গাদ্দাফির লেখানো গান কর্কশ ছিল না: রাইস
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইসের প্রতি মোহাবিষ্ট ছিলেন লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি—এ কথা আর গোপন কিছু নয়। রাইস নিজেও লুকাননি বিষয়টি। সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রাইস জানিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তাঁর প্রতি গাদ্দাফির এই মোহকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন রাইস।
২০০৮ সালে ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাইসের। এটাই ছিল তাঁর প্রথম লিবিয়া সফর। এ সময় গাদ্দাফি বারবার তাঁর সহকারীদের বলছিলেন, ‘আমার আফ্রিকান রাজকুমারী এখনো আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে না কেন?’ গাদ্দাফি তাঁকে নিয়ে গানও লিখিয়েছিলেন। রাইসের মতে, ওই গান অদ্ভুত হলেও একেবারে কর্কশ ছিল না। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা তাঁর সর্বশেষ বই নো হায়ার অনার-এ লিখেছেন। আগামী ১ নভেম্বর বইটি প্রকাশিত হবে।
গাদ্দাফির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে রাইস এবিসি টিভিকে বলেন, ‘ওই সময় আমার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল, আমাকে আর এখানে কতক্ষণ বসতে হবে। কত তাড়াতাড়ি আমি এখান থেকে উঠতে পারব। আমার কাছে বেশ মজাই লাগছিল যখন উনি (গাদ্দাফি) বললেন, “আপনার জন্য একটা ভিডিও রেখেছি।” তখন আমি ভাবলাম, না-জানি এর মধ্যে কী আছে! পরে দেখি, এতে আমার, ভ্লাদিমির পুতিন এবং আমার সঙ্গে হু জিন তাওয়ের ছবি।’ রাইস আরও বলেন, ‘উনি বললেন, “লিবিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ গীতিকারকে দিয়ে আপনার জন্য আমি এই গান লিখিয়েছি।” এই গানে আমাকে হোয়াইট হাউসের কালো ফুল বলে বর্ণনা করা হয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ত্রিপোলি সফরের সময় গাদ্দাফি তাঁকে একটি হীরার আংটি, একটি বাদ্যযন্ত্র ও একটি লকেট উপহার দিয়েছিলেন, যার ভেতরে ছিল গাদ্দাফির ছবি।
গাদ্দাফির এই ‘পাগল-পারা প্রেমের’ কথা শুধু রাইসের বিবরণে উল্লেখ আছে এমন নয়; সম্প্রতি বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটা ছবির অ্যালবাম উদ্ধার করে। ওই অ্যালবামে সব ছবিই ছিল রাইসের। হাফিংটন পোস্ট।
২০০৮ সালে ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাইসের। এটাই ছিল তাঁর প্রথম লিবিয়া সফর। এ সময় গাদ্দাফি বারবার তাঁর সহকারীদের বলছিলেন, ‘আমার আফ্রিকান রাজকুমারী এখনো আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে না কেন?’ গাদ্দাফি তাঁকে নিয়ে গানও লিখিয়েছিলেন। রাইসের মতে, ওই গান অদ্ভুত হলেও একেবারে কর্কশ ছিল না। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা তাঁর সর্বশেষ বই নো হায়ার অনার-এ লিখেছেন। আগামী ১ নভেম্বর বইটি প্রকাশিত হবে।
গাদ্দাফির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে রাইস এবিসি টিভিকে বলেন, ‘ওই সময় আমার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল, আমাকে আর এখানে কতক্ষণ বসতে হবে। কত তাড়াতাড়ি আমি এখান থেকে উঠতে পারব। আমার কাছে বেশ মজাই লাগছিল যখন উনি (গাদ্দাফি) বললেন, “আপনার জন্য একটা ভিডিও রেখেছি।” তখন আমি ভাবলাম, না-জানি এর মধ্যে কী আছে! পরে দেখি, এতে আমার, ভ্লাদিমির পুতিন এবং আমার সঙ্গে হু জিন তাওয়ের ছবি।’ রাইস আরও বলেন, ‘উনি বললেন, “লিবিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ গীতিকারকে দিয়ে আপনার জন্য আমি এই গান লিখিয়েছি।” এই গানে আমাকে হোয়াইট হাউসের কালো ফুল বলে বর্ণনা করা হয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ত্রিপোলি সফরের সময় গাদ্দাফি তাঁকে একটি হীরার আংটি, একটি বাদ্যযন্ত্র ও একটি লকেট উপহার দিয়েছিলেন, যার ভেতরে ছিল গাদ্দাফির ছবি।
গাদ্দাফির এই ‘পাগল-পারা প্রেমের’ কথা শুধু রাইসের বিবরণে উল্লেখ আছে এমন নয়; সম্প্রতি বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটা ছবির অ্যালবাম উদ্ধার করে। ওই অ্যালবামে সব ছবিই ছিল রাইসের। হাফিংটন পোস্ট।
No comments