ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলা: এ অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীন করে তোলার ষড়যন্ত্র
লোহিত
সাগর অতিক্রম করার সময় ইরানের তেল ট্যাংকার 'সাবিতি' লক্ষ্য করে দু'টি
ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। এতে ট্যাংকারে কিছু ক্ষতি হয়েছে। সৌদি জেদ্দা
বন্দর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে থাকা ইরানি তেল ট্যাংকারে ওই হামলায় তেল
কিছুটা সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়লেও পরে তেল নিঃসরণ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, "জাতীয় তেল কোম্পানির এক তদন্তে দেখা গেছে ইরানি তেল ট্যাংকার লোহিত সাগর অতিক্রম করার সময় আধা ঘন্টার ব্যবধানে দু'টি ক্ষেপণাস্ত্র এসে আঘাত হানে।"
গত কয়েক মাস আগে লোহিত সাগরে ইরানের কয়েকটি তেল ট্যাংকারে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে। গতকালসহ আগের হামলার ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে। গতকাল ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলার ব্যাপারে চীন, রাশিয়াসহ আরো অনেক দেশ ও গণমাধ্যম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইরান হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা এ অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীন করে তোলার চেষ্টা করছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলা এমন একটি ঘটনা যার পরিণতি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাদের মতে পশ্চিমা কর্মকর্তারা এ অঞ্চলে জাহাজের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যেসব প্রস্তাব উত্থাপন করছেন তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। কারণ তাদের গৃহীত কর্মসূচি আন্তর্জাতিক উত্তেজনা কমার পরিবর্তে বরং বাড়িয়ে তুলবে। পাশ্চাত্যের নীতি এ অঞ্চলের দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে। ঠিক এ উদ্দেশ্যেই ইরানের জাহাজে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
গত জুন মাসে ওমান সাগরে দু'টি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদ ও রাজনৈতিক মহল ওই ঘটনার জন্য এ অঞ্চলের সেইসব যুদ্ধবাজ মহলকে দায়ী করেছে যারা পারস্য উপসাগর অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাসেম ইজ্জাদ্দিন বলেছেন, "যুদ্ধবাজ ওই মহল এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও যুদ্ধ বিস্তারের চেষ্টা করছে।
কয়েক মাস আগে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী অবৈধভাবে ইরানের একটি তেল ট্যাংকার আটক করে। এরও উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করা। গতকাল ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলার উদ্দেশ্যও একই। আর তা হল নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সারা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এর মাধ্যমে এমন এক পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে যা কারো জন্যই কল্যাণ কর নয়।
তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, "জাতীয় তেল কোম্পানির এক তদন্তে দেখা গেছে ইরানি তেল ট্যাংকার লোহিত সাগর অতিক্রম করার সময় আধা ঘন্টার ব্যবধানে দু'টি ক্ষেপণাস্ত্র এসে আঘাত হানে।"
গত কয়েক মাস আগে লোহিত সাগরে ইরানের কয়েকটি তেল ট্যাংকারে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে। গতকালসহ আগের হামলার ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে। গতকাল ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলার ব্যাপারে চীন, রাশিয়াসহ আরো অনেক দেশ ও গণমাধ্যম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইরান হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা এ অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীন করে তোলার চেষ্টা করছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলা এমন একটি ঘটনা যার পরিণতি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাদের মতে পশ্চিমা কর্মকর্তারা এ অঞ্চলে জাহাজের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যেসব প্রস্তাব উত্থাপন করছেন তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। কারণ তাদের গৃহীত কর্মসূচি আন্তর্জাতিক উত্তেজনা কমার পরিবর্তে বরং বাড়িয়ে তুলবে। পাশ্চাত্যের নীতি এ অঞ্চলের দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে। ঠিক এ উদ্দেশ্যেই ইরানের জাহাজে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
গত জুন মাসে ওমান সাগরে দু'টি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদ ও রাজনৈতিক মহল ওই ঘটনার জন্য এ অঞ্চলের সেইসব যুদ্ধবাজ মহলকে দায়ী করেছে যারা পারস্য উপসাগর অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাসেম ইজ্জাদ্দিন বলেছেন, "যুদ্ধবাজ ওই মহল এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও যুদ্ধ বিস্তারের চেষ্টা করছে।
কয়েক মাস আগে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী অবৈধভাবে ইরানের একটি তেল ট্যাংকার আটক করে। এরও উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করা। গতকাল ইরানের তেল ট্যাংকারে হামলার উদ্দেশ্যও একই। আর তা হল নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সারা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এর মাধ্যমে এমন এক পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে যা কারো জন্যই কল্যাণ কর নয়।
No comments