জনগণ সরকারের ব্যর্থতার জবাব দেবে ব্যালটেঃ তৈমূর by দিলীপ কুমার মণ্ডল
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা। মাসদাইর বাজার এলাকার চা দোকানি ইসমাইল হোসেন চা তৈরিতে ব্যস্ত। চা পান করছিলেন রিকশাচালক আমির ও দিনমজুর আশ্রাফ আলী। এমন সময় 'তৈমূর ভাইয়ের সালাম নিন, আনারস মার্কায় ভোট দিন'-এ ধরনের নানা স্লোগানে মুখরিত কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে হাজির হলেন মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। এরপর একে একে সবার সঙ্গে করমর্দন করেন, নির্বাচনে সমর্থন চান।
চা দোকানি ইসমাইল বলেন, 'সরকার আমাগো ১০ টেকা সের চাউল খাওয়াবে বলে অহন ৪০ টেকা দরে খাওয়াচ্ছে।' জবাবে তৈমূর বলেন, 'আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে এটার জবাব দিতে হবে আপনাদের।' ততক্ষণে আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক জনতা তৈমূরকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেছে। জনতার উদ্দেশে তৈমূর খন্দকার বলেন, 'অবহেলিত নারায়ণগঞ্জকে একটা সঠিক পরিকল্পনায় উন্নয়ন করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। এবারই প্রথম আমি কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। তাই আপনাদের সেবক হতে আপনাদের দোয়া ও রায় চাই।' এভাবেই তিনি গতকাল ছুটির দিনে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের শেষ পর্যায়ে দিনভর গণসংযোগ করেছেন।
গতকাল সকালে প্রচার অভিযানের শেষ দিনে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে বাসা থেকে বের হন তৈমূর খন্দকার। দুপুর পর্যন্ত নিজ এলাকা মাসদাইর, কুড়িপাড়া ও গলাচিপা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, দীর্ঘ ১৮ দিনের একটানা পরিশ্রমও ৫৮ বছর বয়সী এ প্রার্থীকে কাবু করতে পারেনি। পথ চলতে চলতে সকাল সাড়ে ১১টায় মাসদাইরের এক বাসায় ঢুকে ভোট চাইতেই গৃহিণী শেলী আক্তার গ্যাস সংকটের সমস্যা তুলে ধরলেন। তৈমূর তাঁকে আশ্বস্ত করে বললেন, 'এটা নারায়ণগঞ্জের অন্যতম সমস্যা। বিজয়ী হলে গ্যাস সংকটের সমস্যা দূর করব ইনশা আল্লাহ।' এ ছাড়া উপস্থিত কয়েকজন জলাবদ্ধতার কথাও জানান তাঁকে। এভাবে পথ চলতে চলতে নানা সমস্যা আর অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। তবুও তিনি নিরাশ করেননি কাউকেই।
তৈমূর খন্দকার জুমার নামাজ পড়েন গলাচিপা মসজিদে। নামাজ শেষে মুসলি্লদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে ভোট আর দোয়া চেয়েছেন। কর্মীরা বিলি করেছেন লিফলেট। মাঝেমধ্যে হয়েছে স্লোগান। অনেক সাধারণ মানুষ তৈমূরকে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছেন। গলাচিপা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কে আসতে পথচারী আর দোকানিদের সঙ্গে হাত বাড়িয়ে তিনি ভোট চেয়েছেন। পরে ডিআইটির রেলওয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গিয়ে শত শত মুসলি্লর সঙ্গে করমর্দন করে আনারস প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। মুসলি্লরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন।
নির্বাচনে গণসংযোগকালে তৈমূর আলম খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মৃত্যুই আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।' কোনো ষড়যন্ত্র ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আনারস প্রতীকের জোয়ার উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। তারা এ ব্যর্থ সরকারকে সমুচিত জবাব দেবে ব্যালটের মাধ্যমে, আমাকে বিজয়ী করে।' তিনি আরো বলেন, 'কিছু স্বার্থান্বেষী সংবাদকর্মী একটি কুচক্রী মহলকে খুশি করতে সব সময় আমার বিরুদ্ধে গুজব রটায়, যা দুঃখজনক। আমি সব সময় বলে আসছি, ইনশা আল্লাহ নির্বাচন করব। এটা নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের দাবি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রয়োজন, এটা অনেক আগেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আজও কিছুক্ষণ আগে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানিয়েছি। তা না হলে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়দায়িত্ব তাঁদেরই বহন করতে হবে।'
গতকাল সকালে প্রচার অভিযানের শেষ দিনে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে বাসা থেকে বের হন তৈমূর খন্দকার। দুপুর পর্যন্ত নিজ এলাকা মাসদাইর, কুড়িপাড়া ও গলাচিপা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, দীর্ঘ ১৮ দিনের একটানা পরিশ্রমও ৫৮ বছর বয়সী এ প্রার্থীকে কাবু করতে পারেনি। পথ চলতে চলতে সকাল সাড়ে ১১টায় মাসদাইরের এক বাসায় ঢুকে ভোট চাইতেই গৃহিণী শেলী আক্তার গ্যাস সংকটের সমস্যা তুলে ধরলেন। তৈমূর তাঁকে আশ্বস্ত করে বললেন, 'এটা নারায়ণগঞ্জের অন্যতম সমস্যা। বিজয়ী হলে গ্যাস সংকটের সমস্যা দূর করব ইনশা আল্লাহ।' এ ছাড়া উপস্থিত কয়েকজন জলাবদ্ধতার কথাও জানান তাঁকে। এভাবে পথ চলতে চলতে নানা সমস্যা আর অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। তবুও তিনি নিরাশ করেননি কাউকেই।
তৈমূর খন্দকার জুমার নামাজ পড়েন গলাচিপা মসজিদে। নামাজ শেষে মুসলি্লদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে ভোট আর দোয়া চেয়েছেন। কর্মীরা বিলি করেছেন লিফলেট। মাঝেমধ্যে হয়েছে স্লোগান। অনেক সাধারণ মানুষ তৈমূরকে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছেন। গলাচিপা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কে আসতে পথচারী আর দোকানিদের সঙ্গে হাত বাড়িয়ে তিনি ভোট চেয়েছেন। পরে ডিআইটির রেলওয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গিয়ে শত শত মুসলি্লর সঙ্গে করমর্দন করে আনারস প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। মুসলি্লরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন।
নির্বাচনে গণসংযোগকালে তৈমূর আলম খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মৃত্যুই আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।' কোনো ষড়যন্ত্র ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আনারস প্রতীকের জোয়ার উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। তারা এ ব্যর্থ সরকারকে সমুচিত জবাব দেবে ব্যালটের মাধ্যমে, আমাকে বিজয়ী করে।' তিনি আরো বলেন, 'কিছু স্বার্থান্বেষী সংবাদকর্মী একটি কুচক্রী মহলকে খুশি করতে সব সময় আমার বিরুদ্ধে গুজব রটায়, যা দুঃখজনক। আমি সব সময় বলে আসছি, ইনশা আল্লাহ নির্বাচন করব। এটা নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের দাবি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রয়োজন, এটা অনেক আগেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আজও কিছুক্ষণ আগে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানিয়েছি। তা না হলে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়দায়িত্ব তাঁদেরই বহন করতে হবে।'
No comments