জাতীয় সংসদের কাছে জবাবদিহির নমুনাঃ প্রধানমন্ত্রী নেই, মন্ত্রীরাও নেই!
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সাংসদেরা অনুপস্থিত রয়েছেন ঘোষণা দিয়েই। সদস্যপদ রক্ষার বাধ্যবাধকতা না থাকলে তাঁরা জাতীয় সংসদে ফিরে যাবেন না বলেই ধারণা করি। কিন্তু সরকারি দলের সাংসদ, বিশেষ করে মন্ত্রীদের গরহাজির থাকার কী কারণ থাকতে পারে? বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য সংসদে মন্ত্রীদের পাইকারি অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন সাংসদ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে থাকলে মন্ত্রীরা সেজেগুজে আসেন; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদে নেই, মন্ত্রীরাও নেই।’ অভিযোগটি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
তাহলে মন্ত্রীরা কি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি পাওয়ার জন্যই সংসদে আসেন; যে জনগণ তাঁদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন, তাদের জন্য কি কিছুই করণীয় নেই? উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার পর দিন সংসদে এ ঘটনা ঘটে। এটিই হলো জবাবদিহির নমুনা! সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকার তথা মন্ত্রীরা জাতীয় সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। কিন্তু তাঁরা যদি সংসদেই না আসেন, জবাবদিহি হবে কী করে? বৃহস্পতিবার কয়েকজন সাংসদ উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে তাঁদের হস্তক্ষেপ লক্ষ করা যায়, যা মোটেই কাম্য নয়।
শুরু থেকেই নবম জাতীয় সংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেখানে আলোচনা না হয়না। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। কিন্তু খোদ সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা যখন একই প্রশ্ন তুলেছেন, তখন তাঁরা কী বলবেন? অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে দু-একটি মন্ত্রণালয় ছাড়া বাকিগুলোর কাজকর্ম নিয়ে সংসদে আলোচনা উঠলেই মন্ত্রীরা বেকায়দায় পড়েন। সদুত্তর দিতে পারেন না।
দেশবাসী চায়, মন্ত্রীরা নিয়মিত সংসদে হাজির থেকে জবাবদিহি করবেন। গত পৌনে তিন বছরে তাঁরা কী করতে পেরেছেন, কী পারেননি তা জানাবেন। আগামী সোয়া দুই বছরে সরকার কী করতে চায়, সেই পরিকল্পনাও তারা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেন। তাতে হয়তো সরকারের ভুল সংশোধনের একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু মেয়াদের দ্বিতীয়ার্ধে এসে আগের সরকারের মুন্ডপাতে কোনো ফায়দা হবে বলে মনে করিনা।
শুরু থেকেই নবম জাতীয় সংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেখানে আলোচনা না হয়না। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। কিন্তু খোদ সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা যখন একই প্রশ্ন তুলেছেন, তখন তাঁরা কী বলবেন? অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে দু-একটি মন্ত্রণালয় ছাড়া বাকিগুলোর কাজকর্ম নিয়ে সংসদে আলোচনা উঠলেই মন্ত্রীরা বেকায়দায় পড়েন। সদুত্তর দিতে পারেন না।
দেশবাসী চায়, মন্ত্রীরা নিয়মিত সংসদে হাজির থেকে জবাবদিহি করবেন। গত পৌনে তিন বছরে তাঁরা কী করতে পেরেছেন, কী পারেননি তা জানাবেন। আগামী সোয়া দুই বছরে সরকার কী করতে চায়, সেই পরিকল্পনাও তারা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেন। তাতে হয়তো সরকারের ভুল সংশোধনের একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু মেয়াদের দ্বিতীয়ার্ধে এসে আগের সরকারের মুন্ডপাতে কোনো ফায়দা হবে বলে মনে করিনা।
No comments