বাংলাদেশ না হোক ২০১১ নম্বর কক্ষ by ব্র্যাড অ্যাডামস
ব্র্যাড অ্যাডামস |
বাংলাদেশ
শাসকদলীয় কর্মীরা ফেসবুক পোস্টের পরে একজন ছাত্র হত্যা করেছে। নিহতের নাম
আবরার ফাহাদ। তার নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের
দায়মুক্তিকে সামনে এনেছে। দিনটি ছিল ৬ই অক্টোবর। ২১ বছরের বুয়েট ছাত্র
আবরার ফাহাদ। তাকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নেয়া হলো ২০১১ নম্বর কক্ষে। এটি
ছাত্রদের কাছে একটি টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত। এই কক্ষটি পরিচালিত হতো
ছাত্রলীগের সদস্যবৃন্দের দ্বারা।
ছাত্রলীগ ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে ফাহাদকে মৃত পাওয়া গেছে।
বুয়েট ছাত্রলীগের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিডিয়াকে বলেছেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা বিষয়ে ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। ছাত্রশিবির হলো ইসলামী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগ কর্মীরা দাবি করেছেন যে, ফাহাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং তার সেল ফোন জব্দ করার পর তারা শিবিরের সঙ্গে ফাহাদের সম্পর্কের যোগসূত্রের প্রমাণ পেয়েছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ছাত্ররা ফাহাদের অচেতন দেহ মধ্যরাতে ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের রিপোর্ট বলেছে, ফাহাদের শরীরে বিপুলসংখ্যক আঘাত করা হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। পুলিশ বলেছে, ২০১১ নম্বর কক্ষে তারা ক্রিকেট খেলার স্টাম্প পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ এই স্টাম্প দিয়ে ফাহাদকে পেটানোর ফলে তার মৃত্যু ঘটেছে।
এই মরণঘাতী ঘটনায় বিস্ময় নই। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলছিলেন। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংস আক্রমণ পরিচালনা এবং এমনকি ২০১৮ সালের ছাত্র প্রতিরোধ আন্দোলন দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগী হিসেবে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
হাজার হাজার ছাত্র ফাহাদ হত্যার দাবিতে প্রতিবাদ করছেন। ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ফাহাদের বাবা। পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের সদস্য।
কিন্তু ফাহাদ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত ব্যর্থতার একটা সুগভীর প্রতিফলন। বাংলাদেশে একটি সরকার রয়েছে, যারা নির্যাতন, গুম, নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারকে অবজ্ঞা করছে। আর এসবই এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে, যেখানে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ‘টর্চার সেল’ পরিচালনা করতে পারে।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষসমূহের উচিত হবে একটি ব্যাপকভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।
বাংলাদেশকে অবশ্যই ২০১১ নম্বর কক্ষে পরিণত হতে দেয়া উচিত নয়।
ছাত্রলীগ ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে ফাহাদকে মৃত পাওয়া গেছে।
বুয়েট ছাত্রলীগের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিডিয়াকে বলেছেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা বিষয়ে ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। ছাত্রশিবির হলো ইসলামী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগ কর্মীরা দাবি করেছেন যে, ফাহাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং তার সেল ফোন জব্দ করার পর তারা শিবিরের সঙ্গে ফাহাদের সম্পর্কের যোগসূত্রের প্রমাণ পেয়েছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ছাত্ররা ফাহাদের অচেতন দেহ মধ্যরাতে ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের রিপোর্ট বলেছে, ফাহাদের শরীরে বিপুলসংখ্যক আঘাত করা হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। পুলিশ বলেছে, ২০১১ নম্বর কক্ষে তারা ক্রিকেট খেলার স্টাম্প পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ এই স্টাম্প দিয়ে ফাহাদকে পেটানোর ফলে তার মৃত্যু ঘটেছে।
এই মরণঘাতী ঘটনায় বিস্ময় নই। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলছিলেন। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংস আক্রমণ পরিচালনা এবং এমনকি ২০১৮ সালের ছাত্র প্রতিরোধ আন্দোলন দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগী হিসেবে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
হাজার হাজার ছাত্র ফাহাদ হত্যার দাবিতে প্রতিবাদ করছেন। ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ফাহাদের বাবা। পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের সদস্য।
কিন্তু ফাহাদ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত ব্যর্থতার একটা সুগভীর প্রতিফলন। বাংলাদেশে একটি সরকার রয়েছে, যারা নির্যাতন, গুম, নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারকে অবজ্ঞা করছে। আর এসবই এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে, যেখানে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ‘টর্চার সেল’ পরিচালনা করতে পারে।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষসমূহের উচিত হবে একটি ব্যাপকভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।
বাংলাদেশকে অবশ্যই ২০১১ নম্বর কক্ষে পরিণত হতে দেয়া উচিত নয়।
(ব্র্যাড অ্যাডামস। এশিয়া পরিচালক, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ)
>>>১০ই অক্টোবর, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইট থেকে।
>>>১০ই অক্টোবর, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইট থেকে।
No comments