এই বাংলাদেশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী by মাসুদ পারভেজ
ঢাকা তো আর চট্টগ্রাম নয়! নয় বলেই এখানে ওয়ানডে সিরিজে দিগ্ভ্রান্ত বাংলাদেশ চট্টগ্রামে গিয়ে পথের দেখা পায়। দুই হাত ভরে নেওয়ার শহরে গিয়ে তৃতীয় ওয়ানডে জেতার পর সিরিজের প্রথম টেস্টেও মুঠোভর্তি আনন্দের উপাদান খুঁজে পায়। ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে জিততে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিনা চট্টগ্রামে গিয়ে আরেকটু হলে টেস্টে চোখের জল-নাকের জল এক হওয়ার উপক্রম হয়েছিল প্রায়! প্রকৃতি বাধা হয়ে দাঁড়ানোতেই না রক্ষে!
কাজেই চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সবাই যখন আবার ঢাকায় এবং আজ থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট দিয়ে সিরিজ শেষের অপেক্ষা, তখন ম্যাচ-পূর্ব আলোচনার একটা বড় অংশই দখল করে রাখল ঢাকা ও চট্টগ্রাম। সৌভাগ্যের শহর থেকে বাংলাদেশ আবারও দুর্ভাগ্যের শহরে ফিরল কি না কিংবা চট্টগ্রামে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে ফেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ঢাকা টেস্ট সৌভাগ্যের উপলক্ষ নয়তো, ইত্যাকার নানা আলোচনা তো উসকে দিলেন ড্যারেন সামিও। কাল দলের চট্টগ্রাম দুর্ভোগের প্রসঙ্গ তুলতেই ক্যারিবীয় অধিনায়ক খুব সচেতনভাবেই মনে করিয়ে দিলেন, 'এটা তো আর চট্টগ্রাম নয়। এখানে (মিরপুরে) আমাদের অনেক মধুর স্মৃতি আছে। বিশেষত বাংলাদেশের বিপক্ষে।'
অবশ্য সামির এ কথাটা এখন আর বাংলাদেশের জন্য 'কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা' ততটা নয়। চট্টগ্রামে তাঁদের ৬১ রানে মুড়িয়ে দিয়ে সে লজ্জা অনেকটাই প্রশমিত করে ফেলেছে মুশফিকুর রহিমের দল। তবে এটাও তো মিথ্যা নয় যে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ কাণ্ড এ মাঠেই ঘটেছিল। একই আসরে, একই ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৭৮ কাণ্ডও বাংলাদেশের আরেকটি লজ্জা হয়ে আছে এখনো। তবে সেসবের বাইরে ওয়ানডে সাফল্যও আছে এই মাঠে। কিন্তু টেস্টে? মিরপুর বাংলাদেশ ক্রিকেটের 'হোম অব ক্রিকেট' হলেও এখানে আসলে নিজ ঘরের স্বাচ্ছন্দ্যে কখনোই খুব একটা থাকা হয়নি স্বাগতিকদের। এখানে কখনো উইকেট বুঝতে ভুল করে প্রতিপক্ষের রান-পাহাড়ে চাপা পড়ার ঘটনা যেমন আছে, তেমনি দলীয় ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার উদাহরণও কম নয়।
কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা অনুপ্রেরণার এমনই শক্তি যে সেসব তুলে এনে মুশফিকুর রহিমকে একটুও বিচলিত করা গেল না। এ সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বের অভিষেকের পর পারফরম্যান্সেও তিনি দলের অগ্রসেনানী। সেই সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বগুণ যোগ হয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের ফুল ফোটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই তিনি ঢাকায় দলের পারফরম্যান্সের অতীত টেনে এনে বিপাকে পড়ার চিন্তা করবেন না, এটা স্বাভাবিক। তিনি বরং অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষ আলোটা দেখেই এগোতে আগ্রহী, 'এই মাঠে কিন্তু রাজীবের (শাহাদাত হোসেন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় উইকেট আছে। আমাদের স্পিনাররা যে এখানে খুব খারাপ করে তাও না। ব্যাটিংয়ের কথা বললে তামিমের এখানে দেড়শ রানের ইনিংস আছে ভারতের বিপক্ষে। আরো অনেকের সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি আছে এখানে।'
ঢাকা টেস্টে সাফল্যের জন্য এমন বিচ্ছিন্ন সব পারফরম্যান্সকে এক করার দাবিই এখন সতীর্থদের কাছে জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'চট্টগ্রামের মতো এখানেও যদি আমরা সবাই ব্যাটিং-বোলিং দিয়ে অবদান রাখতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে।' ভালো কিছুর মানে যে জয়, সেটাও তাঁর কথায় অনুচ্চারিত থাকল না, 'জয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা অবশ্যই হয়েছে। চট্টগ্রামে পাঁচ দিন খেলা হলে হয়তোবা ফল ভিন্ন হতো। আর আমরা এখন একটা দল হিসেবে অনেক আত্মবিশ্বাসী। ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে আমাদের মনোযোগ। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলব। এটি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এখানে যারা জিতবে, তারা সিরিজ জিতবে। তো আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব শতভাগ ঢেলে দিয়ে টেস্টটা জিততে।'
সেই হিসাবে ঢাকা টেস্টে বাঁচা-মরার লড়াইটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যই বেশি। সামি অবশ্য যুদ্ধ ঘোষণার ঝুঁকিতে গেলেন না, যেমনটা ২০০৪ সালে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দিয়েছিলেন তখনকার অধিনায়ক ব্রায়ান লারা। সেন্ট লুসিয়ায় সফরকারীরা সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করে ফেলার পর 'ত্রিনিদাদিয়ান প্রিন্স' ঘোষণা দিয়েছিলেন যে পরের টেস্টে না জিতলে তিনি নেতৃত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াবেন। সামির অতটা সাহসী হওয়ার উপায় নেই। কেন নেই? জয়ের লক্ষ্যের মাঝে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক, 'এটাকে আমার কাছে বাঁচা-মরার ম্যাচ মনে হয় না। জিততে না পারলে আমরা হয়তো কিছু পয়েন্ট হারাব। আসলে বাংলাদেশের মতো আমরাও তরুণ একটি দল, যারা সামনে এগিয়ে চলেছে। আশা করছি, মাঠে গিয়ে তিন বিভাগেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারব এবং জিতেই ম্যাচ শেষ করব।' শেষ ম্যাচের উইকেটে তাঁদের জন্য বাড়তি 'লাইফলাইন'ও থাকতে পারে। কেননা মুশফিকই যে বললেন, 'চট্টগ্রামের চেয়ে এখানে পেসারদের জন্য সাহায্য বেশি থাকে। বল তাই রিভার্স করে।' সে রকম আভাস নিশ্চয়ই পেয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। আর কাল কেমার রোচের নাম নানা প্রসঙ্গে সামি এত বেশি উচ্চারণ করলেন যে আজ ফিদেল এডওয়ার্ডস, রবি রামপাল ও নিজের সঙ্গে বাড়তি পেসার হিসেবে রোচকে নামিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও ঠিক উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন সামলানোর চ্যালেঞ্জও থাকছে তাঁর দলের সামনে। এ ক্ষেত্রে ফর্মে থাকা লেন্ডল সিমন্স ও ১৩৪ টেস্টের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিবনারায়ণ চন্দরপলকে নিতে হবে অগ্রণী ভূমিকা। যদিও দুজনেরই পিঠের সমস্যা আছে। সামি অবশ্য তাঁদের মাঠে নামার অনিশ্চয়তা উড়িয়ে দিলেন, 'ইনজুরি আছে তবে স্ক্যান করে দেখা গেছে যে সিরিয়াস কিছু নয়।' কিন্তু এটাও তো মানতে হবে যে ম্যাচটা পাঁচ দিনের। ছোটখাটো সমস্যা উপেক্ষা করে খেললেও ম্যাচের দৈর্ঘ্যের কারণে গুরুতর রূপ নিয়ে তা বাংলাদেশের পক্ষেও চলে আসতে পারে।
বাংলাদেশের একাদশেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যে জায়গায় পরির্বতনের আভাস ছিল, সেই ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে ইমরুল কায়েসের ওপরই আস্থাশীল অধিনায়ক মুশফিকও, 'ও যে কোয়ালিটির ব্যাটসম্যান, তাতে আমি নিশ্চিত যে এ ম্যাচে ও পারফর্ম করবেই। ওর ফর্মে ফেরা দলের জন্য খুব প্রয়োজনও।' দলের আরো কয়েকজনও যদি প্রয়োজনে সাড়া দেন, তাহলে সিরিজটা মনমতো শেষ করতে পারেন মুশফিক, 'টোয়েন্টি-টোয়েন্টির জয় দিয়ে এখানে সিরিজটা ভালোভাবে শুরু হয়েছিল। এখন ভালোভাবে শেষও করতে চাইব।'
শেষটাও শুরুর মতো হলে আরেকটা ব্যাপার হয়। তাহলে ঢাকা আর চট্টগ্রামকেও এক করে দেখতে পারে বাংলাদেশ দল!
অবশ্য সামির এ কথাটা এখন আর বাংলাদেশের জন্য 'কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা' ততটা নয়। চট্টগ্রামে তাঁদের ৬১ রানে মুড়িয়ে দিয়ে সে লজ্জা অনেকটাই প্রশমিত করে ফেলেছে মুশফিকুর রহিমের দল। তবে এটাও তো মিথ্যা নয় যে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ কাণ্ড এ মাঠেই ঘটেছিল। একই আসরে, একই ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৭৮ কাণ্ডও বাংলাদেশের আরেকটি লজ্জা হয়ে আছে এখনো। তবে সেসবের বাইরে ওয়ানডে সাফল্যও আছে এই মাঠে। কিন্তু টেস্টে? মিরপুর বাংলাদেশ ক্রিকেটের 'হোম অব ক্রিকেট' হলেও এখানে আসলে নিজ ঘরের স্বাচ্ছন্দ্যে কখনোই খুব একটা থাকা হয়নি স্বাগতিকদের। এখানে কখনো উইকেট বুঝতে ভুল করে প্রতিপক্ষের রান-পাহাড়ে চাপা পড়ার ঘটনা যেমন আছে, তেমনি দলীয় ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার উদাহরণও কম নয়।
কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা অনুপ্রেরণার এমনই শক্তি যে সেসব তুলে এনে মুশফিকুর রহিমকে একটুও বিচলিত করা গেল না। এ সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বের অভিষেকের পর পারফরম্যান্সেও তিনি দলের অগ্রসেনানী। সেই সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বগুণ যোগ হয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের ফুল ফোটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই তিনি ঢাকায় দলের পারফরম্যান্সের অতীত টেনে এনে বিপাকে পড়ার চিন্তা করবেন না, এটা স্বাভাবিক। তিনি বরং অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষ আলোটা দেখেই এগোতে আগ্রহী, 'এই মাঠে কিন্তু রাজীবের (শাহাদাত হোসেন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় উইকেট আছে। আমাদের স্পিনাররা যে এখানে খুব খারাপ করে তাও না। ব্যাটিংয়ের কথা বললে তামিমের এখানে দেড়শ রানের ইনিংস আছে ভারতের বিপক্ষে। আরো অনেকের সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি আছে এখানে।'
ঢাকা টেস্টে সাফল্যের জন্য এমন বিচ্ছিন্ন সব পারফরম্যান্সকে এক করার দাবিই এখন সতীর্থদের কাছে জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'চট্টগ্রামের মতো এখানেও যদি আমরা সবাই ব্যাটিং-বোলিং দিয়ে অবদান রাখতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে।' ভালো কিছুর মানে যে জয়, সেটাও তাঁর কথায় অনুচ্চারিত থাকল না, 'জয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা অবশ্যই হয়েছে। চট্টগ্রামে পাঁচ দিন খেলা হলে হয়তোবা ফল ভিন্ন হতো। আর আমরা এখন একটা দল হিসেবে অনেক আত্মবিশ্বাসী। ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে আমাদের মনোযোগ। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলব। এটি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এখানে যারা জিতবে, তারা সিরিজ জিতবে। তো আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব শতভাগ ঢেলে দিয়ে টেস্টটা জিততে।'
সেই হিসাবে ঢাকা টেস্টে বাঁচা-মরার লড়াইটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যই বেশি। সামি অবশ্য যুদ্ধ ঘোষণার ঝুঁকিতে গেলেন না, যেমনটা ২০০৪ সালে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দিয়েছিলেন তখনকার অধিনায়ক ব্রায়ান লারা। সেন্ট লুসিয়ায় সফরকারীরা সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করে ফেলার পর 'ত্রিনিদাদিয়ান প্রিন্স' ঘোষণা দিয়েছিলেন যে পরের টেস্টে না জিতলে তিনি নেতৃত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াবেন। সামির অতটা সাহসী হওয়ার উপায় নেই। কেন নেই? জয়ের লক্ষ্যের মাঝে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক, 'এটাকে আমার কাছে বাঁচা-মরার ম্যাচ মনে হয় না। জিততে না পারলে আমরা হয়তো কিছু পয়েন্ট হারাব। আসলে বাংলাদেশের মতো আমরাও তরুণ একটি দল, যারা সামনে এগিয়ে চলেছে। আশা করছি, মাঠে গিয়ে তিন বিভাগেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারব এবং জিতেই ম্যাচ শেষ করব।' শেষ ম্যাচের উইকেটে তাঁদের জন্য বাড়তি 'লাইফলাইন'ও থাকতে পারে। কেননা মুশফিকই যে বললেন, 'চট্টগ্রামের চেয়ে এখানে পেসারদের জন্য সাহায্য বেশি থাকে। বল তাই রিভার্স করে।' সে রকম আভাস নিশ্চয়ই পেয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। আর কাল কেমার রোচের নাম নানা প্রসঙ্গে সামি এত বেশি উচ্চারণ করলেন যে আজ ফিদেল এডওয়ার্ডস, রবি রামপাল ও নিজের সঙ্গে বাড়তি পেসার হিসেবে রোচকে নামিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও ঠিক উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন সামলানোর চ্যালেঞ্জও থাকছে তাঁর দলের সামনে। এ ক্ষেত্রে ফর্মে থাকা লেন্ডল সিমন্স ও ১৩৪ টেস্টের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিবনারায়ণ চন্দরপলকে নিতে হবে অগ্রণী ভূমিকা। যদিও দুজনেরই পিঠের সমস্যা আছে। সামি অবশ্য তাঁদের মাঠে নামার অনিশ্চয়তা উড়িয়ে দিলেন, 'ইনজুরি আছে তবে স্ক্যান করে দেখা গেছে যে সিরিয়াস কিছু নয়।' কিন্তু এটাও তো মানতে হবে যে ম্যাচটা পাঁচ দিনের। ছোটখাটো সমস্যা উপেক্ষা করে খেললেও ম্যাচের দৈর্ঘ্যের কারণে গুরুতর রূপ নিয়ে তা বাংলাদেশের পক্ষেও চলে আসতে পারে।
বাংলাদেশের একাদশেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যে জায়গায় পরির্বতনের আভাস ছিল, সেই ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে ইমরুল কায়েসের ওপরই আস্থাশীল অধিনায়ক মুশফিকও, 'ও যে কোয়ালিটির ব্যাটসম্যান, তাতে আমি নিশ্চিত যে এ ম্যাচে ও পারফর্ম করবেই। ওর ফর্মে ফেরা দলের জন্য খুব প্রয়োজনও।' দলের আরো কয়েকজনও যদি প্রয়োজনে সাড়া দেন, তাহলে সিরিজটা মনমতো শেষ করতে পারেন মুশফিক, 'টোয়েন্টি-টোয়েন্টির জয় দিয়ে এখানে সিরিজটা ভালোভাবে শুরু হয়েছিল। এখন ভালোভাবে শেষও করতে চাইব।'
শেষটাও শুরুর মতো হলে আরেকটা ব্যাপার হয়। তাহলে ঢাকা আর চট্টগ্রামকেও এক করে দেখতে পারে বাংলাদেশ দল!
No comments