জনতাই আমার শক্তি, মাঠ ছাড়ব নাঃ আইভী by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
'সেনাবাহিনী না নামলে নারায়ণগঞ্জের লক্ষ জনতাই হবে আমার সেনাবাহিনী। আমার শক্তি। আমি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে কখনোই সরে দাঁড়াব না; কোনো ছাড় দেব না শামীম ওসমানকে।' গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এমন বলিষ্ঠ উচ্চারণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। গতকাল শুক্রবার প্রচারের শেষ দিনে আইভী কখনো নিজের গাড়িতে, কখনো রিকশায় আবার কখনো হেঁটে গিয়েছেন মানুষের কাছে।
ভালোবেসে কাছে টেনে নিয়েছেন সাধারণ মানুষকে। সদ্য বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সদা হাস্যোজ্জ্বল আইভীকে প্রেরণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ। গতকাল সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দেওভোগের বাসা থেকে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন আইভী। প্রথমে বাড়িতে আসা শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতা সেরে কথা বলেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। পরে শুরু করেন নির্বাচনী প্রচারণা। প্রথমে নগর খানপুর, তারপর কুমুদিনী বাগান ও কালীবাজার চষে বেড়িয়েছেন তিনি। পরে দুপুরে বাসায় বিরতি নিয়ে আবার বিকেল ৪টায় শীতলক্ষ্যার উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন আল-আমিন নগর, ডালপট্টি, নিতাইগঞ্জ, ঝষিপাড়া ও বাবুরাইল। প্রচারণা শেষ করেছেন বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পর্যন্ত।
ভোট প্রার্থনায় দ্বারে দ্বারে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন মহিলাদের। তাঁদের নিজের লোক দাবি করে বলেন, 'আপনারাই আমার শক্তি, আমার সাহস।' প্রচারণায় সামনে পাওয়া বাচ্চাদের কোলে তুলে নিয়েছেন, আদর করেছেন প্রচারণা বাদ দিয়ে। কুমুদিনী বাগানের বিহারি কলোনিতে গিয়ে কথা বলেন অতি সাধারণ মহিলাদের সঙ্গে। পরামর্শ দিয়েছেন সকালে সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার, সৎ মানুষের পক্ষে থাকার।
কুমুদিনী বাগানের সুলতানা নামের একজন গৃহিণী আইভীকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলেন, 'আপা আপনাকে দেখলেই শক্তি পাই, মনে সাহস আসে।' আইভী যেখানেই গেছেন সাধারণ মহিলাদের অনেকে তাঁকে এভাবেই জড়িয়ে ধরেছেন কাছের লোক মনে করে। আশ্বস্ত করেছেন তাঁর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করার। পরামর্শ দিয়েছেন ভয় না পাওয়ার।
তখনো সেনাবাহিনী নামেনি, ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী গ্রেনেড হামলার আশঙ্কা করছেন_এসবের কিছুই তাঁকে বিচলিত করেনি। সব সময় নারায়ণগঞ্জের জনতা, নিজের বিজয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের সোচ্চার ভূমিকা এবং আল্লাহর ওপর তাঁর বিশ্বাসের কথা বলেছেন বলিষ্ঠ কণ্ঠে।
সকালে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন সেলিনা হায়াত আইভী। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষকে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর ছাড়া কাউকে ভয় পাবেন না। আল্লাহ সহায় থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। নিজ দল আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেলেও আওয়ামী লীগের ওপর তাঁর বাবা আলী আহমেদ চুনকা এবং নিজের বিশ্বাস এবং দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'যাঁরা দলের দুর্দিনে পালিয়ে গেছেন, তাঁরা নেতা হতে পারেন না। চুনকার পরিবার দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমিও দাঁড়াব।'
শামীম ওসমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আইভী বলেন, একজন প্রার্থী জনগণকে ভয় দেখাচ্ছেন। এটাকে তিনি নির্বাচনী অপকৌশল আখ্যায়িত করে বলেন, যে নেতা সারা জীবন মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন, আজ তিনি সাধারণ মানুষের সাহস দেখে ভীত। নির্বাচকে নিয়ে কোনো খেলা হলে জনগণকে নিয়ে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আইভী বলেন, 'শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই।'
এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, 'সেনাবাহিনী না নামলে নারায়ণগঞ্জের লক্ষ জনতাই হবে আমার সেনাবাহিনী।' সেনাবাহিনী না নামাকে আইভী শামীম ওসমানের খেলা বলে মন্তব্য করে বলেন, শামীম ভোট ডাকাতি করতে চায় এবং তাই তিনি চান সেনাবাহিনী মাঠে না থাকুক। 'শামীম ওসমান জনতা ও সেনাবাহিনীকে কেন এত ভয় পায়?' বিরোধী প্রার্থীর প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে আইভী বলেন, 'শামীম ওসমান ১৯৮৬ সালে চাষাঢ়া থেকে তাঁর ভাইয়ের জন্য নৌকার ভোট চুরি করেছেন লাঙ্গল মার্কার জন্য।'
সব কিছুর পরও নির্বাচন কমিশনের ওপর তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে আইভী বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেনাবাহিনী নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন, আমি তাঁর আশ্বাসে বিশ্বাস করতে চাই।' সব কিছুকেই তিনি শামীম ওসমানের খেলা বলে মন্তব্য করে আইভী বলেন, 'আমি নির্বাচনের মাঠ ছাড়ব না। জয়-পরাজয় নির্বাচনের অংশ। কিন্তু শামীমকে কোনো রকম ছাড় দেব না।'
ভোট প্রার্থনায় দ্বারে দ্বারে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন মহিলাদের। তাঁদের নিজের লোক দাবি করে বলেন, 'আপনারাই আমার শক্তি, আমার সাহস।' প্রচারণায় সামনে পাওয়া বাচ্চাদের কোলে তুলে নিয়েছেন, আদর করেছেন প্রচারণা বাদ দিয়ে। কুমুদিনী বাগানের বিহারি কলোনিতে গিয়ে কথা বলেন অতি সাধারণ মহিলাদের সঙ্গে। পরামর্শ দিয়েছেন সকালে সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার, সৎ মানুষের পক্ষে থাকার।
কুমুদিনী বাগানের সুলতানা নামের একজন গৃহিণী আইভীকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলেন, 'আপা আপনাকে দেখলেই শক্তি পাই, মনে সাহস আসে।' আইভী যেখানেই গেছেন সাধারণ মহিলাদের অনেকে তাঁকে এভাবেই জড়িয়ে ধরেছেন কাছের লোক মনে করে। আশ্বস্ত করেছেন তাঁর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করার। পরামর্শ দিয়েছেন ভয় না পাওয়ার।
তখনো সেনাবাহিনী নামেনি, ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী গ্রেনেড হামলার আশঙ্কা করছেন_এসবের কিছুই তাঁকে বিচলিত করেনি। সব সময় নারায়ণগঞ্জের জনতা, নিজের বিজয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের সোচ্চার ভূমিকা এবং আল্লাহর ওপর তাঁর বিশ্বাসের কথা বলেছেন বলিষ্ঠ কণ্ঠে।
সকালে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন সেলিনা হায়াত আইভী। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষকে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর ছাড়া কাউকে ভয় পাবেন না। আল্লাহ সহায় থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। নিজ দল আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেলেও আওয়ামী লীগের ওপর তাঁর বাবা আলী আহমেদ চুনকা এবং নিজের বিশ্বাস এবং দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'যাঁরা দলের দুর্দিনে পালিয়ে গেছেন, তাঁরা নেতা হতে পারেন না। চুনকার পরিবার দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমিও দাঁড়াব।'
শামীম ওসমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আইভী বলেন, একজন প্রার্থী জনগণকে ভয় দেখাচ্ছেন। এটাকে তিনি নির্বাচনী অপকৌশল আখ্যায়িত করে বলেন, যে নেতা সারা জীবন মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন, আজ তিনি সাধারণ মানুষের সাহস দেখে ভীত। নির্বাচকে নিয়ে কোনো খেলা হলে জনগণকে নিয়ে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আইভী বলেন, 'শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই।'
এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, 'সেনাবাহিনী না নামলে নারায়ণগঞ্জের লক্ষ জনতাই হবে আমার সেনাবাহিনী।' সেনাবাহিনী না নামাকে আইভী শামীম ওসমানের খেলা বলে মন্তব্য করে বলেন, শামীম ভোট ডাকাতি করতে চায় এবং তাই তিনি চান সেনাবাহিনী মাঠে না থাকুক। 'শামীম ওসমান জনতা ও সেনাবাহিনীকে কেন এত ভয় পায়?' বিরোধী প্রার্থীর প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে আইভী বলেন, 'শামীম ওসমান ১৯৮৬ সালে চাষাঢ়া থেকে তাঁর ভাইয়ের জন্য নৌকার ভোট চুরি করেছেন লাঙ্গল মার্কার জন্য।'
সব কিছুর পরও নির্বাচন কমিশনের ওপর তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে আইভী বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেনাবাহিনী নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন, আমি তাঁর আশ্বাসে বিশ্বাস করতে চাই।' সব কিছুকেই তিনি শামীম ওসমানের খেলা বলে মন্তব্য করে আইভী বলেন, 'আমি নির্বাচনের মাঠ ছাড়ব না। জয়-পরাজয় নির্বাচনের অংশ। কিন্তু শামীমকে কোনো রকম ছাড় দেব না।'
No comments