জনতাই আমার সেনাবাহিনীঃ আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। বেলা ১১টার দিকে শহরের নগরখানপুরে প্রচারে ব্যস্ত মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় তোলারাম কলেজের ছাত্র তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বললেন, ‘নির্বাচন খুব জমেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন শামীম ওসমান আর জনগণের পক্ষে আইভী আপা। ৩০ তারিখই বোঝা যাবে, কে বেশি শক্তিশালী।’
গতকাল দেওভোগের বাসা থেকে নির্বাচনী প্রচারে বেরোনোর আগে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জনগণ সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিল। আমিও জনগণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু আমি জানি, আমার জয় সুনিশ্চিত। লক্ষ জনতাই হবে আমার সেনাবাহিনী।’
শেষ দিনের প্রচারণায় সেলিনা হায়াৎ সকালে খানপুর, তল্লা, রেলিবাগান এলাকায় ও বিকেলে শীতলক্ষ্যা এলাকায় গণসংযোগ করেন। নানা বয়সের নারী-পুরুষ তাঁকে স্বাগত জানান। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা একই পরিবারের তিন নারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ ফেলে ছুটে এসেছেন আইভীকে দেখতে। নির্বাচনী প্রচারণার পুরো ২১ দিনই তাঁরা এই সময়টির জন্য অপেক্ষা করেছেন। তল্লা, রেলিবাগান এলাকায় শিশুরা চিৎকার করে বলে, ‘আইভী আপার সালাম, ঘরে ঘরে দিলাম’, ‘সন্ত্রাস নয় শান্তি’, ‘আসুন আইভী আপাকে ভোট করি’।
খানপুর এলাকায় মানিক মিঞা নামের এক ব্যক্তি তাঁর নয় বছর বয়সী নাতনি সৃষ্টিকে নিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেন দাঁড়িয়ে আছেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দরকার আছে বইলাই দাঁড়াইছি। আমরা তার বাবারে দেখছি, সে ভালো মানুষ ছিল। আমি চাই নাতনিও ভালো মানুষ চিইন্যা রাখুক।’
রেলিবাগান এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন, ‘এই এলাকারও একটা ভোট হাতছাড়া হইব না। সে ছিল বইলা রাস্তা হইছে, টিপকল পাইছি। সে ভোট চাইতে আসছে, না আসলেও আমরা তারেই ভোট দিতাম।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী পাড়ায়-মহল্লায় জমায়েত হওয়া সাধারণ মানুষকে বলেন, ‘দয়া করে আমার পাশে দাঁড়ান। আমি আপনাদের পাশে থাকব। কোনো অপশক্তি আমাদের রুখতে পারবে না। আজ যারা গলাবাজি করছে তারা একসময় আপনাদের ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম ওসমান যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন, তা অমূলক বলে আইভী দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এক সময় ওরা জনগণকে ভয় দেখিয়েছে। এখন জনগণকে দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে। সে জন্যই নানা অপপ্রচার চলছে। আমি নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আস্থা রাখতে চাই। প্রতিটি সংস্থা শামীম ওসমানের এই দাবি নাকচ করেছে।’
গতকাল আইভীর গণসংযোগে সঙ্গী হন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি এম আরাফাতসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা। দলীয় নেতাদের বাইরে যুক্ত হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোট ও নারায়ণগঞ্জ ‘খেলাঘর’।
শেষ দিনের প্রচারণায় সেলিনা হায়াৎ সকালে খানপুর, তল্লা, রেলিবাগান এলাকায় ও বিকেলে শীতলক্ষ্যা এলাকায় গণসংযোগ করেন। নানা বয়সের নারী-পুরুষ তাঁকে স্বাগত জানান। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা একই পরিবারের তিন নারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ ফেলে ছুটে এসেছেন আইভীকে দেখতে। নির্বাচনী প্রচারণার পুরো ২১ দিনই তাঁরা এই সময়টির জন্য অপেক্ষা করেছেন। তল্লা, রেলিবাগান এলাকায় শিশুরা চিৎকার করে বলে, ‘আইভী আপার সালাম, ঘরে ঘরে দিলাম’, ‘সন্ত্রাস নয় শান্তি’, ‘আসুন আইভী আপাকে ভোট করি’।
খানপুর এলাকায় মানিক মিঞা নামের এক ব্যক্তি তাঁর নয় বছর বয়সী নাতনি সৃষ্টিকে নিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেন দাঁড়িয়ে আছেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দরকার আছে বইলাই দাঁড়াইছি। আমরা তার বাবারে দেখছি, সে ভালো মানুষ ছিল। আমি চাই নাতনিও ভালো মানুষ চিইন্যা রাখুক।’
রেলিবাগান এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন, ‘এই এলাকারও একটা ভোট হাতছাড়া হইব না। সে ছিল বইলা রাস্তা হইছে, টিপকল পাইছি। সে ভোট চাইতে আসছে, না আসলেও আমরা তারেই ভোট দিতাম।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী পাড়ায়-মহল্লায় জমায়েত হওয়া সাধারণ মানুষকে বলেন, ‘দয়া করে আমার পাশে দাঁড়ান। আমি আপনাদের পাশে থাকব। কোনো অপশক্তি আমাদের রুখতে পারবে না। আজ যারা গলাবাজি করছে তারা একসময় আপনাদের ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম ওসমান যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন, তা অমূলক বলে আইভী দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এক সময় ওরা জনগণকে ভয় দেখিয়েছে। এখন জনগণকে দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে। সে জন্যই নানা অপপ্রচার চলছে। আমি নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আস্থা রাখতে চাই। প্রতিটি সংস্থা শামীম ওসমানের এই দাবি নাকচ করেছে।’
গতকাল আইভীর গণসংযোগে সঙ্গী হন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি এম আরাফাতসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা। দলীয় নেতাদের বাইরে যুক্ত হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোট ও নারায়ণগঞ্জ ‘খেলাঘর’।
No comments