‘আমি, আপনি দু’জনই সমান’ -কামরান by ওয়েছ খছরু
‘সিলেটে
রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণোৎসব’র আয়োজন চলছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে আসতে পারেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তবে, ব্যাপক আকারের এই আয়োজনের আয়োজক কমিটির
সদস্য সচিব হিসেবে বিএনপি দলীয় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে মানছে না
আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক মেয়র কামরানেরও এ নিয়ে
ঘোর আপত্তি। গতকাল রাতে আয়োজক কমিটির সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকেই কামরান জানিয়ে
দেন, ‘যারা রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করেন তাদের মধ্য থেকে একজনকে সদস্য সচিব করা
হোক।’ বৈঠকে উপস্থিত থাকা মেয়র আরিফও তার স্থলে সদস্য সচিব হিসেবে
কামরানের নাম প্রস্তাব করেন। এ সময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কামরান। বলেন, ‘আমি
কিংবা আপনি দু’জনই সমান। যারা রবীন্দ্রনাথকে বোঝেন, ধারণ করেন তাদের মধ্য
থেকে যে কাউকে সদস্য সচিব করা হোক।’ বৈঠকে উপস্থিত থাকা আয়োজক কমিটির
আহ্বায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কথা বাড়াতে দেননি।
বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দু’দিনের সময় চেয়ে নেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে চিন্তা করা হবে বলে জানান তিনি। একশ’ বছর আগে সিলেটে বেড়াতে এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সিলেটে রয়েছে তার স্মৃতি বিজরিত স্থান। মাছিমপুরে গিয়েছিলেন কবি।
নগরীর আরো কয়েকটি স্থানও পরিদর্শন করেন। এ কারণে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে সিলেটে রয়েছে আলাদা অনুভূতি। প্রতি বছর কবি ভক্তরা রবীন্দ্রনাথের আসার দিনকে সিলেটে ব্যাপকভাবে পালন করেন। সিলেটের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরের মাছিমপুরে স্থাপন করেছেন কবিগুরুর ভাস্কর্য। সিলেটে কবিগুরুর আগমনের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয় প্রায় ৭-৮ মাস আগে। এই উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মূলত তাদের দু’জনের ভূমিকা সিলেটে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণোৎসব’ কমিটি। আর এই কমিটির আহ্বায়ক আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সদস্য সচিব আরিফুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া তাদের মনোনীতদের কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন কয়েকজন রবীন্দ্র গবেষক, শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র সংস্কৃতিকর্মী। এই কমিটি ইতিমধ্যে সিলেটে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
সদস্য সচিব আরিফুল হক চৌধুরী এ কমিটিতে কয়েকমাস ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। ইতিমধ্যে তিনি নগর ভবনে সিলেটের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে তার মনোনীতদের নিয়ে বসেন তিনি। ফলে সার্বজনীনভাবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়ায় এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ ছিল। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী ৭ ও ৮ই নভেম্বর সিলেটে এই উৎসব পালন করা হবে। তারিখ নির্ধাণের পর উদ্যাপন কমিটি সিলেটের প্রশাসনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসে সভা করেন। এ সভায় জানানো হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাতে আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করা হয়। দাওয়াত পেয়ে রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সে যান আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। এ সময় সেখানে উদ্যাপন কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা বিশাল এ আয়োজনের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। এত বড় আয়োজনের ব্যাপারে তাদের অবহিত করা হয়নি বলেও জানান। এ ছাড়া সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশকে উপেক্ষা করে স্মরণোৎসবের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা কয়েকজন নেতা গতকাল মানবজমিনকে জানান, বৈঠকের শুরুতেই ১৪ দলের নেতাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এত বড় আয়োজন হবে। এখানে প্রধানমন্ত্রী আসবেন অথচ আমরা তা জানি না। আনুষ্ঠানিকভাবে আজকেই প্রথম জানলাম।’
স্মরণোৎসবের কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলে তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে যারা ধারণ করেন, চর্চা করেন, যারা বাঙালির কবি মনে করেন তাদের নিয়েই এই কমিটি গঠন করা উচিত।’ এ কারণে তিনি বৈঠকে উপস্থিত মুহিতের কাছে আহ্বায়ক কমিটিতে মানানসই একজন সদস্য সচিব করার দাবি তোলেন। কামরানের বক্তব্যের পর একই সুরে বক্তব্য রাখেন সিলেট আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, বিজিত চৌধুরী ও জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক এনামুল মুনির। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে পর সদস্য সচিব হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বক্তব্যকালে নতুন সদস্য সচিব হিসেবে সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নাম প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, ‘কামরান ভাই সদস্য সচিব হলে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’ তবে, তার প্রস্তাবে আবার আপত্তি জানান কামরান। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে বোঝেন, ধারণ করেন তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে সদস্য সচিব করা হোক। রবীন্দ্রনাথের এত বড় আয়োজনের সদস্য সচিব হওয়ার মতো যোগ্য লোক আমি কিংবা আপনি নন। আমরা দু’জনই সমান।’ এদিকে বৈঠকে নতুন সদস্য সচিব হিসেবে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিজিত দে ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আরশ আলীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরো কয়েকজন সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীর নাম প্রস্তাব করা হয়। সভাপতির বক্তব্যকালে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কমিটি পুনর্গঠনের আশ্বাস দেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘কমিটি নিয়ে ক্ষোভের কথা সবাই জানিয়েছি। আরিফকে নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি। কমিটিতে অনেক সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের উপেক্ষা করা হয়েছে। কমিটি সার্বজনীন হয়নি। পুরো আয়োজন কুক্ষিগত করে ফেলা হয়েছে। আমাদের আপত্তির মুখে আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দু’দিনের সময় চেয়ে নেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে চিন্তা করা হবে বলে জানান তিনি। একশ’ বছর আগে সিলেটে বেড়াতে এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সিলেটে রয়েছে তার স্মৃতি বিজরিত স্থান। মাছিমপুরে গিয়েছিলেন কবি।
নগরীর আরো কয়েকটি স্থানও পরিদর্শন করেন। এ কারণে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে সিলেটে রয়েছে আলাদা অনুভূতি। প্রতি বছর কবি ভক্তরা রবীন্দ্রনাথের আসার দিনকে সিলেটে ব্যাপকভাবে পালন করেন। সিলেটের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরের মাছিমপুরে স্থাপন করেছেন কবিগুরুর ভাস্কর্য। সিলেটে কবিগুরুর আগমনের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয় প্রায় ৭-৮ মাস আগে। এই উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মূলত তাদের দু’জনের ভূমিকা সিলেটে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণোৎসব’ কমিটি। আর এই কমিটির আহ্বায়ক আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সদস্য সচিব আরিফুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া তাদের মনোনীতদের কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন কয়েকজন রবীন্দ্র গবেষক, শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র সংস্কৃতিকর্মী। এই কমিটি ইতিমধ্যে সিলেটে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
সদস্য সচিব আরিফুল হক চৌধুরী এ কমিটিতে কয়েকমাস ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। ইতিমধ্যে তিনি নগর ভবনে সিলেটের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে তার মনোনীতদের নিয়ে বসেন তিনি। ফলে সার্বজনীনভাবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়ায় এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ ছিল। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী ৭ ও ৮ই নভেম্বর সিলেটে এই উৎসব পালন করা হবে। তারিখ নির্ধাণের পর উদ্যাপন কমিটি সিলেটের প্রশাসনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসে সভা করেন। এ সভায় জানানো হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাতে আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করা হয়। দাওয়াত পেয়ে রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সে যান আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। এ সময় সেখানে উদ্যাপন কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা বিশাল এ আয়োজনের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। এত বড় আয়োজনের ব্যাপারে তাদের অবহিত করা হয়নি বলেও জানান। এ ছাড়া সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশকে উপেক্ষা করে স্মরণোৎসবের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা কয়েকজন নেতা গতকাল মানবজমিনকে জানান, বৈঠকের শুরুতেই ১৪ দলের নেতাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এত বড় আয়োজন হবে। এখানে প্রধানমন্ত্রী আসবেন অথচ আমরা তা জানি না। আনুষ্ঠানিকভাবে আজকেই প্রথম জানলাম।’
স্মরণোৎসবের কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলে তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে যারা ধারণ করেন, চর্চা করেন, যারা বাঙালির কবি মনে করেন তাদের নিয়েই এই কমিটি গঠন করা উচিত।’ এ কারণে তিনি বৈঠকে উপস্থিত মুহিতের কাছে আহ্বায়ক কমিটিতে মানানসই একজন সদস্য সচিব করার দাবি তোলেন। কামরানের বক্তব্যের পর একই সুরে বক্তব্য রাখেন সিলেট আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, বিজিত চৌধুরী ও জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক এনামুল মুনির। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে পর সদস্য সচিব হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বক্তব্যকালে নতুন সদস্য সচিব হিসেবে সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নাম প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, ‘কামরান ভাই সদস্য সচিব হলে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’ তবে, তার প্রস্তাবে আবার আপত্তি জানান কামরান। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে বোঝেন, ধারণ করেন তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে সদস্য সচিব করা হোক। রবীন্দ্রনাথের এত বড় আয়োজনের সদস্য সচিব হওয়ার মতো যোগ্য লোক আমি কিংবা আপনি নন। আমরা দু’জনই সমান।’ এদিকে বৈঠকে নতুন সদস্য সচিব হিসেবে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিজিত দে ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আরশ আলীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরো কয়েকজন সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীর নাম প্রস্তাব করা হয়। সভাপতির বক্তব্যকালে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কমিটি পুনর্গঠনের আশ্বাস দেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘কমিটি নিয়ে ক্ষোভের কথা সবাই জানিয়েছি। আরিফকে নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি। কমিটিতে অনেক সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের উপেক্ষা করা হয়েছে। কমিটি সার্বজনীন হয়নি। পুরো আয়োজন কুক্ষিগত করে ফেলা হয়েছে। আমাদের আপত্তির মুখে আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’
No comments