আমরা মাগুরার পুনরাবৃত্তি চাই নাঃ তবু নির্বাচন সুষ্ঠু হোক
শেষ পর্যন্ত সেনা মোতায়েন ছাড়াই আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জে এখন টানটান উত্তেজনা। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক প্রার্থী। শঙ্কায় আছেন ভোটাররাও। গতকাল সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের অসহযোগিতার কারণে তারা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েও কার্যকর করতে পারেনি।
তবে কমিশন আশা করছে, সেনা মোতায়েন না হলেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ সরকারের এই অবস্থান নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এত দিন বলে আসছেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। নির্বাচনের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাঁদের আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশনকে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমে সাংবিধানিক এই সংস্থাটির ক্ষমতা শুধু খর্ব করাই হয়নি, নতুন করে এর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলেই স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিধান জারি করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য চিঠি দিলেও সরকার তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি। এটি এই সাংবিধানিক সংস্থার প্রতি অবজ্ঞারই উদাহরণ হয়ে থাকবে। মূল কথা হলো, নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, আনসার প্রভৃতির ওপর যথেষ্ট আস্থা না থাকার কারণেই সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছে। কমিশন যখন সেই দাবি মেনে নিয়ে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কিন্তু সরকার আপত্তি করেনি। এমনকি সরকার দলীয় প্রার্থীসহ সকলেই কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে সরকারের এ অসহযোগিতা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন তো বটেই, সরকারের জন্যও এ নির্বাচন অনুষ্ঠান বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলে শেষ বিচারে তার কৃতিত্ব যেমন সরকারের, তেমনি কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়ও সরকারকে নিতে হবে।
সব শঙ্কা, উদ্বেগ ও জল্পনাকে দূরে ঠেলে আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে এবং ভোটাররা যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা। কোনো দৃশ্য বা অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে যাতে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কিংবা ভোটের ফল উল্টে দিতে না পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ থাকবেন এমনটাই কাম্য। আমরা মাগুরার উপনির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। চাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো আদর্শ ও দৃষ্টান্ত অনুসরণীয় নির্বাচন।
বর্তমান সরকারের আমলেই স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিধান জারি করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য চিঠি দিলেও সরকার তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি। এটি এই সাংবিধানিক সংস্থার প্রতি অবজ্ঞারই উদাহরণ হয়ে থাকবে। মূল কথা হলো, নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, আনসার প্রভৃতির ওপর যথেষ্ট আস্থা না থাকার কারণেই সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছে। কমিশন যখন সেই দাবি মেনে নিয়ে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কিন্তু সরকার আপত্তি করেনি। এমনকি সরকার দলীয় প্রার্থীসহ সকলেই কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে সরকারের এ অসহযোগিতা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন তো বটেই, সরকারের জন্যও এ নির্বাচন অনুষ্ঠান বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলে শেষ বিচারে তার কৃতিত্ব যেমন সরকারের, তেমনি কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়ও সরকারকে নিতে হবে।
সব শঙ্কা, উদ্বেগ ও জল্পনাকে দূরে ঠেলে আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে এবং ভোটাররা যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা। কোনো দৃশ্য বা অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে যাতে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কিংবা ভোটের ফল উল্টে দিতে না পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ থাকবেন এমনটাই কাম্য। আমরা মাগুরার উপনির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। চাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো আদর্শ ও দৃষ্টান্ত অনুসরণীয় নির্বাচন।
No comments