বিশ্বাসীরা হয় শহীদ, না হয় গাজীঃ শামীম by অমিতোষ পাল
'আমার নিয়ত যদি ঠিক থাকে, ইমান যদি অবিচল থাকে, আমি বিজয়ী হব। যারা আল্লাহর ওপর ইমান রাখে তারা হয় শহীদ, না হয় গাজী। আল্লাহর ওপর আমার সেই বিশ্বাস আছে।' গতকাল শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এসব কথা বলেন মেয়র পদপ্রার্থী শামীম ওসমান। আদমজীর শিমুলপাড়ায় বিহারি ক্যাম্পে গণসংযোগ করার সময় তিনি কথা বলছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সঙ্গে।
অন্য দুই মেয়র পদপ্রার্থীকে ইঙ্গিত করে এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, 'তাঁদের কথায় নির্বাচন কমিশন ওসিকে বদলি করে, তাঁরা যা বলছেন, নির্বাচন কমিশন সেটাই করছে। অথচ আমি কোনো দাবি-দাওয়া করছি না। আমি আশাবাদী, নির্বাচন সুষুম হলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।'
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে সারা দিন বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ান শক্তিশালী এই মেয়র পদপ্রার্থী। গতকাল খুব ভোরে উঠেই ফজরের নামাজ আদায় করেন শামীম ওসমান। তার পরই জামতলার শ্বশুরালয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসলি্লদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও দোয়া কামনা করেন। তারপর বাসায় ফিরে যান। সকালের নাশতা সেরে গোসল শেষে সকাল ৯টায় বেরিয়ে পড়েন। সিলভার রঙের ব্যক্তিগত জিপে (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩১৬৪১) করে বেরিয়ে পড়েন। সোজা চলে যান সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর বিহারি ক্যাম্পে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করায় তাঁর নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে যোগ দেয় এক প্লাটুন পুলিশ। সঙ্গে আরো কয়েকটি মাইক্রোবাস। পেছনে পেছনে চলতে থাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আর সাংবাদিকদের গাড়ির বহর।
আদমজীর শিমুলপাড়ায় পেঁৗছে গাড়ি থেকে নেমেই ঢুকে পড়েন বিহারি ক্যাম্পে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা একপেয়ে রাস্তা দিয়ে ঢুকে যান বস্তিঘরগুলোয়। এক ঘর থেকে আরেক ঘরে। রোদের তাপে মাথার ঘাম পায়ে পড়ে। প্রিয় নেতাকে একটু ফ্যানের বাতাসে শরীর জুড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন ক্যাম্পেরই বাসিন্দা মো. নূর হোসেন। নেতাকে কাছে পেয়ে নূর হোসেন বলতে থাকেন, 'এই জায়গা থেকে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। ৩৬ বছর যাবৎ এখানে আমরা আছি। আমরা থাকতে চাই। কিন্তু থাকার মতো কোনো নাগরিক সুবিধা নেই ক্যাম্পবাসীর।' অন্তত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি অ্যাম্বুলেন্সের দাবি জানান তিনি।
কয়েক ঘণ্টা বস্তিতে অবস্থানকালে দেখা যায়, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, পয়োনালা, স্যানিটেশনসহ নানা রকম সেবাবঞ্চনার মধ্য দিয়ে টিকে আছে শীতলক্ষ্যাপারের এই কয়েক হাজার মানুষ। উর্দুভাষী এসব মানুষ উর্দুতে কথা বলে মনের কথা ব্যক্ত করে। শামীম ওসমানও সাবলীল উর্দু বলে তাদের সঙ্গে মিশে যান, 'আল্লাহ হামকো তৌফিক দেগা আপকো সেবা করনে কে লিয়ে।' সাবলীল বাৎচিতের সঙ্গে চলে হর্ষধ্বনি, 'শামীম ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে' প্রভৃতি স্লোগান।
সারা দিন শামীম ওসমানের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য বলেন, 'আজ সারা দিন ভাইয়ের এভাবেই কাটবে।' তিনি জানান, ভাইয়ের ব্যাপারে মানুষের সমালোচনা আছে। কিন্তু তিনি এবার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন। মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছেন। সারা দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।' নেতা হিসেবে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান অদ্বিতীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিহারি ক্যাম্পে অবস্থিত স্ট্রান্ডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপট্রিয়েশন কমিটির নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষেই হাঁটতে শুরু করেন পাশের গ্রামের দিকে। ২০০১ সালের গ্রেনেড হামলার স্পিলিন্টারকে শরীরে নিয়ে চলতে থাকেন গলি-ঘুপচি বা মেঠোপথে। পা ফুলে যায়। তবু চলা শেষ হয় না। প্রচণ্ড রোদের ভেতরেই কয়েক কিলোমিটার হেঁটে চলে যান চর শিমুলপাড়ায়। সেখান থেকে শ্রীদরদী, বার্মা স্ট্যান্ড, ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী, জালকুঁড়িসহ অনেক এলাকায়। সঙ্গে থাকে তাঁর কর্মী-সমর্থক-জনতার স্রোত। ততক্ষণে হয়ে গেছে জুমার নামাজের সময়। জালকুঁড়ি এলাকায় একটি মসজিদে নামাজ আদায় করেন। দুপুরে খাবারের পর শুরু হয় শহর এলাকায় জনসংযোগ। ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা ও দোয়া কামনা। তিনি যান খানপুর, আমলাপাড়া, উকিলপাড়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক, নয়ামাটি, নিমতলা এলাকায়। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে রাত।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে সারা দিন বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ান শক্তিশালী এই মেয়র পদপ্রার্থী। গতকাল খুব ভোরে উঠেই ফজরের নামাজ আদায় করেন শামীম ওসমান। তার পরই জামতলার শ্বশুরালয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসলি্লদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও দোয়া কামনা করেন। তারপর বাসায় ফিরে যান। সকালের নাশতা সেরে গোসল শেষে সকাল ৯টায় বেরিয়ে পড়েন। সিলভার রঙের ব্যক্তিগত জিপে (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩১৬৪১) করে বেরিয়ে পড়েন। সোজা চলে যান সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর বিহারি ক্যাম্পে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করায় তাঁর নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে যোগ দেয় এক প্লাটুন পুলিশ। সঙ্গে আরো কয়েকটি মাইক্রোবাস। পেছনে পেছনে চলতে থাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আর সাংবাদিকদের গাড়ির বহর।
আদমজীর শিমুলপাড়ায় পেঁৗছে গাড়ি থেকে নেমেই ঢুকে পড়েন বিহারি ক্যাম্পে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা একপেয়ে রাস্তা দিয়ে ঢুকে যান বস্তিঘরগুলোয়। এক ঘর থেকে আরেক ঘরে। রোদের তাপে মাথার ঘাম পায়ে পড়ে। প্রিয় নেতাকে একটু ফ্যানের বাতাসে শরীর জুড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন ক্যাম্পেরই বাসিন্দা মো. নূর হোসেন। নেতাকে কাছে পেয়ে নূর হোসেন বলতে থাকেন, 'এই জায়গা থেকে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। ৩৬ বছর যাবৎ এখানে আমরা আছি। আমরা থাকতে চাই। কিন্তু থাকার মতো কোনো নাগরিক সুবিধা নেই ক্যাম্পবাসীর।' অন্তত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি অ্যাম্বুলেন্সের দাবি জানান তিনি।
কয়েক ঘণ্টা বস্তিতে অবস্থানকালে দেখা যায়, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, পয়োনালা, স্যানিটেশনসহ নানা রকম সেবাবঞ্চনার মধ্য দিয়ে টিকে আছে শীতলক্ষ্যাপারের এই কয়েক হাজার মানুষ। উর্দুভাষী এসব মানুষ উর্দুতে কথা বলে মনের কথা ব্যক্ত করে। শামীম ওসমানও সাবলীল উর্দু বলে তাদের সঙ্গে মিশে যান, 'আল্লাহ হামকো তৌফিক দেগা আপকো সেবা করনে কে লিয়ে।' সাবলীল বাৎচিতের সঙ্গে চলে হর্ষধ্বনি, 'শামীম ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে' প্রভৃতি স্লোগান।
সারা দিন শামীম ওসমানের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য বলেন, 'আজ সারা দিন ভাইয়ের এভাবেই কাটবে।' তিনি জানান, ভাইয়ের ব্যাপারে মানুষের সমালোচনা আছে। কিন্তু তিনি এবার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন। মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছেন। সারা দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।' নেতা হিসেবে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান অদ্বিতীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিহারি ক্যাম্পে অবস্থিত স্ট্রান্ডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপট্রিয়েশন কমিটির নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষেই হাঁটতে শুরু করেন পাশের গ্রামের দিকে। ২০০১ সালের গ্রেনেড হামলার স্পিলিন্টারকে শরীরে নিয়ে চলতে থাকেন গলি-ঘুপচি বা মেঠোপথে। পা ফুলে যায়। তবু চলা শেষ হয় না। প্রচণ্ড রোদের ভেতরেই কয়েক কিলোমিটার হেঁটে চলে যান চর শিমুলপাড়ায়। সেখান থেকে শ্রীদরদী, বার্মা স্ট্যান্ড, ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী, জালকুঁড়িসহ অনেক এলাকায়। সঙ্গে থাকে তাঁর কর্মী-সমর্থক-জনতার স্রোত। ততক্ষণে হয়ে গেছে জুমার নামাজের সময়। জালকুঁড়ি এলাকায় একটি মসজিদে নামাজ আদায় করেন। দুপুরে খাবারের পর শুরু হয় শহর এলাকায় জনসংযোগ। ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা ও দোয়া কামনা। তিনি যান খানপুর, আমলাপাড়া, উকিলপাড়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক, নয়ামাটি, নিমতলা এলাকায়। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে রাত।
No comments