কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান শিগগিরই by বিপ্লব রহমান ও আবুল কাশেম হৃদয়
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী শিগগিরই বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে চিরুনি অভিযান শুরু করবে। পুলিশ ও র্যাবের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো কুমিল্লা সিটিকে ঢেকে ফেলা হবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে। জেলা রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি আরো জানান, ভোটের সাত দিন আগে সিটির সব বাসিন্দাকে বাধ্যতামূলকভাবে সংশ্লিষ্ট থানায় বৈধ অস্ত্র জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে শহর ও মহাসড়কে পুলিশ ও র্যাবের টহল চলছে। আবাসিক হোটেলগুলোর বাসিন্দাদের ওপর পুলিশি নজরদারি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বর কুসিক নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর পুলিশ, র্যাব ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরাপত্তা কার্যক্রম আরো জোরদার করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, 'নারায়ণগঞ্জের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, প্রশাসন ও জনগণের সহায়তায় সেনাবাহিনী ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এ দিক বিবেচনায় সেনা মোতায়েন ছাড়াই কুসিক নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।'
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে বলে সে সময় পুরো কুমিল্লায় নেওয়া হবে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। শহর-মহাসড়কে পুলিশ, আনসার ও র্যাবের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি পথে পথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হবে এবং যানবাহনে তল্লাশি অভিযান চলবে। আগামী সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, কুসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের (৫ জানুয়ারি) সময় ২৭টি ওয়ার্ডের ৬৫টি কেন্দ্রেই বসানো হবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোথাও কোনো গোলযোগ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। নির্বাচনে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিজিবির মোট সাড়ে তিন হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। একেকটি কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। র্যাব সদস্যরা মূলত ভ্রাম্যমাণ দায়িত্ব পালন করবেন। তবে গুরুত্ব বুঝে কোনো কোনো কেন্দ্রে র্যাবও মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে। প্রতি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পর্যাপ্তসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট।
এরই মধ্যে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, 'নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কোনো কোনো প্রার্থী পুরো শহর পোস্টার-ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে ফেলেছিলেন। এসব নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ পোস্টার-ব্যানার-বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলেছি। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যন্ত কোথাও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি। কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য ৯টি গাড়ি নিয়ে আমাদের কর্মকর্তারা সদা সতর্ক রয়েছেন; কিন্তু দু-একটি গুজব ছাড়া এখনো কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি।'
কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ হাজার ১৯৯ এবং মহিলা ভোটার ৮৬ হাজার ৭৪ জন। ২৭টি ওয়ার্ডে ৬৫টি কেন্দ্রের ৪২১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে পাঁচ জানুয়ারি। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং কাউন্সিলর পদে মোট ৩১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে জেলা নাগরিক কমিটি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আফজল খান এবং জেলা জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহমেদ সেলিমের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করা এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার প্রশ্নে আপত্তির কথা জানিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, 'নারায়ণগঞ্জের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, প্রশাসন ও জনগণের সহায়তায় সেনাবাহিনী ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এ দিক বিবেচনায় সেনা মোতায়েন ছাড়াই কুসিক নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।'
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে বলে সে সময় পুরো কুমিল্লায় নেওয়া হবে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। শহর-মহাসড়কে পুলিশ, আনসার ও র্যাবের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি পথে পথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হবে এবং যানবাহনে তল্লাশি অভিযান চলবে। আগামী সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, কুসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের (৫ জানুয়ারি) সময় ২৭টি ওয়ার্ডের ৬৫টি কেন্দ্রেই বসানো হবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোথাও কোনো গোলযোগ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। নির্বাচনে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিজিবির মোট সাড়ে তিন হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। একেকটি কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। র্যাব সদস্যরা মূলত ভ্রাম্যমাণ দায়িত্ব পালন করবেন। তবে গুরুত্ব বুঝে কোনো কোনো কেন্দ্রে র্যাবও মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে। প্রতি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পর্যাপ্তসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট।
এরই মধ্যে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, 'নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কোনো কোনো প্রার্থী পুরো শহর পোস্টার-ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে ফেলেছিলেন। এসব নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ পোস্টার-ব্যানার-বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলেছি। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যন্ত কোথাও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি। কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য ৯টি গাড়ি নিয়ে আমাদের কর্মকর্তারা সদা সতর্ক রয়েছেন; কিন্তু দু-একটি গুজব ছাড়া এখনো কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি।'
কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ হাজার ১৯৯ এবং মহিলা ভোটার ৮৬ হাজার ৭৪ জন। ২৭টি ওয়ার্ডে ৬৫টি কেন্দ্রের ৪২১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে পাঁচ জানুয়ারি। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং কাউন্সিলর পদে মোট ৩১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে জেলা নাগরিক কমিটি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আফজল খান এবং জেলা জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহমেদ সেলিমের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করা এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার প্রশ্নে আপত্তির কথা জানিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
No comments