পরিবেশবান্ধব কৃষি কার্যক্রমে বিএটি by সোহেল মামুন
আলোর ফাঁদে আটকা পড়ছে ফসলের ক্ষতিকর পোকা। স্প্রে মেশিনে নিম পাতার রস ভরে পোকামাকড় মারছেন অনেকে। এ দৃশ্য কোনো কৃষি গবেষণাকেন্দ্র কিংবা প্রতিষ্ঠিত কৃষি খামারের নয়। সারি সারি পাহাড়ে ঢাকা বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক চাষিই এখন কীটনাশক হিসেবে বিষাক্ত মেডিসিন ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা শিখেছেন ক্ষতিকর পোকামাকড় মারার পরিবেশবান্ধব নানা কৌশল। পাশাপাশি কম্পোস্ট সার
তৈরি ও এ সার জমিতে ব্যবহারের বিষয়েও প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এসব চাষি। লামা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষিদের কাছ থেকে জানা গেছে, তারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ফার্মার ফিল্ড স্কুল (এফএফএস) থেকে। প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে_ স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চাষিরা। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানালেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ এ প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কমিউনিকেশন অ্যান্ড সিএসআর ম্যানেজার মৌটুসী কবির বলেন, সামাজিক ও করপোরেট দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যাতে তারা কম খরচে কৃষিপণ্যের অধিক উৎপাদন করে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে। তিনি জানান, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ সারাদেশের প্রায় ৩৪ হাজার কৃষককে পর্যায়ক্রমে উন্নতমানের কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাহাড়েও বনায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে বিএটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবানের আলী কদম, খাসিয়াছড়ি, ছাগলখাইয়া, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাষিদের রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া ও উচ্চমাত্রার কীটনাশক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। লামার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের পাশঘেঁষে ছোট ছোট নদী বয়ে গেছে ফসলি জমির ভেতর দিয়ে। সেখানে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, বেগুন, ধনিয়া চাষ করছেন চাষিরা। পাশাপাশি তামাকের চাষও। একই জমিতে তামাক ও অন্য ফসল উৎপাদনে কোনো সমস্যায় পড়ছেন না চাষিরা।
ভুরম্মপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইব্রাহিম বলেন, এফএফএস স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের জমিতে উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। তিনি মনে করেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা প্রয়োজন। তাহলে কৃষকদের ভাগ্য দ্রুত পরিবর্তন হবে। যদিও আমি ১৯৯১ সাল থেকে তামাক চাষ করে সংসার চালাইতেছি। আমার বংশের কেউতো কখনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়নি।'
তামাক চাষ ক্ষতিকর এটাও মনে করেন না তিনি।
এদিকে, বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড় ঘুরে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বন বিভাগের সহযোগিতায় ১৯৮০ সাল থেকে বনায়ন কর্মসূচি পালন করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ। দেশব্যাপী সংস্থাটি প্রায় ৭ কোটি ১৫ লাখ বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বনায়ন কর্মসূচিতে অবদান রেখে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো বাংলাদেশ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কমিউনিকেশন অ্যান্ড সিএসআর ম্যানেজার মৌটুসী কবির বলেন, সামাজিক ও করপোরেট দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যাতে তারা কম খরচে কৃষিপণ্যের অধিক উৎপাদন করে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে। তিনি জানান, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ সারাদেশের প্রায় ৩৪ হাজার কৃষককে পর্যায়ক্রমে উন্নতমানের কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাহাড়েও বনায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে বিএটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবানের আলী কদম, খাসিয়াছড়ি, ছাগলখাইয়া, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাষিদের রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া ও উচ্চমাত্রার কীটনাশক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। লামার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের পাশঘেঁষে ছোট ছোট নদী বয়ে গেছে ফসলি জমির ভেতর দিয়ে। সেখানে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, বেগুন, ধনিয়া চাষ করছেন চাষিরা। পাশাপাশি তামাকের চাষও। একই জমিতে তামাক ও অন্য ফসল উৎপাদনে কোনো সমস্যায় পড়ছেন না চাষিরা।
ভুরম্মপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইব্রাহিম বলেন, এফএফএস স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের জমিতে উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। তিনি মনে করেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা প্রয়োজন। তাহলে কৃষকদের ভাগ্য দ্রুত পরিবর্তন হবে। যদিও আমি ১৯৯১ সাল থেকে তামাক চাষ করে সংসার চালাইতেছি। আমার বংশের কেউতো কখনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়নি।'
তামাক চাষ ক্ষতিকর এটাও মনে করেন না তিনি।
এদিকে, বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড় ঘুরে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বন বিভাগের সহযোগিতায় ১৯৮০ সাল থেকে বনায়ন কর্মসূচি পালন করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ। দেশব্যাপী সংস্থাটি প্রায় ৭ কোটি ১৫ লাখ বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বনায়ন কর্মসূচিতে অবদান রেখে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো বাংলাদেশ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে।
No comments