কালোটাকামুক্ত নির্বাচন হওয়া জরুরি by ইফতেখারুজ্জামান
আগামীকাল বহুলআলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ত্রিপক্ষীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার এ নির্বাচন জাতীয় গুরুত্ব অর্জন করেছে। পেশিশক্তি ও কালোটাকার বিপরীতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করার বিষয়টি যথেষ্ট আলোচিত। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের তিনজন প্রতিনিধির মতামত প্রকাশ করা হলো।
সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা চাই, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক। তবে এই কঠিন ও দুরূহ কাজটি কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। সে জন্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, যাঁরা সরাসরি নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় জড়িত, তাঁদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা অসম্ভব নয়।
একটি নির্বাচন তখনই আমরা অবাধ বলব, যখন ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং ফলাফলে সেই রায়ের প্রতিফলন ঘটবে। প্রশাসন কারও প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হলে সেটি সম্ভব নয়।
যদিও নারায়ণগঞ্জে একটি স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন হচ্ছে, জাতীয়ভাবে এর গুরুত্ব অনেক। সেখানে একটি ভালো নির্বাচন হলে যেমন তার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে পড়বে, তেমনি ভালো নির্বাচন না হলে তার নেতিবাচক প্রভাবও জাতীয় রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সেই সঙ্গে এও বলব, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত এটিই তাদের শেষ নির্বাচন। তাই সেখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে যেকোনো পরিস্থিতি তাদের শক্ত হাতেই মোকাবিলা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। পরবর্তী দু-একটি নির্বাচনে কিছু কিছু বিচ্যুতি ঘটলেও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। তবে স্থানীয় সরকার সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং তা সফলভাবেই তারা মোকাবিলা করেছে। আমরা আশা করব, নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এ জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করতে নির্বাচন কমিশন দ্বিধা করবে না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ দুর্নীতি নিয়ে কাজ করে। একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। রাজনীতির সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। সে কারণে রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে নির্বাচনে কালোটাকার দৌরাত্ম্যও কমাতে হবে। নির্বাচনে দুর্নীতির প্রধান উপাদান কালোটাকা।
আপাতদৃষ্টিতে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করা কঠিন মনে হলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অসম্ভব নয়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কালোটাকার প্রভাব অনেকখানি কমানো সম্ভব হয়েছিল। যদিও পরবর্তী স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে তার দৌরাত্ম্য আবার বেড়ে গেছে।
সেই সঙ্গে আমাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে, নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। কেবল আইন করে বা আচরণবিধি জারি করে এটি পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে না। এর জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একটি নির্বাচন তখনই আমরা অবাধ বলব, যখন ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং ফলাফলে সেই রায়ের প্রতিফলন ঘটবে। প্রশাসন কারও প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হলে সেটি সম্ভব নয়।
যদিও নারায়ণগঞ্জে একটি স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন হচ্ছে, জাতীয়ভাবে এর গুরুত্ব অনেক। সেখানে একটি ভালো নির্বাচন হলে যেমন তার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে পড়বে, তেমনি ভালো নির্বাচন না হলে তার নেতিবাচক প্রভাবও জাতীয় রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সেই সঙ্গে এও বলব, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত এটিই তাদের শেষ নির্বাচন। তাই সেখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে যেকোনো পরিস্থিতি তাদের শক্ত হাতেই মোকাবিলা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। পরবর্তী দু-একটি নির্বাচনে কিছু কিছু বিচ্যুতি ঘটলেও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। তবে স্থানীয় সরকার সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং তা সফলভাবেই তারা মোকাবিলা করেছে। আমরা আশা করব, নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এ জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করতে নির্বাচন কমিশন দ্বিধা করবে না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ দুর্নীতি নিয়ে কাজ করে। একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। রাজনীতির সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। সে কারণে রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে নির্বাচনে কালোটাকার দৌরাত্ম্যও কমাতে হবে। নির্বাচনে দুর্নীতির প্রধান উপাদান কালোটাকা।
আপাতদৃষ্টিতে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করা কঠিন মনে হলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অসম্ভব নয়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কালোটাকার প্রভাব অনেকখানি কমানো সম্ভব হয়েছিল। যদিও পরবর্তী স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে তার দৌরাত্ম্য আবার বেড়ে গেছে।
সেই সঙ্গে আমাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে, নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। কেবল আইন করে বা আচরণবিধি জারি করে এটি পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে না। এর জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
No comments