জার্মান ট্রেড শোর বক্তৃতায় ইউনূসঃ মানুষ কেবল টাকা বানানোর যন্ত্র নয়
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ কেবল টাকা বানানোর যন্ত্র নয়। তাদের এভাবে দেখলে হবে না। মানুষের সৃজনশীলতা ও শক্তিকে সামাজিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জার্মান ট্রেড শো-২০১১ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
‘সামাজিক ব্যবসা ও পরিবেশ’ শীর্ষক ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
রেহমান সোবহান বলেন, বৃহৎ কোম্পানিগুলো বড় পরিসরে উৎপাদনে যেতে পারে, ফলে তাদের উৎপাদন খরচ কম হয়। অন্য ব্যবসা থেকেও তারা মুনাফা করে। ফলে তাদের পক্ষে সামাজিক ব্যবসায় আসা সহজ। কিন্তু ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা নতুন উদ্যোক্তারা কীভাবে সামাজিক ব্যবসায় আসতে পারে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
মুহাম্মদ ইউনূস সামাজিক ব্যবসায় আসার অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পরিবেশ রক্ষাও একটি ভালো সামাজিক ব্যবসা হতে পারে। হাইতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে এক সময় ২০ শতাংশ এলাকায় বনভূমি ছিল। বর্তমানে তা দুই শতাংশে নেমে এসেছে। ওই দেশের উর্বর মাটিতে আবারও বনায়ন করতে সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার সামাজিক ব্যবসার তহবিল গঠন করেছে।
জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিজিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সারিয়া সিদ্দিক বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জার্মানির বিএএসএফ বাংলাদেশে গ্রামীণের সহায়তায় সামাজিক ব্যবসা শুরু করেছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে তারা মশা প্রতিরোধক রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া মশারি উৎপাদন ও বাজারজাত করা শুরু করবে। সেমিনারে জার্মানভিত্তিক কোম্পানি অটো গ্রুপের সামাজিক দায়িত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক মারিন বোহেমও বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তারা গ্রামীণের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সামাজিক ব্যবসায় যেতে রাজি হচ্ছে। কিন্তু নতুন উদ্যোক্তারা কীভাবে এই ব্যবসায় আসতে পারে। আরেকটি প্রশ্ন ছিল, সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে প্রধান নির্বাহী ও দক্ষ জনবল পাওয়া সম্ভব কিনা।
অধ্যাপক ইউনূস উত্তরে বলেন, যে কেউ সামাজিক কোনো একটি সমস্যার সমাধানে সামাজিক ব্যবসা শুরু করতে পারে। যেমন, কোনো এলাকার কেউ যদি ১০টি উন্নত চুলা বা সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করে, সেটাও এক সময় বড় সামাজিক ব্যবসায় পরিণত হতে পারে। সেখানে বেশি অর্থ দিয়ে দক্ষ জনবলও নিয়োগ করা সম্ভব।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সামাজিক ব্যবসাবিষয়ক কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে। অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক ব্যবসা বিষয়ে তহবিল গঠন করলে সেখান থেকে তরুণ উদ্যোক্তারা প্রাথমিক পুঁজি নিতে পারে। এভাবে সামাজিক ব্যবসা দেশের বেশির ভাগ সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
রেহমান সোবহান বলেন, বৃহৎ কোম্পানিগুলো বড় পরিসরে উৎপাদনে যেতে পারে, ফলে তাদের উৎপাদন খরচ কম হয়। অন্য ব্যবসা থেকেও তারা মুনাফা করে। ফলে তাদের পক্ষে সামাজিক ব্যবসায় আসা সহজ। কিন্তু ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা নতুন উদ্যোক্তারা কীভাবে সামাজিক ব্যবসায় আসতে পারে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
মুহাম্মদ ইউনূস সামাজিক ব্যবসায় আসার অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পরিবেশ রক্ষাও একটি ভালো সামাজিক ব্যবসা হতে পারে। হাইতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে এক সময় ২০ শতাংশ এলাকায় বনভূমি ছিল। বর্তমানে তা দুই শতাংশে নেমে এসেছে। ওই দেশের উর্বর মাটিতে আবারও বনায়ন করতে সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার সামাজিক ব্যবসার তহবিল গঠন করেছে।
জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিজিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সারিয়া সিদ্দিক বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জার্মানির বিএএসএফ বাংলাদেশে গ্রামীণের সহায়তায় সামাজিক ব্যবসা শুরু করেছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে তারা মশা প্রতিরোধক রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া মশারি উৎপাদন ও বাজারজাত করা শুরু করবে। সেমিনারে জার্মানভিত্তিক কোম্পানি অটো গ্রুপের সামাজিক দায়িত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক মারিন বোহেমও বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তারা গ্রামীণের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সামাজিক ব্যবসায় যেতে রাজি হচ্ছে। কিন্তু নতুন উদ্যোক্তারা কীভাবে এই ব্যবসায় আসতে পারে। আরেকটি প্রশ্ন ছিল, সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে প্রধান নির্বাহী ও দক্ষ জনবল পাওয়া সম্ভব কিনা।
অধ্যাপক ইউনূস উত্তরে বলেন, যে কেউ সামাজিক কোনো একটি সমস্যার সমাধানে সামাজিক ব্যবসা শুরু করতে পারে। যেমন, কোনো এলাকার কেউ যদি ১০টি উন্নত চুলা বা সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করে, সেটাও এক সময় বড় সামাজিক ব্যবসায় পরিণত হতে পারে। সেখানে বেশি অর্থ দিয়ে দক্ষ জনবলও নিয়োগ করা সম্ভব।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সামাজিক ব্যবসাবিষয়ক কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে। অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক ব্যবসা বিষয়ে তহবিল গঠন করলে সেখান থেকে তরুণ উদ্যোক্তারা প্রাথমিক পুঁজি নিতে পারে। এভাবে সামাজিক ব্যবসা দেশের বেশির ভাগ সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
No comments