নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ by হারুন আল রশিদ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল শুক্রবার থেকে নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ ব্যাপারে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো গোলযোগ হলে তার দায় কমিশন নেবে না।’
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, নির্বাচনের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে জানানো হলো সেনাবাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। এটা জাতির জন্য দুঃসংবাদ। এর মধ্য দিয়ে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। কারণ, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কাজে সহায়তা করা সরকারের কর্তব্য।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার পর থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা হয়েছে বলে রব তোলা হচ্ছে। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী হয়নি বা কমিশন এখনো সরকারের ওপর নির্ভরশীল, এ ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে যে চিঠি দিয়েছে, সেই চিঠির উত্তরও তারা পায়নি। সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুরো জাতির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। যা আগামী দিনের নির্বাচনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্বাধীনতাহীন ও সরকারের ওপর নির্ভরশীল একটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করার ব্যাপারে দলগুলো আপত্তি জানাতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার বিষয়টি সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে তোফায়েল আহমেদ মনে করেন। তিনি বলেন, এ অবস্থায় নির্বাচনে কোনো গোলযোগ হলে সে দায় কে নেবে? আর কেন সেনা মোতায়েন হয়নি, সরকারের উচিত সে বিষয়ে আইএসপিআরের মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়া।
এ বিষয়ে আইনজ্ঞ শাহদীন মালিক প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে, সরকার সেই সহযোগিতা দিতে বাধ্য। সরকার যদি কোনো কারণে সহযোগিতা করতে সমর্থ না হয়, সেটা কমিশনকে জানানোর ব্যাপারেও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটা করা না হলে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। যে কারণে বলা যায়, নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েন না করে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে প্রমাণিত হয়েছে, এই কমিশন স্বাধীন নয়।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে গতকাল বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে জানান সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আজ (গতকাল শুক্রবার) ভোর ছয়টায় সেনা মোতায়েনের কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেনা মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেছিলেন, ‘সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। তাই সেনা মোতায়েন না করার বিষয়টি আমাদের জানানো উচিত ছিল। তবুও সরকার কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারল না, কার গাফিলতি ছিল, সেটা আমাদের জানতে হবে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইব। কারণ, সাংবিধানিকভাবে সরকার সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য।’
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার পর থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা হয়েছে বলে রব তোলা হচ্ছে। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী হয়নি বা কমিশন এখনো সরকারের ওপর নির্ভরশীল, এ ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে যে চিঠি দিয়েছে, সেই চিঠির উত্তরও তারা পায়নি। সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুরো জাতির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। যা আগামী দিনের নির্বাচনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্বাধীনতাহীন ও সরকারের ওপর নির্ভরশীল একটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করার ব্যাপারে দলগুলো আপত্তি জানাতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার বিষয়টি সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে তোফায়েল আহমেদ মনে করেন। তিনি বলেন, এ অবস্থায় নির্বাচনে কোনো গোলযোগ হলে সে দায় কে নেবে? আর কেন সেনা মোতায়েন হয়নি, সরকারের উচিত সে বিষয়ে আইএসপিআরের মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়া।
এ বিষয়ে আইনজ্ঞ শাহদীন মালিক প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে, সরকার সেই সহযোগিতা দিতে বাধ্য। সরকার যদি কোনো কারণে সহযোগিতা করতে সমর্থ না হয়, সেটা কমিশনকে জানানোর ব্যাপারেও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটা করা না হলে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। যে কারণে বলা যায়, নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েন না করে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে প্রমাণিত হয়েছে, এই কমিশন স্বাধীন নয়।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে গতকাল বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে জানান সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আজ (গতকাল শুক্রবার) ভোর ছয়টায় সেনা মোতায়েনের কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেনা মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেছিলেন, ‘সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। তাই সেনা মোতায়েন না করার বিষয়টি আমাদের জানানো উচিত ছিল। তবুও সরকার কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারল না, কার গাফিলতি ছিল, সেটা আমাদের জানতে হবে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইব। কারণ, সাংবিধানিকভাবে সরকার সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য।’
No comments