আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের এখনো সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান
আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ-সহায়তা এখনো অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। সিক্রেট পাকিস্তান নামে গত বুধবার প্রচারিত বিবিসির এক প্রামাণ্যচিত্রে এ দাবি করেছেন তালেবানের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা।
তালেবানের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা ওই প্রামাণ্যচিত্রে দাবি করেন, বোমা তৈরির ব্যাপারে তাঁরা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে ‘প্রায়োগিক নির্দেশনা’ লাভ করেছেন।
মোল্লা আজিজুল্লাহ নামের এক নেতা প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারীদের সবাই ছিলেন আইএসআইয়ের লোক। তাঁরা প্রথমে আমাদের প্রশিক্ষণ দেন বোমা সম্পর্কে, পরে ব্যবহারিক নির্দেশনা দেন। আইএসআইয়ের জেনারেলরা সবখানেই আছেন। প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা উপস্থিত থাকেন।’
আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বিবিসি দুই পর্বের ওই প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করেছে মূলত কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারের সঙ্গে বর্তমানে কিংবা অতীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওই কর্মকর্তাদের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফগানিস্তানে সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত শেরার্ড কাউপার কোলস, আফগান গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আমরুল্লাহ সালেহ, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তা ব্রুস রিডেল, কর্নেল রিচার্ড কেম্প প্রমুখ।
তালেবান নেতা মোল্লা কাসেম ওই প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘একজন যোদ্ধার জন্য দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ—অস্ত্রের জোগান এবং গোপন জায়গা। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমত, তারা আমাদের আত্মগোপনের জায়গা দিয়ে সাহায্য করে, যা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, তারা আমাদের অস্ত্র সরবরাহ করে।’
বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে প্রদর্শিত সাক্ষাৎকারগুলো গত জুনে কাবুলের নিরাপদ একটি বাড়িতে ধারণ করা হয়। ছবি দেখে বোঝা যায়, এটি নির্মাণে আফগান সরকারের সহায়তা ছিল। এতে বলা হয়, তালেবান আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল আইএসআই। একটি গাছ এমনি এমনি বেড়ে ওঠে না। অবশ্যই কেউ সেটি রোপণ করে এবং যত্ন নেয়। তালেবানের ব্যাপারটা অনেকটা সে রকম।
আফগানিস্তানের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ওসামা বিন লাদেনের আত্মগোপন করে থাকার বিষয়টি ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে জানানো হয়েছিল। এতে সাংঘাতিক রেগে গিয়েছিলেন মোশাররফ।
তালেবানের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা ওই প্রামাণ্যচিত্রে দাবি করেন, বোমা তৈরির ব্যাপারে তাঁরা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে ‘প্রায়োগিক নির্দেশনা’ লাভ করেছেন।
মোল্লা আজিজুল্লাহ নামের এক নেতা প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারীদের সবাই ছিলেন আইএসআইয়ের লোক। তাঁরা প্রথমে আমাদের প্রশিক্ষণ দেন বোমা সম্পর্কে, পরে ব্যবহারিক নির্দেশনা দেন। আইএসআইয়ের জেনারেলরা সবখানেই আছেন। প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা উপস্থিত থাকেন।’
আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বিবিসি দুই পর্বের ওই প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করেছে মূলত কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারের সঙ্গে বর্তমানে কিংবা অতীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওই কর্মকর্তাদের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফগানিস্তানে সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত শেরার্ড কাউপার কোলস, আফগান গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আমরুল্লাহ সালেহ, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তা ব্রুস রিডেল, কর্নেল রিচার্ড কেম্প প্রমুখ।
তালেবান নেতা মোল্লা কাসেম ওই প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘একজন যোদ্ধার জন্য দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ—অস্ত্রের জোগান এবং গোপন জায়গা। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমত, তারা আমাদের আত্মগোপনের জায়গা দিয়ে সাহায্য করে, যা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, তারা আমাদের অস্ত্র সরবরাহ করে।’
বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে প্রদর্শিত সাক্ষাৎকারগুলো গত জুনে কাবুলের নিরাপদ একটি বাড়িতে ধারণ করা হয়। ছবি দেখে বোঝা যায়, এটি নির্মাণে আফগান সরকারের সহায়তা ছিল। এতে বলা হয়, তালেবান আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল আইএসআই। একটি গাছ এমনি এমনি বেড়ে ওঠে না। অবশ্যই কেউ সেটি রোপণ করে এবং যত্ন নেয়। তালেবানের ব্যাপারটা অনেকটা সে রকম।
আফগানিস্তানের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ওসামা বিন লাদেনের আত্মগোপন করে থাকার বিষয়টি ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে জানানো হয়েছিল। এতে সাংঘাতিক রেগে গিয়েছিলেন মোশাররফ।
No comments