শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে ১০ সপ্তাহ ধরে জুমা নামাজ বন্ধ
ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদ |
ভারত
নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদ, হজরতবাল
দরগাহ মসজিদ, খানকাহ মাওলাতে একটানা দশম শুক্রবার জুমা নামাজ বন্ধ ছিল।
বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এসব মসজিদে গতকাল নিয়ে দশম শুক্রবার জুমা
নামাজের আযান হয়নি।
রাজ্য সরকাররের পক্ষ থেকে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পর্যটকদের কাশ্মীরে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি এমন যে একটানা দশম শুক্রবারেও কর্তৃপক্ষ বড় বড় মসজিদে জুমা নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে পারেনি।
জুমা নামাজের পরে প্রতিবাদী জনতার সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় টানা দশম শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এখানকার জামিয়া মসজিদসহ অন্য বড় মসজিদগুলোতে জুমা নামাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর পাশাপাশি, গতকাল (শুক্রবার) কাশ্মীর উপত্যকার স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জুমা নামাজের জন্য শ্রীনগরের নৌহাট্টা, ডাউন-টাউনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার অভ্যন্তরে ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের সাহায্যে অবরোধ সৃষ্টি করা হলে মানুষজনের চলাচল ব্যাহত হয়। জামিয়া মসজিদের আশেপাশে সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় সেখানে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কর্মকর্তা সূত্রের মতে, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং বর্তমানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষিণ কাশ্মীর ও উত্তর কাশ্মীরের অনেক স্পর্শকাতর এলাকায় আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন দুপুরের পরে ডাউন-টাউন এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রতিবাদী মানুষজন পাথর নিক্ষেপ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন থাকা নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদেরকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
গতকাল (শুক্রবার) নিষেধাজ্ঞার কারণে কাশ্মীর উপত্যকার সমস্ত দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সড়কে যানবাহন চলাচলও খুব কম ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদেরকে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ পড়তে বলা হয়। শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় আসা পর্যটকদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরে, পর্যটকরা আবার উপত্যকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হয়েছে। যদিও উপত্যকায় সর্বত্র ল্যান্ডলাইন ফোন পরিসেবা পুনরুদ্ধারের দাবি করা হলেও তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ করছে না।
কাশ্মীরি গণমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন
সরকারিভাবে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে দাবি করা হলেও বিগত ৬৮ দিন বিধিনিষেধের কারণে সেখানকার সাধারণ মানুষজন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। সরকারকে এখন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে হচ্ছে, সবাই স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করুন।
সরকারি এক বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘৭০ বছরের বেশি সময় ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক অপপ্রচারের সাহায্যে তাঁদের জীবনকে সন্ত্রাস, ধ্বংস ও দারিদ্রের নিরবচ্ছিন্ন চক্রাবর্তে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। আপনারা কি তা থেকে মুক্তি চান না?’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিজেদের সন্ততিদের বিদেশে পাঠিয়ে লেখাপড়া করান, আর সাধারণ ছেলে-মেয়েদের হিংসা, পাথর নিক্ষেপ আর হরতালের পথে যেতে উসকানি দেন। ফের সেই পথই নিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আপনারা কী এখনও তা সহ্য করবেন? তাঁদের খপ্পরে পড়ে ধ্বংসকে বেছে নেবেন, নাকি সাধারণ জনজীবনে ফিরবেন?’ এর পরেই কাশ্মীরবাসীর প্রতি সরকারি আবেদন, আপনারা স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবনযাত্রা শুরু করুন।
এদিকে, আগামী ২৪ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের (বিডিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি একমাত্র নির্বাচনি ময়দানে রয়েছে। অন্য সমস্ত দল তাদের নেতা-কর্মীরা আটক অথবা গৃহবন্দি থাকায় ওই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
অন্যদিকে, দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট পাঠক্রম শেষ না হলেও এমাসের শেষ সপ্তাহে দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিডিসি নির্বাচনের মতো দ্বাদশ শ্রেণির ওই পরীক্ষাও প্রহসনে পরিণত হতে চলেছে বলে কাশ্মীরবাসীরা মনে করছেন।
রাজ্য সরকাররের পক্ষ থেকে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পর্যটকদের কাশ্মীরে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি এমন যে একটানা দশম শুক্রবারেও কর্তৃপক্ষ বড় বড় মসজিদে জুমা নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে পারেনি।
জুমা নামাজের পরে প্রতিবাদী জনতার সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় টানা দশম শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এখানকার জামিয়া মসজিদসহ অন্য বড় মসজিদগুলোতে জুমা নামাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর পাশাপাশি, গতকাল (শুক্রবার) কাশ্মীর উপত্যকার স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জুমা নামাজের জন্য শ্রীনগরের নৌহাট্টা, ডাউন-টাউনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার অভ্যন্তরে ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের সাহায্যে অবরোধ সৃষ্টি করা হলে মানুষজনের চলাচল ব্যাহত হয়। জামিয়া মসজিদের আশেপাশে সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় সেখানে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কর্মকর্তা সূত্রের মতে, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং বর্তমানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষিণ কাশ্মীর ও উত্তর কাশ্মীরের অনেক স্পর্শকাতর এলাকায় আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন দুপুরের পরে ডাউন-টাউন এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রতিবাদী মানুষজন পাথর নিক্ষেপ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন থাকা নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদেরকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
গতকাল (শুক্রবার) নিষেধাজ্ঞার কারণে কাশ্মীর উপত্যকার সমস্ত দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সড়কে যানবাহন চলাচলও খুব কম ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদেরকে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ পড়তে বলা হয়। শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় আসা পর্যটকদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরে, পর্যটকরা আবার উপত্যকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হয়েছে। যদিও উপত্যকায় সর্বত্র ল্যান্ডলাইন ফোন পরিসেবা পুনরুদ্ধারের দাবি করা হলেও তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ করছে না।
কাশ্মীরি গণমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন
সরকারিভাবে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে দাবি করা হলেও বিগত ৬৮ দিন বিধিনিষেধের কারণে সেখানকার সাধারণ মানুষজন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। সরকারকে এখন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে হচ্ছে, সবাই স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করুন।
সরকারি এক বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘৭০ বছরের বেশি সময় ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক অপপ্রচারের সাহায্যে তাঁদের জীবনকে সন্ত্রাস, ধ্বংস ও দারিদ্রের নিরবচ্ছিন্ন চক্রাবর্তে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। আপনারা কি তা থেকে মুক্তি চান না?’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিজেদের সন্ততিদের বিদেশে পাঠিয়ে লেখাপড়া করান, আর সাধারণ ছেলে-মেয়েদের হিংসা, পাথর নিক্ষেপ আর হরতালের পথে যেতে উসকানি দেন। ফের সেই পথই নিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আপনারা কী এখনও তা সহ্য করবেন? তাঁদের খপ্পরে পড়ে ধ্বংসকে বেছে নেবেন, নাকি সাধারণ জনজীবনে ফিরবেন?’ এর পরেই কাশ্মীরবাসীর প্রতি সরকারি আবেদন, আপনারা স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবনযাত্রা শুরু করুন।
এদিকে, আগামী ২৪ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের (বিডিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি একমাত্র নির্বাচনি ময়দানে রয়েছে। অন্য সমস্ত দল তাদের নেতা-কর্মীরা আটক অথবা গৃহবন্দি থাকায় ওই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
অন্যদিকে, দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট পাঠক্রম শেষ না হলেও এমাসের শেষ সপ্তাহে দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিডিসি নির্বাচনের মতো দ্বাদশ শ্রেণির ওই পরীক্ষাও প্রহসনে পরিণত হতে চলেছে বলে কাশ্মীরবাসীরা মনে করছেন।
গ্রেটার কাশ্মীর পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন |
No comments