ময়ের নয়। ইলিয়াস সানির বল পেছনের পায়ে লাগার আগে যে হাফিজের ব্যাটে লেগে গিয়েছিল, সেটা দেখলেনই না ক্যারিবীয় আম্পায়ার! আবেদনে দিব্যি আঙুল তুলে দিলেন! অথচ আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত সব সময় নিজেদের বিপক্ষে যায় বলেই অভিযোগ করে থাকে বাংলাদেশ ক্যাম্প! এই ভুলেও অবশ্য তাদের বিশেষ উপকার হয়নি। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং-ব্যর্থতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হয়তো গোলমালও হচ্ছিল। মিসবাহর ক্যাচ নিতে না পারার ঘটনা আগেই জেনেছেন। এটা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক (২০) বেশি দূর যেতে পারেননি, তবে গেছেন ইউনিস। শাহাদাত হোসেনের শর্ট বলে পুল করলেও ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ক্যাচ উঠে গেল ডিপ স্কয়ার লেগে। ইলিয়াস সানি সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে নিতেও পারলেন না। ইউনিস তখন মাত্র ১৫ রানে।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাত্র চতুর্থ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ছয় হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে এখন আরেকটি সেঞ্চুরির পথে ইউনিস। বাংলাদেশ দলেরও মাথায় হাত!
No comments