সৌদি আরবে ক্ষমতার চাবিকাঠি যাঁদের হাতে
সৌদি আরবের আল-সৌদ পরিবারের সদস্যরা ১৯৩২ সাল থেকে দেশটি শাসন করে আসছেন। বর্তমানে দেশটির বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের (৮৭) শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী বাদশাহ আবদুল্লাহর সত্ভাই সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ সম্প্রতি নিউইয়র্কে মারা গেছেন। এ অবস্থায় রাজসিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ নায়েফ বিন আবদুল আজিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করেছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।
ক্ষমতাসীন আল-সৌদ রাজবংশের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো:
যুবরাজ নায়েফ: ১৯৭৫ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান নায়েফ। বাদশাহ আবদুল্লাহ অনুপস্থিতিতে ৭৮ বছর বয়সী এ রাজপুত্র মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্লেষকেরা আগেই বলেছিলেন, নায়েফই হতে পারেন পরবর্তী যুবরাজ। নায়েফ সদ্য প্রয়াত যুবরাজ সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের আপন ছয় ভাইয়ের একজন। সাবেক কূটনৈতিকেরা যুবরাজ বা বাদশাহ হিসেবে নায়েফ অনেক বেশি বাস্তববাদী হবেন মনে করলেও তিনি কখনো কখনো রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করেন।
প্রিন্স সালমান: ১৯৬২ সাল থেকে তিনি রিয়াদের গভর্নরের দায়িত্বে আছেন। সালমান ও তাঁর পরিবার দৈনিক আশার্ক আল-আওসাত ও আল-ইকতিসাদিয়াহসহ একটি পত্রিকাগোষ্ঠীর মালিক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রয়াত যুবরাজ সুলতানের আপন ভাই সালমান ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রিন্স আহমেদ: প্রয়াত যুবরাজ সুলতানের সবচেয়ে ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ ১৯৭৫ সাল থেকে উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা আহমেদ ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে সংস্কারমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ওই সময় সেখানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায় অনেকে বৈষম্যের প্রতিবাদে বিদ্রোহ করছিল।
প্রিন্স মাগরিন: সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মাগরিনের জন্ম ১৯৪৫ সালে। তিনি ইবনে সৌদের সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে। ইন্টারনেটে জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধে ২০০৭ সালে তিনি এ বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেন। কূটনীতিকেরা মনে করেন, মাগরিন বয়সে তুলনামূলক ছোট হলেও বাদশাহ আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ। তবে মাগরিনের মা রাজপরিবারের সদস্য না হওয়ায় তাঁর অনেক সফলতা আড়ালে চলে গেছে।
প্রিন্স মিশহাল: ১৯২৬ সালে মিশহাল জন্মগ্রহণ করেন। অ্যালিজিয়েন্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে বাদশাহ আবদুল্লাহ নিয়োগ দেন।
প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল: মক্কা প্রদেশের গভর্নর ফয়সাল উদারপন্থী প্রিন্সদের একজন মনে করা হয়। তিনি বন্দরনগর জেদ্দার ধর্মীয় পুলিশের প্রভাব কমিয়ে দেন। তিনি দেশটির সবচেয়ে উদারপন্থী সংবাদপত্র আল-ওয়াতানের মালিক।
প্রিন্স তুরকি আল-ফয়সাল: বাদশাহ ফয়সালের ছেলে তুরকি ১৯৪৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং লন্ডন ও ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদ আল-ফয়সালের ভাই তিনি।
প্রিন্স মিতেব: বাদশাহ আবদুল্লার ছেলে মিতেবের হাতে ২০১০ সালে ন্যাশনাল গার্ডের পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেন। অভিজাত বেদুইনদের নিয়ে গঠিত এই বাহিনী দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রিন্স খালেদ-বিন সুলতান: প্রয়াত যুবরাজ সুলতানের ছেলে খালেদ ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েতের পক্ষে আরব সেনাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বর্তমানে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। খালেদ আল-হায়াত পত্রিকার মালিক। ২০০৯ সালে সৌদিতে ঢুকে পড়া ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি।
প্রিন্স বন্দর: ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণকারী বন্দর ওয়াশিংটনে ১৯৮৩—২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সুনাম কুড়ান। তিনি সৌদি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে মহাসচিব।
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নায়েফের ছেলে মোহাম্মদ দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী প্রচার কর্মকাণ্ডের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। কূটনীতিরা বলেন, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সৌদি রাজত্বকে ধ্বংস করে দিতে আল-কায়েদার প্রচারের বিরুদ্ধে কাজ করে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে এক আত্মঘাতী বোমা হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়ে গণমাধ্যমের নজরে চলে আসেন তিনি।
প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল: উদ্যোক্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন ওয়ালিদ দেশটির সিটি গ্রুপ ইন করপোরেশনের সবচেয়ে বড় একক বিনিয়োগকারী। রয়টার্স।
যুবরাজ নায়েফ: ১৯৭৫ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান নায়েফ। বাদশাহ আবদুল্লাহ অনুপস্থিতিতে ৭৮ বছর বয়সী এ রাজপুত্র মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্লেষকেরা আগেই বলেছিলেন, নায়েফই হতে পারেন পরবর্তী যুবরাজ। নায়েফ সদ্য প্রয়াত যুবরাজ সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের আপন ছয় ভাইয়ের একজন। সাবেক কূটনৈতিকেরা যুবরাজ বা বাদশাহ হিসেবে নায়েফ অনেক বেশি বাস্তববাদী হবেন মনে করলেও তিনি কখনো কখনো রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করেন।
প্রিন্স সালমান: ১৯৬২ সাল থেকে তিনি রিয়াদের গভর্নরের দায়িত্বে আছেন। সালমান ও তাঁর পরিবার দৈনিক আশার্ক আল-আওসাত ও আল-ইকতিসাদিয়াহসহ একটি পত্রিকাগোষ্ঠীর মালিক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রয়াত যুবরাজ সুলতানের আপন ভাই সালমান ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রিন্স আহমেদ: প্রয়াত যুবরাজ সুলতানের সবচেয়ে ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ ১৯৭৫ সাল থেকে উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা আহমেদ ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে সংস্কারমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ওই সময় সেখানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায় অনেকে বৈষম্যের প্রতিবাদে বিদ্রোহ করছিল।
প্রিন্স মাগরিন: সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মাগরিনের জন্ম ১৯৪৫ সালে। তিনি ইবনে সৌদের সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে। ইন্টারনেটে জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধে ২০০৭ সালে তিনি এ বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেন। কূটনীতিকেরা মনে করেন, মাগরিন বয়সে তুলনামূলক ছোট হলেও বাদশাহ আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ। তবে মাগরিনের মা রাজপরিবারের সদস্য না হওয়ায় তাঁর অনেক সফলতা আড়ালে চলে গেছে।
প্রিন্স মিশহাল: ১৯২৬ সালে মিশহাল জন্মগ্রহণ করেন। অ্যালিজিয়েন্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে বাদশাহ আবদুল্লাহ নিয়োগ দেন।
প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল: মক্কা প্রদেশের গভর্নর ফয়সাল উদারপন্থী প্রিন্সদের একজন মনে করা হয়। তিনি বন্দরনগর জেদ্দার ধর্মীয় পুলিশের প্রভাব কমিয়ে দেন। তিনি দেশটির সবচেয়ে উদারপন্থী সংবাদপত্র আল-ওয়াতানের মালিক।
প্রিন্স তুরকি আল-ফয়সাল: বাদশাহ ফয়সালের ছেলে তুরকি ১৯৪৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং লন্ডন ও ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদ আল-ফয়সালের ভাই তিনি।
প্রিন্স মিতেব: বাদশাহ আবদুল্লার ছেলে মিতেবের হাতে ২০১০ সালে ন্যাশনাল গার্ডের পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেন। অভিজাত বেদুইনদের নিয়ে গঠিত এই বাহিনী দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রিন্স খালেদ-বিন সুলতান: প্রয়াত যুবরাজ সুলতানের ছেলে খালেদ ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েতের পক্ষে আরব সেনাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বর্তমানে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। খালেদ আল-হায়াত পত্রিকার মালিক। ২০০৯ সালে সৌদিতে ঢুকে পড়া ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি।
প্রিন্স বন্দর: ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণকারী বন্দর ওয়াশিংটনে ১৯৮৩—২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সুনাম কুড়ান। তিনি সৌদি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে মহাসচিব।
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নায়েফের ছেলে মোহাম্মদ দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী প্রচার কর্মকাণ্ডের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। কূটনীতিরা বলেন, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সৌদি রাজত্বকে ধ্বংস করে দিতে আল-কায়েদার প্রচারের বিরুদ্ধে কাজ করে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে এক আত্মঘাতী বোমা হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়ে গণমাধ্যমের নজরে চলে আসেন তিনি।
প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল: উদ্যোক্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন ওয়ালিদ দেশটির সিটি গ্রুপ ইন করপোরেশনের সবচেয়ে বড় একক বিনিয়োগকারী। রয়টার্স।
No comments