ঋণ-সংকট মোকাবিলায় ইইউ নেতাদের মতৈক্য
ইউরোপের সংকটকবলিত ইউরো জোনের ঋণ-সংকট মোকাবিলা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গত বুধবার রাতে দীর্ঘ বৈঠক শেষে ইইউর নেতারা বলেছেন, গ্রিসকে ঋণ দেওয়া ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ৫০ শতাংশ ক্ষতি মেনে নিয়েছে। ভবিষ্যতে সরকার ঋণখেলাপি হলে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকগুলোকে তাদের মূলধন আরও বাড়াতে হবে।
ইউরো জোনের অন্তর্ভুক্ত ১৭টি দেশের নেতারা এ বৈঠকে অংশ নেন। গ্রিসের চলমান জাতীয় অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা এবং ইতালিসহ ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে সহায়তার জন্য মতৈক্য প্রতিষ্ঠাই ছিল বৈঠকের লক্ষ্য।
ইউরো মুদ্রা প্রচলিত ইউরোপের এমন অঞ্চল ‘ইউরো জোনে’ ছড়িয়ে পড়া অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে নেতারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ইইউর নেতারা বলছেন, এখনো অনেক কিছুই করার বাকি রয়েছে।
এ ছাড়া ইউরো জোনের সংকট মোকাবিলার তহবিল বাড়াতে একটি পদক্ষেপও অনুমোদন করা হয়েছে। ইইউর নেতারা জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ফ্যাসিলিটি (ইএফএসএফ) নামের ওই তহবিলের বর্তমান সঞ্চয় ৪৪০ বিলিয়ন ইউরো। সঞ্চয় ওই পরিমাণ থেকে বাড়িয়ে এক ট্রিলিয়ন ইউরো করা হবে। আসছে নভেম্বরে ওই তহবিলের ব্যাপারে ফ্রেমওয়ার্ক উপস্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইইউ নেতারা।
ব্রাসেলস থেকে বিবিসির প্রতিবেদক বলেছেন, চুক্তিটিকে অনেকে যতটা উচ্চাভিলাষী ভাবছিলেন, বাস্তবে তা ততটা নয়। বরং সেটা বাস্তবায়নযোগ্য।
এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি তাঁর দেশের বাজেট ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইউরো ঋণের সমন্বয় ঘটানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইইউ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। সাংবাদিকেরা বলেছেন, বেরলুসকোনি ‘কৃচ্ছ্রসাধননীতি’ পদক্ষেপের বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন কিনা, তা প্রমাণে ব্যাপক চাপের মধ্যে ছিলেন।
ওই চুক্তির ঘোষণা ইউরোজোনের একক মুদ্রা ইউরোকে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। বিষয়টিকে অঞ্চলের উন্নয়ন এবং ইউরোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি গতকাল সকালে ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউরোজোন সংকট মোকাবিলায় একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং উচ্চাভিলাষী’ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
চুক্তির বিষয়ে সমঝোতার পর প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সবাই মতৈক্যে পৌঁছেছেন। আমার বিশ্বাস, এটা পুরো বিশ্বকেই স্বস্তি দেবে।’
ইউরো জোনভুক্ত দেশগুলোর অভিন্ন এই মুদ্রার দুরবস্থার কারণে সেখানকার অর্থনীতিতে বেশ কয়েক মাস ধরে স্থবিরতা চলে আসছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে নীতিনির্ধারকেরা যথোপযুক্ত কাজ করছেন না। তাঁদের ভূমিকার কারণে সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অনিশ্চয়তার পাল্লা আরও ভারী হচ্ছে।
এখন ব্যাংকগুলো তাদের ক্ষতি মেনে নেওয়ায় গ্রিসের চাপ এখন অনেক কমে গেছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রু ওই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা এখন দাবি করতে পারি, গ্রিসের জন্য নতুন দিন এসেছে। সেটা শুধু গ্রিসের জন্যই নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই।
ইউরো জোনের অন্তর্ভুক্ত ১৭টি দেশের নেতারা এ বৈঠকে অংশ নেন। গ্রিসের চলমান জাতীয় অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা এবং ইতালিসহ ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে সহায়তার জন্য মতৈক্য প্রতিষ্ঠাই ছিল বৈঠকের লক্ষ্য।
ইউরো মুদ্রা প্রচলিত ইউরোপের এমন অঞ্চল ‘ইউরো জোনে’ ছড়িয়ে পড়া অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে নেতারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ইইউর নেতারা বলছেন, এখনো অনেক কিছুই করার বাকি রয়েছে।
এ ছাড়া ইউরো জোনের সংকট মোকাবিলার তহবিল বাড়াতে একটি পদক্ষেপও অনুমোদন করা হয়েছে। ইইউর নেতারা জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ফ্যাসিলিটি (ইএফএসএফ) নামের ওই তহবিলের বর্তমান সঞ্চয় ৪৪০ বিলিয়ন ইউরো। সঞ্চয় ওই পরিমাণ থেকে বাড়িয়ে এক ট্রিলিয়ন ইউরো করা হবে। আসছে নভেম্বরে ওই তহবিলের ব্যাপারে ফ্রেমওয়ার্ক উপস্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইইউ নেতারা।
ব্রাসেলস থেকে বিবিসির প্রতিবেদক বলেছেন, চুক্তিটিকে অনেকে যতটা উচ্চাভিলাষী ভাবছিলেন, বাস্তবে তা ততটা নয়। বরং সেটা বাস্তবায়নযোগ্য।
এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি তাঁর দেশের বাজেট ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইউরো ঋণের সমন্বয় ঘটানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইইউ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। সাংবাদিকেরা বলেছেন, বেরলুসকোনি ‘কৃচ্ছ্রসাধননীতি’ পদক্ষেপের বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন কিনা, তা প্রমাণে ব্যাপক চাপের মধ্যে ছিলেন।
ওই চুক্তির ঘোষণা ইউরোজোনের একক মুদ্রা ইউরোকে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। বিষয়টিকে অঞ্চলের উন্নয়ন এবং ইউরোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি গতকাল সকালে ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউরোজোন সংকট মোকাবিলায় একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং উচ্চাভিলাষী’ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
চুক্তির বিষয়ে সমঝোতার পর প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সবাই মতৈক্যে পৌঁছেছেন। আমার বিশ্বাস, এটা পুরো বিশ্বকেই স্বস্তি দেবে।’
ইউরো জোনভুক্ত দেশগুলোর অভিন্ন এই মুদ্রার দুরবস্থার কারণে সেখানকার অর্থনীতিতে বেশ কয়েক মাস ধরে স্থবিরতা চলে আসছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে নীতিনির্ধারকেরা যথোপযুক্ত কাজ করছেন না। তাঁদের ভূমিকার কারণে সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অনিশ্চয়তার পাল্লা আরও ভারী হচ্ছে।
এখন ব্যাংকগুলো তাদের ক্ষতি মেনে নেওয়ায় গ্রিসের চাপ এখন অনেক কমে গেছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রু ওই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা এখন দাবি করতে পারি, গ্রিসের জন্য নতুন দিন এসেছে। সেটা শুধু গ্রিসের জন্যই নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই।
No comments